ইনসাইড বাংলাদেশ

মুজিবনগর সরকার স্বাধীনতাকামী বাঙালীকে উজ্জীবিত করেছিল


প্রকাশ: 17/04/2024


Thumbnail

আজ ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে অনন্য দিন। একাত্তরের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথগ্রহণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও সরকার পরিচালনা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। এই মুজিবনগর দিবস আমাদের বাঙালী জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর ফলে সমস্ত বাঙালী

১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের শপথগ্রহণের পর পরই আমরা ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা করি। কিন্তু তখনও মুজিবনগর সরকারের বিস্তৃত এত বেশি হয়নি। মোটামুটি মে মাসের দিকে আমরা মুজিবনগর সরকারের খোঁজ পাই। তখন আমি স্বাস্থ্য বিভাগে কাজ শুরু করলাম। আনুষ্ঠানিক ভাবে জুন মাস থেকে। সেদিন যদি মুুজিবনগর শপথ গ্রহণ না করত তাহলে হয়ত আমাদের মুক্তিযুদ্ধ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেত না। দেশে-বিদেশে অনেকে মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করলেও তারা কারও সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি। কিন্তু মুজিবনগর সরকার গঠিত হওয়ার পর সারা বিশ্বে খুব দ্রুত বাঙালীদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে একটা জোরালো জনসমর্থন গড়ে উঠে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকে এই সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং স্বাধীনতাকামী বাঙালীকে সমর্থন দিয়েছিল। পাকিস্তানের ভেতর আটকে পড়া অনেকে বাঙালী সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা আস্তে আস্তে মুজিবনগর সরকারের যোগ দেয়। যারা পাকিস্তানের আর্মড ফোর্সে ছিলেন তারা পালিয়ে আসে এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়।

তবে যারা এসেছিল তারা যে আবার সবাই আসলে মুক্তিযুদ্ধ করতেই এসেছিল এমন নয়। এর মধ্যে অনেকে পাকিস্তানের এজেন্ট হয়ে এসেছিলেন। যেটা আমরা পরে বুঝতে পেরেছিলাম। তবে এটা বুঝা সহজ ছিল না। যারা পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসেছিল তাদের মধ্যে দুটি ভাগ ছিল। একটি ভাগে ছিল যারা বিশ্বাস করত যে, তাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের অংশগ্রহণ করতে হবে। তারা অংশগ্রহণ করলে মুক্তিযুদ্ধ আরও গতি পাবে। আবার অন্য আরেকটি ভাগ ছিল যারা পাকিস্তানপন্থি ছিল এবং বাংলাদেশ যদি যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত হয়ে যায় তাহলে যেন তারা রক্ষা পায় সেরকম ছিল তাদের মনোভাব। সত্যিকার অর্থে কারা যুক্তিযোদ্ধা ছিল সেটা তো আমরা দেশ স্বাধীন হবার পর বুঝতে পেরেছি।

মুজিবনগর সরকার গঠনের পর পরই গেরিলা যুদ্ধ পদ্ধতি গতি পেয়েছিল। সম্মুখ যুদ্ধও হয়েছে তবে গেরিলা যুদ্ধের অবদান ছিল অনেকে বেশি। শুধু যারা যুদ্ধ করেছে তারা নয়, যারা তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে আশ্রয় দিয়েছিল তাদের অবদান ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। এ কথা অনস্বীকার্য যে, মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ দ্রুত সংগঠিত হয়েছিল এবং এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল। যা স্বাধীনতাকামী বাঙালীকে উজ্জীবিত করেছিল।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭