ইনসাইড আর্টিকেল

কি করবে বিএনপি?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 13/04/2018


Thumbnail

কোটা সংস্কার আন্দোলন আপাতত শেষ হয়েছে। কিন্তু রাজনীতিতে এর রেশ রয়েই গেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সফল ভাবে সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে। এই আন্দোলনকে যে বিএনপি ‘সরকার উৎখাতে’র হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল, তাও প্রমানিত হয়েছে। শুক্রবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক ভাবেই বলেছেন, ‘কোটা আন্দোলনের পেছনে লন্ডন ষড়যন্ত ছিলো।’ তারেক জিয়ার সঙ্গে অধ্যাপক মামুন আহমেদের কথোপকথনের অডিও বাজারে চলে আসার পর বিএনপিও এখন গর্তে ঢুকে গেছে। বিএনপি এখন কর্মসূচীহীন। একমাত্র সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সংবাদ ব্রিফিং ছাড়া বিএনপির কোন দৃশ্যমান কর্ম তৎপরতা নেই। কোটা সংস্কার আন্দোলন শেষ হওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছে বিএনপি এখন কি করবে?

কোটা সংস্কার আন্দোলন, গত বছর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাট বিরোধী আন্দোলন এবং ব্যবসায়ীদের অন লাইন ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনের পর একটা বিষয় পরিষ্কার হয়েছে, জনপ্রিয় ইস্যুতে আন্দোলন হলে সরকার তা মেনে নেয়, সমঝোতায় আসে। নির্বাচনের মাত্র কয়েকমাস আগে সরকার সংঘাতে যেতে চায় না। তাহলে প্রশ্ন আসে, বিএনপি কেন একটি জনসম্পৃক্ত আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেছে না? বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিষ্টার মওদুদ আহমেদ স্বীকার করেছেন যে ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে অনেক শিক্ষনীয় আছে।’ তিনি বলেন ‘আমরা সরকারের বিরুদ্ধে জনগনকে নিয়ে এরকম আন্দোলন করতে পারিনি’ বিএনপির আরেক নেতা আমীর খসরু চৌধুরী অবশ্য বলেন ভিন্ন কথা। তার মতে,‘সরকার তো আমাদের দাড়াতেই দিচ্ছে না। ঢাকায় আমরা একটা জনসভা করতে পারছি না। মিছিল তো দূরের কথা।’ কিন্তু আমীর খসরুর বক্তব্যকে পরাজিতের প্রলাপ বলেছেন বিএনপি পন্থী বুদ্ধিজীবী এবং গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় যদি বিএনপি এক লাখ লোক রাস্তায় নামায় তাহলে কি সরকারের সাধ্য আছে বাধা দেয়?’ তাঁর মতে, ‘আন্দোলন আপনি যার বিরুদ্ধে করবেন, তাঁর অনুমতি নিয়ে করলে তো সেটা আন্দোলন হলোনা।’ বিএনপির সমর্থক আরেক বুদ্ধিজীবী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, ‘বিএনপির জনসমর্থন আছে। কিন্তু জনসম্পৃক্ততা নেই। বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করার চেষ্টা করছে না বা পারছে না।’

দুই মাসের বেশি সময় ধরে বেগম খালেদা জিয়া জেলে। দলের অধিকাংশ নেতা পলাতক। তৃণমূলে মামলা হামলায় নেতাকর্মীরা হয় জেলে না হলে পালিয়ে। এই অবস্থায় বিএনপিতে ক্রমশ বাড়ছে হতাশা। একে অন্যকে দোষারোপ করছে। সর্বশেষ কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতা জড়িয়ে যেতে পারেন, এমন আশঙ্কা ছড়িয়ে পরেছে। এ অবস্থার প্রভাব পরবে ১৫ মে তে  অনুষ্ঠেয় দুটি সিটি নির্বাচনে। এ অবস্থায় কি করবে বিএনপি? কোটা সংস্কারে আন্দোলন থেকে দুটি শিক্ষা বিএনপি নিতে পারে। প্রথম শিক্ষা, আন্দোলনের দাবী জনপ্রিয় হলে মানুষ তাতে যোগ দিবে। দ্বিতীয় শিক্ষা, ষড়যন্ত্র করে বর্তমান সরকারকে হটানো এখন কঠিন। এই শিক্ষা কি বিএনপি নেবে? এই শিক্ষা নিয়ে কি বিএনপি তাঁর নতুন গতিপথ ঠিক করতে পারবে? 

Read in English- https://bit.ly/2qu0ume

বাংলা ইনসাইডার/এসআর 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭