ইনসাইড বাংলাদেশ

ট্রান্সকমের বিরোধ: ফেঁসে যাচ্ছেন মতিউর-মাহফুজ আনাম?


প্রকাশ: 01/04/2024


Thumbnail

ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা লতিফুর রহমানের মেয়ে শাজরেহ হকের করা হত্যা মামলায় তার বোন এবং গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানসহ তিনজনকে দেশে ফেরার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও কে এম জাহিদ সারওয়ারের বেঞ্চ গত রোববার এই আদেশ দেয়।

অন্য দুজন হলেন ট্রান্সকম গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমান এবং হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারেফ আয়াত হোসেন। যারেফ আয়াত হোসেন সিমিন রহমানের ছেলে। আর শাহনাজ রহমান সিমিন রহমানের মা। 

শাজরেহ এর এই মামলার সময় তারা দেশের বাইরে ছিলেন। এখন তারা দেশে এসেছেন। গত রোববার আওয়ামীপন্থি আইনজীবী এবং সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এবং সাবেক বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী মাহবুব আলীসহ আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন করেন। এই আবেদন করার পর তাদেরকে দেশে ফেরার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে পিবিআই এই হত্যা মামলার তদন্ত করছে এবং হত্যা মামলার তদন্তের স্বার্থে সিমিন রহমানের ভাইয়ের লাশ উত্তোলন করার জন্য আদালতে পিবিআই আবেদন করেছে। 

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, এই মামলার তদন্ত নাটকীয় মোড় নিতে পারে এবং কোম্পানির শেয়ার আত্মসাৎ এবং হত্যামামলা সবগুলোতেই প্রথম আলোর মতিউর রহমান এবং ডেইলি স্টারের মাহফুজ আনাম যোগসাজশের অভিযোগে ফেঁসে যেতে পারেন। পিবিআই তদন্তে তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি বেরিয়ে আসছে বলেও একাধিক সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে। 

শাজরেহ হক দুটি মামলা করেছেন। প্রথমটি শেয়ার জালিয়াতি মামলা। যে মামলায় মতিউর রহমান এবং মাহফুজ আনামের সুনির্দিষ্ট সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে তথ্য গোপন করা, গণমাধ্যমে ভুল রিপোর্ট ছাপা এবং এ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেন প্রকাশিত না হয় সেজন্য অন্যান্য গণমাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করার সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ পিবিআই পেয়েছে। ফলে এই শেয়ার আত্মসাৎ এর ক্ষেত্রে মাহফুজ আনাম এবং মতিউর রহমান ফেঁসে যেতে পারেন বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষ করে যখন এই শেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয় সেই সময় মাহফুজ আনাম এবং মতিউর রহমান দুজনই তাদের ক্ষমতা এবং প্রভাব বিস্তার করেন শেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার জন্য। 

হত্যামামলার বিষয়টিতেও তাদের দুজনের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। বিশেষ করে লতিফুর রহমানের একমাত্র ছেলে মারা যাওয়ার পরপরই যেভাবে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছেন, সেটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে অনেকে মনে করেন। 

উল্লেখ্য যে, গত বছর আরশাদ ওয়ালিউর রহমান যখন মারা যান তার মৃত্যুর পরপরই কোন রকম তথ্য প্রমাণ যাচাই বাছাই ছাড়া প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু এবং একটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে বলার চেষ্টা করেছে। পাশাপাশি এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করেছে। অথচ এখন মামলার বিবরণীতে বলা হচ্ছে যে, ২০২৩ সালের ১৬ জুন বাসায় নিজের শোবার ঘরে আরশাদকে শ্বাসবোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনাটির পর প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার রহস্যময় ভূমিকা পালন করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এখন পিবিআই তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসলে  মতিউর রহমান এবং মাহফুজ আনামের কতটুকু সম্পৃক্ততা রয়েছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭