ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি দুইশ, জামায়াত একশ উপজেলায় প্রার্থী দিচ্ছে


প্রকাশ: 08/04/2024


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। দুই দফায় উপজেলা নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে। প্রথম দফা উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৫২ টি উপজেলায়। ৭ মে ভোটগ্রহণের কথা। দ্বিতীয় দফায় ১৬২ টি উপজেলায় ২১ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। 

এবার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার না করায় এবার নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। যদিও জাতীয় পার্টি দলীয় প্রতীক ব্যবহার করে নির্বাচন করছে। তবে আওয়ামী লীগ এবং অন্য রাজনৈতিক দল দলীয় প্রতীক ব্যবহার না করার ফলে এই নির্বাচনে বিএনপি এবং জামায়াতের অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। 

দলীয় প্রতীক ব্যবহার করলে বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের ব্যাপারে অবস্থান গ্রহণ করতে হত। বিএনপিকে বলতে হতো যে, তারা নির্বাচন বর্জন করছে বা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু যেহেতু দলীয় প্রতীকে আওয়ামী লীগই ব্যবহার করছে না সেজন্য বিএনপি এই নির্বাচনের ব্যাপারে নীরবতা পালন করছে। 

বিএনপির পক্ষে বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, তারা এটি দলের স্থানীয় নেতাদের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা যদি মনে করেন যে, তারা নির্বাচন করতে চান এবং নির্বাচনে তাদের অবস্থান ভাল, তাহলে তারা করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে কোন দলীয় প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না এবং দলের পরিচয় ব্যবহার করা যাবে না। এই রকম শর্তে রাজি হয়েই বিএনপির প্রায় দুই শতাধিক নেতা এবার উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। কোনো কোনো উপজেলায় বিএনপির একাধিক প্রার্থী খবরও শোনা যাচ্ছে। 

মূলত যেখানে যেখানে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা ভালো, স্থানীয় নেতারা জনপ্রিয় সেখানেই তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এবং প্রার্থী দিচ্ছে। অন্যদিকে জামায়াত দীর্ঘদিন পর এবার শক্ত সমর্থ নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নামার চেষ্টা করছে। 

বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে, জামায়াত ১০০ টি উপজেলায় এবার প্রার্থী দিচ্ছে। যে সমস্ত উপজেলাগুলোতে জামায়াতের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে এবং যেখানে বিএনপির অবস্থান দুর্বল সেখানেই তারা প্রার্থী দিচ্ছে। সেই বিবেচনা থেকে এবার জামায়াত প্রায় ১০০ টি উপজেলায় প্রার্থী দিতে যাচ্ছে বলে জামায়াতের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।

যে ৩০০ উপজেলায় বিএনপি এবং জামায়াত প্রার্থী দিচ্ছে সেখানে অদ্ভুত একটা সমঝোতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিএনপি যেখানে প্রার্থী দিয়েছে সেখানে জামায়াতের কোনো প্রার্থী দেখা যাচ্ছে না। আবার অন্যদিকে যেখানে জামায়াত প্রার্থী দিয়েছে সেখানে বিএনপির প্রার্থীদের মাঠে দেখা যাচ্ছে না। অর্থাৎ বিএনপি এবং জামায়াতের মধ্যে ঐক্য রয়েছে। আর এই ৩০০ উপজেলাতেই আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। আর সেই কারণেই এবার উপজেলা নির্বাচনে একটা বড় ধরনের চমক দেখা যেতে পারে। 

বিএনপির নেতারা বলেছেন, যদি নির্বাচন শেষ পর্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হয় তাহলে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের ভরাডুবি দেখবে। আওয়ামী লীগ অবশ্য বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছে। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বার বার হুশিয়ারি উচ্চারণ করছেন দলের বিভক্তি দূর করার জন্য। মন্ত্রী-এমপিরা যেন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করেন সেজন্য তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এ সব  নির্দেশনা সত্বেও প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগের কমপক্ষে পাঁচ জন করে প্রার্থী দাঁড়িয়েছে। আর এ কারণেই উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এবার অন্য ধরনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭