ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মরুভূমির আকাশে দেখা গেল শয়তান ধূমকেতু


প্রকাশ: 31/03/2024


Thumbnail

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি মরুভূমির আকাশে মাউন্ট এভারেস্টের সমান বিশাল আকারের একটি ধূমকেতু দেখা গেছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে বিরল ও উজ্জ্বল এই ধূমকেতুর দেখা মিলেছে।

জ্যোতির্বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু বিজ্ঞানী নয়, সূর্যাস্তের পরে ঠিক-ঠাক দিকে তাকাতে পারলে এখনো সাধারণ মানুষ এটি দেখতে পাবেন। খবর খালিজ টাইমসের।

বিশাল এ ধূমকেতুটির নাম ১২পি/পনস-ব্রুকস। একে শয়তান ধূমকেতু নামেও ডাকা হয়। দুটি শিং থাকায় এমন নাম দেওয়া হয়েছে। গত ২৭ মার্চ আল খাট অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অবজারভেটরির তোলা একটি ছবিতে এটি ধরা পড়েছে।

আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিদ্যা কেন্দ্র (আইএসি) জানিয়েছে, আগামী ২১ এপ্রিল সূর্যের সবচেয়ে কাছের বিন্দুতে পৌঁছাবে শয়তান ধূমকেতু। ২ জুন এটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসবে। আগামী ৮ এপ্রিল পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময় এটি সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান হবে বলে জানিয়েছে নাসা।

সংস্থাটি বলছে, সূর্যের খুব কাছাকাছি যেতে থাকায় ধূমকেতুটিকে আরও উজ্জ্বল দেখাবে। তবে এটি দিগন্ত ও সূর্যের কাছাকাছি চলে এলে খালি চোখে দেখা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তাই এখনই এটি দেখার সবচেয়ে ভালো সময়।

১২পি/পনস-ব্রুকস ধূমকেতুটি নির্দিষ্ট সময় পরপর সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে করতে সৌরজগতের মধ্যে চলে আসে। সাধারণত হ্যালির ধূমকেতুর মতো এটিও প্রতি ৭০ বছর পরপর সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে। ১৮১২ সালে প্রথম ধূমকেতুটি আবিষ্কার করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী জ্যঁ-লুইস পনস। ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী উইলিয়াম রবার্ট ব্রুকস। তাদের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পন্স-ব্রুকসের ঘূর্ণন হার সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানার জন্য পর্যবেক্ষণ করছেন। তাতে দেখা যায় শয়তান ধূমকেতুটির ঘূর্ণন সময়কাল ৫৭ ঘণ্টা, যা প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে বেশি। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এটি পরীক্ষা করতে চান যে ধূমকেতু থেকে নিঃসৃত বস্তুর জেটগুলো এটির গতি বাড়াচ্ছে নাকি কমিয়ে দিচ্ছে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭