নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 14/04/2018
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে ছাত্রলীগের একাংশও জড়িত ছিল। এরা বিভিন্ন সময় ছাত্রদল এবং ছাত্রশিবির থেকে ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছে। আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে এরা সংগঠনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এদের সঙ্গে বিএনপি-জামাত অথবা লন্ডনের কোনো যোগাযোগ ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া আন্দোলনে ছাত্রলীগের অন্তত ৩৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা আন্দোলনকে সহিংসতার দিকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কাজ করেছে। এরা সবাই হল পর্যায়ের নেতা। এরা ২০১৪ থেকে ২০১৬ এর মধ্যে ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছে।
একাধিক গোয়েন্দা সূত্রে তদন্তে দেখা গেছে, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও এর সময় কয়েকজন হল নেতাকে দেখা গেছে। কবি সুফিয়া কামাল হলে ছাত্রলীগ সভাপতি এশাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার সঙ্গেও ছাত্রলীগের হল পর্যায়ের নেতারা জড়িত ছিল। গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, তাৎক্ষণিকভাবে সে সময় উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো। গোয়েন্দারা পরীক্ষা করে দেখছে যে, কারও উস্কানিতে না অভ্যন্তরীণ অন্ত: কলহের কারণেই ছাত্রলীগের কারণেই ছাত্রলীগের কিছু কর্মী আন্দোলনে জড়িয়েছে। তদন্তের পরপরই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগও কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের কার কি ভূমিকা ছিল তা তদন্ত করছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭