ইনসাইড বাংলাদেশ

ঈদের দিন কী খাবার খাবেন?


প্রকাশ: 10/04/2024


Thumbnail

ঈদ মানেই আনন্দ, খুশি। শিশুদের কলরব, নতুন জামাকাপড় পরে হই-হুল্লোড়, নামাজ শেষে সবার সঙ্গে কোলাকুলি বা দিনভর ঘুরে ঘুরে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়। সঙ্গে লাচ্ছা, ফিরনি ও হরেক রকমের মিষ্টির স্বাদ নেওয়া। এমন একটি দিনকেই হয়তো ঈদের দিন বলে।

বছরে দুবার ঈদের আনন্দ বয়ে আসে প্রত্যেক মুসলমানের ঘরে। এর মধ্যে একটি হলো ঈদুল ফিতর। মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব এটি। দীর্ঘ এক মাস রোজা পালনের পর আসে খুশির এই দিনটি।

ঈদ উপলক্ষে দিনটিতে অনেকেই ব্যস্ত হয়ে পরে বাহারি খাবার নিয়ে। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর হওয়ায় খাওয়ার প্রতি বাড়তি আকর্ষণ কাজ করাই স্বাভাবিক। তবে এখানেই ঘটতে পারে বিপত্তি। খাবার নিয়ে এদিক-সেদিক হলে মাটি হতে পারে ঈদের আনন্দ।

দীর্ঘদিন রোজা রাখার পর ঈদে খাবার দাবার বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। নাহলে বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, এসিডিটি বা গ্যাস, পাতলা পায়খানাসহ নানা রোগ বাধতে পারে শরীরে। আসুন, জেনে নেই, ঈদের দিন কী খাবেন, কী খাবেন না।

ঈদের দিন কী খাবেন-

ঈদের সকালের খাবার : পুরো এক মাস রোজা রাখার পর ঈদের সকালে খাবেন প্রথমে। এ জন্য বেশি খাবার খেয়ে ফেলা ঠিক নয়। পরিমাণে বেশি খেয়ে ফেললে বদহজম, পেটে অস্বস্তিসহ আরো নানা সমস্যা হতে পারে।

ঈদের দিন সকালের খাবার যাতে হালকা হয়, তা দেখতে হবে। সেক্ষেত্রে ফিরনি হতে পারে খুব ভালো মেন্যু। দুধ, চাল ও গুড় দিয়ে ঘরেই তৈরি করে নিতে পারেন ফিরনি। দুধের বানানো যেকোনো রেসিপি প্রোটিনের পাশাপাশি ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করবে। ফলের জুস বা ফল থাকতে পারে সকালের খাবার মেন্যুতে। এ ছাড়াও তেলছাড়া পাতলা পরোটা আর সবজিও হতে পারে ভালো মেন্যু। সকালেই সবজি খেয়ে নিলে দৈনিক সবজির চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ হবে।

এদিকে ঈদের দিন ডিম না খাওয়াই ভালো। কেননা এই উৎসবে মাংস খাওয়া হয় বেশি। তাই ডিম না খেলে পুষ্টির একটা ব্যালান্স থাকে।

ঈদের দুপুরের খাবার 

ঈদের দিন দুপুরে বেশি পদের খাবার না রাখাই ভালো। দুই থেকে তিনটি খাবার ভালোভাবে রান্না করলে পুষ্টি, তৃপ্তি, ক্যালোরি সবই পূরণ সম্ভব। এ জন্য থাকতে পারে মাছের একটি আইটেম, যেমন: মাছের চপ বা কাটলেট, মাছের দোলমা, মাছের কোরমা, গ্রিল ফিশ বা মাছের কাবাব ইত্যাদি। এতে মাংস খাওয়ার প্রবণতা কিছুটা ঠেকানো যায়।

এছাড়াও দুপুরের মেন্যুতে রাখতে পারেন সাদা পোলাও বা খিচুড়ি। তবে কেউ বিরিয়ানি করলে সাইড ডিশ যেন বেশি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবুজ সালাদ বা টক দই ও সবজির সালাদ দুপুরের মেন্যুতে অবশ্যই রাখুন, যা ভিটামিনস ও মিনারেলস প্রদান করে।

ঈদের রাতের খাবার

সারা দিন এত খেয়ে অনেকেই আর রাতে খেতে পারেন না। এ জন্য রাতের মেন্যুতে খুব বেশি আইটেম রাখবেন না। রুটি বা সাদা ভাতের সঙ্গে মুরগি বা গরুর কাবাব, সবজি বা মাংসের অন্য কোনো রেসিপি থাকতে পারে। আবার একটু ভিন্নধর্মী খাবারের স্বাদ নিতে চাইলে চায়নিজ ফুডও ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন। কেননা এ জাতীয় খাবারে তেল-মসলা কম থাকে।

বাড়তি আয়োজন

যেহেতু এখন গরমের সময়। যাতে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা না দেয় এ জন্য শরবত, তরমুজ বা ফলের রস রাখা যেতে পারে খাবারের মেন্যুতে। গরমে হজমে সমস্যা হতে পারে, তাই খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি, শরবত, ফলের রস ও অন্য তরল খাবার বেশি গ্রহণ করুন। লেবুর রস, চিনি ও লবণ দিয়ে শরবত পানের পাশাপাশি খেতে পারেন ডাব, মাল্টা, আনারস, লাচ্ছি প্রভৃতি।

যেসব খাবার খাবেন না-

একমাস রোজা থাকার পর খাওয়া ক্ষেত্রে কিছু বিষয় এড়িয়ে যেতে হবে। যেমন-অনেকেই অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন। এটা করবেন না।

ঈদের দিন সবার বাসায় মাংস থাকে এ জন্য সারাদিন অনেক মাংস খাওয়া হয়ে যেতে পারে। সে বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। দিনে ৭০ গ্রামের বেশি মাংস খাওয়া উচিত নয়। প্রতি বেলায় ঘরে রান্না করা মাংস ২-৩ টুকরার বেশি খাবেন না।

বেশি তেলে বা দৃশ্যমান জমানো চর্বিসহ মাংস রান্না করবেন না। রান্না করতে হবে কম তেলে।

নানা সোডা পানি বা সফট ড্রিংকস পান নয়, এসবের পরিবর্তে চিনি ছাড়া নানা মৌসুমি ফলের জুস, বোরহানি গ্রহণ করা উত্তম।

ঘিয়ে ভাজা পরোটার পরিবর্তে সেঁকা রুটি খেতে পারেন। এছাড়াও ঈদে বাইরের সব খাবার এড়িয়ে চলুন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭