ইনসাইড পলিটিক্স

ফখরুল কি স্বেচ্ছা অবসরে গেছেন?


প্রকাশ: 06/04/2024


Thumbnail

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দীর্ঘদিন ধরেই বিএনপির মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। শুধু মহাসচিব বললে ভুল বলা হবে, তিনি আসলে গত এক দশকে বিএনপির মূল নেতা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। বিএনপির নীতি নির্ধারণীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা না থাকলেও বিএনপির মাঠের প্রধান নেতা হলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তাকে নিয়ে রহস্যের ধুম্রজাল সৃষ্টি  হয়েছে। বিশেষ করে ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর তিনি গ্রেপ্তার হন এবং এ গ্রেপ্তার থেকে মুক্ত হওয়ার পর রাজনীতিতে অরুচি এসেছে বিএনপির এই নেতার।

ইতিমধ্যে তিনি জানিয়েছেন, দলের মহাসচিব থাকতে চান না। কিন্তু তার মহাসচিব থাকা না থাকার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত বিএনপি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। তবে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসচিবের কর্মকান্ড থেকে নিজেকে গুটিয়ে ফেলেছেন। বিভিন্ন জেলার নেতারা এলাকার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তার কাছে গেলে তিনি অন্য নেতাকে ধরিয়ে দিচ্ছেন। গতকাল ঢাকার এক নেতা গিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কিছু সমস্যা বিষয়ে কথা বলার জন্য। তিনি মির্জা আব্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য পরামর্শ দেন।

অন্য একজন নেতা গিয়েছিলেন, অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি গঠনের জন্য, তিনি এ ব্যাপারে রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে কথা বলার জন্য পরামর্শ দেন। এভাবেই দায়িত্ব এড়িয়ে চলছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আগে যাকে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা দলীয় কর্মকান্ডে নিবেদিত প্রাণ দেখা যেত সেই মির্জা ফখরুল এখন নিজেকে রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছেন। কোন গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে যাওয়া ছাড়া এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে বক্তব্য দেওয়া, দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করা ছাড়া দলীয় কর্মকান্ডে তাকে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।

একজন মহাসচিবের প্রধান এবং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো দলকে ঠিক রাখা, সংগঠনকে গুছানো, সংগঠনের বিভিন্ন সমস্যা বিষয়ে দেখভাল করা। কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন সেসমস্ত বিষয়গুলো মোটেই দেখছেন না। বরং ধরনের এ সমস্যা আসলে তিনি বিরক্তবোধ করছেন এবং এসমস্ত বিষয়গুরো অন্য কাউকে বলার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন।

কেন নিজেকে তিনি এভাবে গুটিয়ে নিয়েছেন বা রাজনীতিতে তিনি নিজেকে কেন আস্তে আস্তে নিষ্ক্রিয় করছেন এর উত্তরে অনেকেই মনে করছেন যে নির্বাচন পরবর্তী বিএনপির যে রাজনীতির হাল এবং নেতা-কর্মীদের জন্য হতাশা সেটার কারণেই মির্জা ফখরুল নিজেকে আস্তে আস্তে স্বেচ্ছা অবসরে নিয়ে যাচ্ছেন।

তবে, বিএনপির বিভিন্ন নেতারা বলছেন, আসলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক অনীহার প্রধান কারণ হলো তার পারিবারিক সমস্যা। তিনি নিজে অসুস্থ এবং হৃদরোগ ছাড়াও একাধিক জটিল অসুখে ভুগছেন।

অন্যদিকে তার স্ত্রীকে নিয়েই মির্জা ফখরুল বেশি বিপর্যস্ত। তার স্ত্রীর ক্যান্সার ধরা পড়েছে এবং একারণেই তিনি অনেকটাই হতাশাগ্রস্থ। তাই আস্তে আস্তে তিনি নিজেকে রাজনীতি থেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কাগজে কলমে বিএনপির মহাসচিব থাকলেও এখন তিনি অনেকটাই স্বেচ্ছা অবসরে গেছেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭