কালার ইনসাইড

অভিনয়ের সঙ্গে গানেও সফল তারা...


প্রকাশ: 07/04/2024


Thumbnail

বাংলা চলচ্চিত্রের ৯০ দশকের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রিদের কথা বলতে গেলে প্রথমেই তাদের নাম আসবে। যারা অভিনয়ে নিজেদেরকে সাফল্যের চুড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গিছে। শুধু অভিনয়ই নয়, পাশাপাশি তারা নিজেরেকে সফল করেছেনে গানে কণ্ঠ দিয়ে। তাই দর্শকপ্রিয় অভিনয়শিল্পীর পাশাপাশি হয়ে যান জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী। আর এমন কয়েকজন তারকা নিয়ে জানা যাক, কারা সেই অভিনেতা-অভিনেত্রি যারা অভিনয় এবং কন্ঠশিল্পী হয়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন..

শাকিব খান

হার্টবিট প্রোডাকশনের কিং খান, মালেক আফসারীর ‘মনের জ্বালা’ ছবিতে প্লেব্যাক করেন শাকিব খান। ‘আমি চোখ তুলে তাকালেই’ গানটি গেয়েছেন তিনি। পরে ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী-২’ ছবিতেও প্লেব্যাক করেন এই শীর্ষ অভিনেতা।

শাবনূর

ছোটবেলা থেকে গুনগুন করে গলায় সুর তুলতেন শাবনূর। প্রখ্যাত তরুণ চিত্রনির্মাতা যার ‘দুই নয়নের আলো’ ছবিতে অভিনয় করে জাতীয় পুরস্কার পেলেন শাবনূর সেই নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘এত প্রেম এত মায়া’ ছবির টাইটেল গানে কণ্ঠ দিয়েছেন শাবনূর।

মৌসুমী

ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি দুর্বলতা ছিল মৌসুমীর। গায়িকা হওয়ার স্বপ্ন থাকলেও হয়ে গেলেন নায়িকা। তারপরও গানের মায়া ছাড়েননি তিনি। নব্বইয়ের দশকে প্রখ্যাত নির্মাতা মনতাজুর রহমান আকবরের ‘মগের মুল্লুক’ ছবিতে প্রথম প্লেব্যাক করলেন নায়িকা মৌসুমী। এরপর ‘ছায়া-ছবি’সহ অনেক ছবিতে গেয়েছেন মৌসুমী।

পূর্ণিমা

ইনস্টাগ্রামে লতা মঙ্গেশকরের ‘মে তেরে ইশক’ গানটি গেয়ে পোস্ট করেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। তার কণ্ঠে গান শুনে সুবর্ণা মুস্তাফা, নোবেল, আঁখি আলমগীরের মতো তারকাদের প্রশংসা কুড়ান তিনি। এরপর চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানের ১২তম আসরে সংগীতশিল্পী ইমরানের জনপ্রিয় গান ‘বলতে বলতে চলতে চলতে’ নতুনভাবে গাইলেন এই তারকা। এখনো সময় সুযোগ পেলেই গিটার বাজান তিনি।

রুবেল

অভিনয়ে আসার আগে থেকেই গাইতেন রুবেল। বড় ভাই মাসুদ পারভেজ পরিচালিত ‘জীবন নৌকা’ ছবিতে ‘মেঘ যদি সরে যায় দেখতে চাঁদমুখ ভালো লাগে’ গানটি গেয়েছিলেন তিনি। পর্দায় এই গানে ঠোঁট মিলিয়েছিলেন সোহেল রানা। আরও অনেক ছবিতেই পরে প্লেব্যাক করেন রুবেল। ‘মায়ের জন্য যুদ্ধ’, ‘অন্ধকারে চিতা’, ‘বাঘে বাঘে লড়াই’, ‘খুনের পরিণাম’, ‘তান্ডব’ ছবিতেও প্লেব্যাক করেছেন রুবেল।

ফজলুর রহমান বাবু

জনপ্রিয় অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু ২০০৫ সালে ‘মনপুরা’ ছবিতে ‘নিথুয়া পাথারে’ গানটি গেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। এরপর আরও বেশকটি ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন এবং এখনো করছেন। তাছাড়া তার ‘ইন্দুবালা’সহ একাধিক গানের অ্যালবামও রয়েছে।


চঞ্চল চৌধুরী

চঞ্চল চৌধুরী। বড় পর্দা আর ছোট পর্দা, উভয় জগতেই রয়েছে তার পদচারণ। ‘রূপকথার গল্প’, ‘মনপুরা’, ‘মনের মানুষ’, ‘টেলিভিশন’ ও ‘আয়নাবাজি’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছাড়াও অসংখ্য টিভি নাটকও করেছেন। সম্প্রতি তার অভিনীত ‘তাকদির’ ওয়েব সিরিজ প্রশংসিত হয়। করছেন বেশকিছু ওয়েব সিরিজ। তিনি বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজাতেও দক্ষ। কণ্ঠেও রয়েছে সুর। ‘মাঝি বাইয়া যাও রে’ এর মতো জনপ্রিয় পল্লীগীতিও ধারণ করেছেন নিজের কণ্ঠে। চঞ্চল চৌধুরীর মিশ্র ও একক গানের অ্যালবাম মিলিয়ে মোট অ্যালবামের সংখ্যা পাঁচটি। ‘পিতা’ চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছেন শাওনের সঙ্গে। অভিনেত্রী শাওনের সঙ্গে ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’ ও ‘নেশা লাগিল রে’ গানটি  দ্বৈতভাবে গেয়ে বেশ জনপ্রিয়তা পান।

আরিফিন শুভ

ছোটবেলা থেকেই গাওয়া শুভর পছন্দ। ভালো গাইতেও পারেন। প্লেব্যাক করলেন ইফতেখার চৌধুরীর ‘অগ্নি’ ছবিতে। ‘ডুবে যাই তোমার ভাবনায়’ শিরোনামের গানটিতে আরিফিন শুভর সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছিলেন কণা। এরপর অনন্য মামুনের ‘অস্তিত্ব’ ছবির জন্যও একটি গান করেন। ‘আমি বাংলার হিরো’ শিরোনামের গানটির সংগীত পরিচালনায় ছিলেন প্রীতম হাসান।

মিথিলা

মূলত মডেলিং ও অভিনয়ই হচ্ছে তার মূল ট্র্যাক। তবে কণ্ঠে সুর থাকার কারণে গানের ভুবনেও জায়গা করে নিতে পেরেছেন মিথিলা। গানের হাতেখড়ি হয়েছিল ‘হিন্দোল’ একাডেমিতে। মিথিলার গাওয়া ‘রোদেলা দুপুরে’, ‘পাগলা ঘুড়ি’ ও ‘ঘুমখোয়ারে’ গানগুলো বেশ প্রশংসিত হয়েছে। মিথিলার প্রথম একক অ্যালবাম ‘অপারগতা’। গান গাওয়ার পাশাপাশি কিছু গানও রচনা করেছেন তিনি। বেশকিছু টিভি নাটকেও অভিনয় করেছেন।

মেহের আফরোজ শাওন

মেহের আফরোজ শাওন। তার অভিনয় জীবন বেশ দীর্ঘ। নাটক ও চলচ্চিত্রে দারুণ অভিনয় করেছেন তিনি। এবার আসা যাক তার গানের কথায়। ‘জনম জনম তব তরে কাঁদিব’, ‘যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো’ ও ‘আমার আছে জল’, ‘যে থাকে আঁখি পল্লবে’, ‘আমার ভাঙা ঘরে ভাঙা জোছনা’, ‘আজি ঝরঝর মুখর বাদরও দিনে’-এসব জনপ্রিয় গান মেহের আফরোজ শাওনের গাওয়া।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭