ইনসাইড বাংলাদেশ

‘যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হলে গণমাধ্যমের উপরই নির্ভর করতে হয়’


প্রকাশ: 02/04/2024


Thumbnail

যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হলে গণমাধ্যমের উপরই নির্ভর করতে হয় বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মানবাধকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত মানবাধিকার সুরক্ষায় গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এসময়  তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমের যে সংবাদগুলো আমরা পাই, সেগুলোর উপর আমাদের ব্যবস্থা গ্রহন করি। সেজন্য আমি আগেও বলেছি যে সমাজ এবং রাষ্ট্রকে জাগ্রত করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সতরাং সেই জাগ্রত করার কাজটি গণমাধ্যমকে করতে হবে। এই জাগরণ আমরা কিভাবে আরও বেগবান করতে পারি সেই প্রচেষ্টা আমাদের রয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মুক্ত গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার সুরক্ষা একে অন্যের পরিপূরক। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো সম্পর্কে জানতে আমরা গণমাধ্যমের সহায়তাই নিয়ে থাকি। আমার স্বপ্রণোদিত হয়ে যেসব অভিযোগ নিয়ে কাজ করেছি তা গণমাধ্যমের খবরের ওপর ভিত্তি করেই।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার কমিশনের ক্ষমতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা আমরা অব্যাহতভাবে করে যাচ্ছি। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পিবিআই, সিআইডিসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে কাজ করি। পুলিশ সদস্যরা শাস্তির আওতায় এসেছে, এমন ঘটনাও আছে।’

মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সচিব সেবাস্টিন রেমা, মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিতের নির্বাহি পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর।

এসময় সৈয়দ বোরহান কবীর বলেন, ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টের তথ্য অনুযায়ী গত বছর বিশ্বজুড়ে ৯৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। সংবাদ প্রকাশের জন্য নিপীড়িত, নির্যাতিত সাংবাদিকদের সংখ্যা সহস্রাধিক। বিশ্বে মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করার জন্যই তাদের হত্যা করা হয়েছে।’

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ইউএনডিপি’র সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মোঃ সেলিম রেজা।

শ্যামল দত্ত বলেন, ‘আমার দুই সহকর্মী হত্যার শিকার হয়েছে, তাদের সেই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১০৮ বার পেছানো হয়েছে। এমন আরো অনেক ঘটনায় বলতে পারি আমাদের মানবাধিকার এখনো নিশ্চিত হয়নি। মানবাধিকার নিশ্চিতে সকলের সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রবণতা বেশি, সেখানে গণমাধ্যম তত সংকুচিত এবং ততটাই ঝুঁকিতে।’

আনোয়ারুল হক বলেন, ‘মানবাধিকতার ইস্যুতে বিশেষায়িত সাংবাদিকতার বিকাশ জরুরি। সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষারও প্রয়োজন। আমরা এসব কিছু নিয়েই মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কমিশন, গণমাধ্যম এবং সিভিল সোসাইটিকে মানবাধিকার নিয়ে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।’



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭