ইনসাইড বাংলাদেশ

বান্দরবান ভ্রমণ না করার অনুরোধ প্রশাসনের


প্রকাশ: 12/04/2024


Thumbnail

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনাকালে স্থানীয় পর্যটন এলাকাগুলোতে ভ্রমণে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করেছে প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসন ৯ এপ্রিল এ নির্দেশনা জারি করলেও আজ শুক্রবার বিষয়টি জানানো হয়। 

রুমা উপজেলার বর্তমান নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) রুটিন দায়িত্বে থাকা মো. দিদারুল আলম এ তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, ‘জেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সমন্বয় সংক্রান্ত কোর কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।’ তবে রুমায় যৌথ বাহিনীর অভিযান কত দিন চলবে নির্দেশনায় তা উল্লেখ করা হয়নি। 

৯ এপ্রিল দিদারুল আলম স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনাকালে হোটেলে পর্যটকদের কক্ষ ভাড়া না দিতে অনুরোধ জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গাইডদেরও পর্যটকদের নিয়ে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে না নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বলা হয়। এ ছাড়া, জিপ গাড়ি বা নৌপথেও পর্যটকের কোনো পর্যটনকেন্দ্রে না নিয়ে যেতে বলা হয় ওই নির্দেশনায়। 

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র সদস্যরা ব্যাংকের নিয়োজিত গ্রাম পুলিশ ও ব্যারাকে থাকা আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র ও গুলি লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়াও ডাকাতির সময় ব্যাংক ম্যানেজার নেজামউদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় কেএনএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। পরে অভিযানে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করা হয়। ওই সময় ব্যাংক সংলগ্ন মসজিদে সশস্ত্র অবস্থায় প্রবেশ করে তারাবি নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের জিম্মি করে মারধর করা হয়।

পরদিন ৩ এপ্রিল দিন-দুপুরে উপজেলা থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কেএনএফের সশস্ত্র সদস্যরা।

এ ঘটনায় রুমা ও থানচি থানায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। এসব ঘটনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত ১৯ জন নারীসহ ৫৮ জনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭