ইনসাইড বাংলাদেশ

চাঁদপুরে ৪০ গ্রামে উদযাপন হচ্ছে ঈদুল ফিতর


প্রকাশ: 10/04/2024


Thumbnail

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফসহ জেলার প্রায় ৪০ গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন হচ্ছে।

বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এ জামাতে ইমামতি করেন দরবার শরিফের পীর মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানি। অন্যদিকে সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে সকাল সাড়ে ১০টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরিফের পীর মাওলানা আরিফ চৌধুরী।

জানা গেছে, প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ১৯২৮ সালে আগাম রোজা রাখাসহ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালনের নিয়ম চালু করেন সাদ্রা দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইসহাক (রা.)। তার অনুসারীরা প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা রাখা ও ঈদ উদযাপন করা শুরু করেন। সেই থেকে বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দা আরব দেশসমূহের সঙ্গে মিল রেখে রোজা এবং ঈদসহ ধর্মীয় উৎসব পালন করেন। এর মধ্যে জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলীপুর, ভোলাচোঁ, ঝাকনি, সোনাচোঁ, প্রতাপপুর ও সুরঙ্গচাইল গ্রাম, ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুরঙ্গচাউল, কাইতাড়া, উভারামপুর, টোরামুন্সিরহাট, মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচানী, বাহেরচর পাঁচানী, আইটাদি পাঁচানী, দেওয়ানকান্দিসহ অর্ধশতাধিক গ্রামের মুসল্লিরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুধবার সকাল থেকে সমেশপুর ঈদগাহ মাঠ, সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল, মাদ্রাসা মাঠ সাদ্রা দরবার শরীফ মাঠসহ ১২টি ঈদগাহ মাঠে এবং উত্তর সাদ্রা বায়তুল সালাম জামে মসজিদ, দক্ষিণ সাদ্রা জামে মসজিদ, উত্তর অলিপুর বেপারী বাড়ি জামে মসজিদ, উত্তর অলিপুর ঢালী বাড়ি মসজিদ, দক্ষিণ বলাখাল হাজী বাড়ি, দক্ষিণ বলাখাল স্কুল বাড়ি, পাঁচানী দরগাম মসজিদ, পূর্ব পাঁচানী সরকার বাড়ি, দেওয়ানজিকান্দি প্রধানিয়াবাড়ী মসজিদ, সাড়ে পাঁচানী প্রধানিয়া জামে মসজিদ, দক্ষিণ মাথাভাঙ্গা ভেন্ডরবাড়ী মসজিদ, পাড়ে পাঁচানী উত্তরপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসহ ১৮টি জেলার বিভিন্ন স্থানে মোট ৩০টি ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও স্ব-স্ব এলাকায় এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মতলব উত্তরের দেওয়ানকান্দি গ্রামের ডালিম বলেন, আমরা চট্টগ্রামের মির্জাখিল দরবার শরীফের অনুসারী। প্রতি বছর আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উদযাপন করে আসছি। এবারও দেশটির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করেছি।

চাঁদপুরের একজন বলেন, বুঝতে শেখার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রথম চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে রোজা, ঈদ পালন করে আসছি। আমরা বিশ্বের যেকোনো জায়গায় চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ঈদ পালন করি।

হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফের পীর মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানি বলেন, আমরা কোরআন সুন্নাহের আলোকে সাদ্রা দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা পীর মাওলানা ইসহাক (র.) এর নিয়ম অনুযায়ী প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছি। কোরআন সুন্নাহর ধর্মীয় উৎসবগুলো পালন করে আসছি।

হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফের পীর ও সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী বলেন, আমরা ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলেই আমরা রোজা ও ঈদুল ফিতর পালন করছি। বর্তমানে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর হয়ে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে ঈদ উদযাপন করছে।

সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা ড. বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, পৃথিবীতে চাঁদ একটাই। সুতরাং পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলেই আমরা তারাবি, রোজা ও ঈদ পালন করি। এবছরও একই সময়ে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের দরবার শরীফের পক্ষ থেকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, আজ জেলার বিভিন্ন স্থানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। মুসল্লিদের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭