ইনসাইড পলিটিক্স

অসুস্থ নেতাদের ভারে অচল বিএনপি


প্রকাশ: 13/04/2024


Thumbnail

বিএনপির সিনিয়র সব নেতাই এখন অসুস্থ। সুস্থ নেতা খুঁজে পাওয়াই জন্য বিএনপিতে ভার। ঈদের দিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ফিরোজায় গিয়েছিলেন অসুস্থ বেগম খালেদা জিয়াকে দেখা করতে। সেই সাক্ষাতের সময় বেগম খালেদা জিয়া মজা করে নেতাদেরকে বলেছিলেন, আপনারা কেউই তো সুস্থ নন। আমরা তো এক অসুস্থ রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া এই কথাকে অস্বীকার করেননি। এরপর বেগম জিয়া বিভিন্ন নেতার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে সুস্থ নেতা কেউই নেই। বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এখন অসুস্থ। তিনি দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন। তার অবস্থা এখন পর্যন্ত শঙ্কা মুক্ত নয়। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা এই বর্ষীয়ান নেতা এখন বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছেন। 

বিএনপির আরেক নেতা ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন। বিশেষ করে তার নানা রকম শারীরিক জটিলতা রয়েছে। তিনি চলাফেরা খুব একটা করেন না। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া তিনি ঘর থেকে বেরোন না। 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হৃদরোগ ছাড়াও কিডনির সমস্যা এবং নানা রকম শারীরিক জটিলতা আক্রান্ত। কদিন আগে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা করিয়ে এনেছেন। 

বিএনপির আরেক নেতা মির্জা আব্বাস একাধিক রোগে আক্রান্ত এবং নানা রকম নানারকম শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানের শরীরও ভালো না। তিনি অসুস্থ এবং নানা রকম শারীরিক জটিলতা রয়েছে। লাঠি ছাড়া তিনি চলাফেরা করতে পারেন না। 

বিএনপির আরেক নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়েরও নানা রকম শারীরিক জটিলতা রয়েছে। তবে তিনি অন্যদের চেয়ে কিছুটা সুস্থ বলেই দাবি করেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীও নানা রকম শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। তারও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছাড়াও অন্য পর্যায়ের নেতাদেরও শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো না। 

বিএনপির একজন নেতা দাবি করেছেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা জেল জুলুম নির্যাতন, শারীরিক এবং মানসিক নিপীড়নের কারণে বিএনপির নেতারা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিছানায় পড়ে আছেন। তিনি দলকে কোন সার্ভিস দিতে পারছেন না। এমনকী কোন রকম অনুষ্ঠানেও তিনি উপস্থিত থাকতে পারছেন না। এরকম অসুস্থ নেতার সংখ্যা বিএনপিতে এখন বেশি। 

বিএনপির অনেকে মনে করছেন যে, ক্রমশ বিএনপি একটি অসুস্থ দলে পরিণত হচ্ছে। এর মধ্যে যারা দলে তরুণ সক্ষম তাদেরকেও সামনের দিকে নিয়ে আসাটাই যৌক্তিক বলে মনে করেন বিএনপির অনেক নেতা। না হলে এই অসুস্থ নেতাদের ভারে বিএনপি নিজেরা অচল হয়ে পড়ছে বলে অনেক বিএনপি নেতা মনে করছেন। এখন দেখার বিষয় যে, অতীতে অবদানের জন্য অসুস্থ নেতারা পদ আকড়ে রাখবেন নাকি সামনের দিনগুলোতে বিএনপিকে বিকশিত করার জন্য তারুণ্যকে সামনে আনা হবে। বিএনপির তরুণ নেতাদের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি দেখা গেছে। তারা বলছেনে যে, অসুস্থ নেতারা সব পদ আকড়ে রাখার কারণে বিএনপির রাজনৈতিক আন্দোলনও বিকশিত করতে পারছে না।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭