ইনসাইড বাংলাদেশ

ছিঃ ড. ইউনূস, আপনি এত নিচে নামতে পারেন?


প্রকাশ: 30/03/2024


Thumbnail

ড. ইউনূসের পাপ, মিথ্যাচার, প্রতারণা যেন সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। একজন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ কীভাবে একটি পুরস্কারের ব্যাপারে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করতে পারে এবং জাতির মাথা হেট করাতে পারে তার সর্বশেষ প্রমাণ হল ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে।

ড. ইউনূস প্রথমে ‘দ্য ট্রি অব পিস’-এটি ইউনেস্কো তাকে দিয়েছে বলে দাবি করেন। শুধু দাবি করেই ক্ষান্ত হননি, এই পুরস্কারের ছবিসহ একটি বিজ্ঞপ্তি তিনি ইউনূস সেন্টারের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করেন। ইউনূস সেন্টারের সেই ওয়েবসাইটের বিজ্ঞপ্তি দেখেই বাংলাদেশের ইউনেস্কো চ্যাপ্টারের প্রধান, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর বিষয় ইউনেস্কোর নজরে আনেন এবং তিনি নিশ্চিত হন যে ড. ইউনূস এই পুরস্কারটি পাননি এবং ইউনেস্কো ‘দ্য ট্রি অব পিস’ পুরস্কার ড. ইউনূসকে দেননি। এরপর তিনি গণমাধ্যমে বিষয়টি জানান।

এরপর ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রচার করা হয় এবং এই প্রচারে ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আজারবাইজানের বাকু সম্মেলনে থেকে ‘দ্য ট্রি অব পিস’ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ড. ইউনূসকে। এই দাবিটি তারা করেন এবং এই দাবির পক্ষে তারা বেশ কিছু বক্তব্য উপস্থাপন করেন। যখন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নিশ্চিত করেন ইউনূসকে ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে কোন পদক দেওয়া হয়নি তারপর এই বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের বক্তব্যের পর অনেকেই মনে করেছিলেন যে ড. ইউনূসই বোধহয় সত্যি। কিন্তু ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করল জাতিসংঘের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ইউনেস্কো।

গত বুধবার ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে সংস্থাটির প্রেস অফিসার ক্লেয়ার ওহাগান নিশ্চিত করেছেন যে শৈল্পিক কাজের অংশ হিসেবে শিল্পী হেদভা সেরের নির্মিত একটি ভাস্কর্য দ্য ট্রি অব পিস। হেদভা সের ইউনেস্কোর একজন শুভেচ্ছা দূত, কিন্তু তার এই শিল্পকর্ম অফিসিয়াল ইউনেস্কোর কোন পুরস্কার নয়।

অর্থাৎ ইসরাইলের একজন ভাস্কর, যিনি ইউনূসের একজন ভক্ত। সেই হেদভা সের তার একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করেছেন। যে ভাস্কর্যটির নাম তিনি দিয়েছেন তা দ্য ট্রি অব পিস। সেটি তিনি নিজামী গঞ্জভী ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে ড. ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছেন। এই পুরস্কারটি কখনই ইউনেস্কোর দেওয়া পুরস্কার নয়। ইউনূস ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে কোন পুরষ্কার পাননি, এটা সংস্থাটি নিশ্চিত করেছে।

ইউনূসের মতো একজন ব্যক্তি যিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সদর্পে চলাফেরা করেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যার সুনাম রয়েছে তিনি এরকম নির্লজ্জ প্রতারণার আশ্রয় নিতে পারেন এটি ভেবে আমাদের মাথা হেট হয়ে আসে। আমরা প্রায় সময় বলে থাকি যে, ড. ইউনূসের প্রতি যা করা হচ্ছে সেটি অন্যায়। অনেক বুদ্ধিজীবী বলেন, এটি বাংলাদেশকে লজ্জায় ফেলছে। কিন্তু ইউনূস এখন বাংলাদেশকে কত বড় লজ্জায় ফেললেন। একটি জাতিসংঘ সংস্থার পুরস্কার না পেলেও সেই পুরস্কার তিনি পেয়েছেন-এরকম অসত্য বক্তব্য উপস্থাপন করা কতটা সহজ, কতটা শোভন হয়েছে?

ছিঃ ড. ইউনূস, আপনাকে নিয়ে এখন আমরাই লজ্জিত। আপনি অত্যন্ত প্রচারণা পছন্দ করেন, নিজের নাম আপনি অনেক বড় করে তুলতে চান, যা করেন না তার চেয়ে বড় ফুলে ফেঁপে জিনিস তুলতে চান সেটা সকলেই জানে।

নোবেল শান্তি পুরষ্কারের কথাই ধরা যাক, এই নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে গ্রামীণ ব্যাংক এবং ড. ইউনূসকে। কিন্তু ড. ইউনূস বেমালুম গ্রামীণ ব্যাংক ডিলিট করে দিয়ে শুধুমাত্র তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী হিসাবে উল্লেখ করেছেন। নোবেল শান্তি পুরস্কার তিনি পেয়েছিলেন গ্রামীণ ব্যাংকের জন্যই। কিন্তু সেটি তিনি একেবারে বেমালুম চেপে যান সবসময়। এখন তিনি যে প্রতারণা করেছেন ইউনেস্কোর নাম ব্যবহার করে, এটি একজন সভ্য মানুষ, ন্যূনতম বিবেকবোধ সম্পন্ন মানুষ করতে পারেন কি না সেই প্রশ্নটি সবার।

বিশেষ করে দ্বিতীয় দফায় যখন ইউনূস সেন্টার বিবৃতি দিয়ে তারা পুনরায় দাবি করল যে, ইউনেস্কো তাকে পুরস্কার দিয়েছে। এরকম একটি মিথ্যাচারের স্পর্ধা ইউনূস সেন্টার কোথায় থেকে পেল? এই সমস্ত প্রতারকরাই জাতির সর্বনাশের মূল হোতা। এদের কারণেই দেশের মাথা হেট হয়ে যায়। ইউনূসের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশের সম্মান বাড়ে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। আর তাদের প্রতারণার কারণে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে লজ্জিত হয়।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭