ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির স্থায়ী কমিটির শূন্য পাঁচ পদে কারা আসছেন?


প্রকাশ: 05/04/2024


Thumbnail

বিএনপির স্থায়ী কমিটির পাঁচটি পদ শূন্য। এই পাঁচটি শূন্য পদ পূরণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাদেরকে এই শূন্য পদে আনা যায়- এ জন্য লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বৈঠকের পর বৈঠক করছেন। কিন্তু এই সমস্ত বৈঠকের ফলাফল এখন পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা দেখতে পারেননি। 

যদিও লন্ডন থেকে বলা হয়েছে যে, ঈদের পরপরই বা ঈদের আগেই স্থায়ী কমিটির শূন্য পদগুলো পূরণ করা হবে এবং আন্দোলনকে গতিশীল করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে যে, এখন পর্যন্ত স্থায়ী কমিটির শূন্য পদগুলো পূরণ করা হয়নি। 

অনেকেই মনে করছেন যে, নানা রকম হিসাব নিকাশ এবং সমীকরণের কারণেই স্থায়ী কমিটির শূন্য পদ এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি। তবে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী এই সংস্থার সদস্য হিসাবে কোন পাঁচজনকে নেওয়া হবে তা নিয়ে বিভিন্ন রকম আলোচনা এবং প্রত্যাশার কথা শোনা যাচ্ছে। তৃণমূলের সঙ্গে এ নিয়ে তারেক জিয়া কথা বলছেন বলেও জানা গিয়েছে। আর এই সমস্ত আলোচনায় যাদের নাম সামনে এসেছে এবং যাদের ব্যাপারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন;

রুহুল কবির রিজভী: কোনো কিছু না হলে রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হচ্ছেন- এটা মোটামুটি নিশ্চিত। রুহুল কবির রিজভীকে স্থায়ী কমিটির সদস্য করা হলে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়ার কথাটি বিবেচনা করা হচ্ছে। এ নিয়ে দলের ভিতর কথা হয়েছে বলেও একাধিক সূত্র জানিয়েছে। 

আবদুল্লাহ আল নোমান: আবদুল্লাহ আল নোমান এর স্থায়ী কমিটির সদস্য হওয়া উচিত ছিল বহু আগেই। তিনি স্থায়ী কমিটির সদস্য হওয়ার যোগ্য- এ নিয়ে কারও কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারেক জিয়া তাকে স্থায়ী কমিটির সদস্য করবেন কিনা এ নিয়ে বিএনপির মধ্যেই এক ধরনের অনিশ্চয়তা রয়েছে। বিএনপি নেতারা নিশ্চিত নন যে, শেষ পর্যন্ত আবদুল্লাহ আল নোমানকে স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসাবে ঘোষণা করা হবে। 

আবদুল আউয়াল মিন্টু: আবদুল আউয়াল মিন্টু তারেক জিয়ার ঘনিষ্ঠ একজন রাজনীতিবিদ। তিনি যতটুকু রাজনীতিবিদ তার চেয়ে বেশি তিনি ব্যবসায়ী এবং তারেকের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত। এজন্য অনেকে মনে করছেন এবার স্থায়ী কমিটিতে আবদুল আউয়াল মিন্টু থাকাটা অনেকটাই নিশ্চিত। কারণ নানা রকম প্রয়োজনে এবং কারণেই তারেক জিয়ার আবদুল আউয়াল মিন্টুকে প্রয়োজন হয়। তাতে তিনি এড়িয়ে যেতে পারবেন না। 

আমানউল্লাহ আমান: আমানউল্লাহ আমান কারাভোগ করা নেতা এবং সাবেক ডাকসু ভিপি। বিএনপিতে তার একটি অবস্থান রয়েছে। যদিও মাঝখানে তাকে নিয়ে নানা রকম গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। কিন্তু তারপরও সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি জনপ্রিয়। এ কারণে বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে আমানউল্লাহ আমান অন্তর্ভূক্ত হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। 

মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন: মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন এদিক ওদিক করে কিংস পার্টিতে যাওয়ার চিন্তা করে আবার ফিরে এসেছেন। এখন তিনি বিএনপির নেতাদের চেয়েও বড় বিএনপি হয়েছেন। কিন্তু তার অতীত অবদানের কথা বিবেচনা করে এবং কৌশলগত কারণে বিএনপি তাকে স্থায়ী কমিটির আনতে চায়। ইতোমধ্যে স্বাধীনতা উদযাপন কমিটিতে তাকে আহ্বায়ক করা হয়েছিল। তবে অনেকে মনে করেন, এই ধরনের লোককে স্থায়ী কমিটিতে আনা বিপজ্জনক এবং যেকোন সময় তারা উল্টো পথে হাঁটতে পারেন। এটি দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আর এই রকম বাস্তবতায় শেষ পর্যন্ত মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিনকে স্থায়ী কমিটিতে আনা হবে কিনা তা নিয়ে অনেকের সন্দেহ এবং সংশয় রয়েছে।

নিপুন রায় চৌধুরী: সাম্প্রতিক সময়ে নিপুন রায় চৌধুরীকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। তিনি তারেক জিয়ার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। যে কয়েকজন বিএনপি নেতা সরাসরি প্রতিদিন তারেক জিয়াকে দেশের তথ্য হালনাগাদ করেন তাদের মধ্যে নিপুন রায় চৌধুরী একজন। যদিও তার শশুর গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ইতোমধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন। একই পরিবার থেকে দুজনকে স্থায়ী কমিটিতে নেয়া হবে কিনা তা নিয়ে অনেকের সন্দেহ রয়েছে। তবে নিপুন রায় চৌধুরী যদি শেষ পর্যন্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য হন তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

এরকম বেশ কয়েকজনের নাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে একাধিক সূত্রগুলো বলছে, শেষ পর্যন্ত লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াই স্থায়ীতে কারা থাকবেন সেটির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭