ইনসাইড পলিটিক্স

ভারতে সব দলেরই অপছন্দ বিএনপি


প্রকাশ: 20/04/2024


Thumbnail

ভারতের নির্বাচন শুরু হয়েছে গতকাল থেকে। প্রথম দফার নির্বাচন হয়েছে উত্তেজনাপূর্ণ। এই নির্বাচনে ভারতের ক্ষমতা পরিবর্তন হবে, নাকি টানা তৃতীয় বারের মতো নরেন্দ্র মোদি আবার ক্ষমতায় আসবেন তা বুঝা যাবে ৪ জুন। ঐ দিন ভোট গণনা শুরু হবে। তবে ভারতে বিজেপি বা ইন্ডিয়া জোট যারাই ক্ষমতায় আসুন না কেনো, দুই জোটই বিএনপিকে অপছন্দ করে এবং বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব রক্ষা করার নীতি নিয়ে চলে। দুটি জোটের কূটনৈতিক নীতি এবং ক্ষমতায় এলে পরিকল্পনার যে কৌশলপত্র তাতে বাংলাদেশের ব্যাপারে অভিন্ন মতামত লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

শুধু বাংলাদেশ নয়, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বিজেপি এবং ইন্ডিয়া জোট প্রায় অভিন্ন মনোভাব পোষণ করেছেন। দুটি দলের নির্বাচনী যে অঙ্গীকার এবং কূটনৈতিক পরিকল্পনা তা বিশ্লেষণ করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরীক হলো কংগ্রেস। কংগ্রেস তার নির্বাচনী ইশতেহারে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেছে এবং বাংলাদেশে যেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার রাজনীতি বিকশিত হয়, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের যে বীজ বপিত হয়েছিল সেই সম্পর্ক যেন আরও এগিয়ে যায়, সেই ব্যাপারে অঙ্গীকার করা হয়েছে। ভারতীয় কংগ্রেস তার নির্বাচন কূটনৈতিক পরিকল্পনায় যে সমস্ত বিষয়গুলো রেখেছেন তাতে বাংলাদেশে যাতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের লালন না হয়, ধর্মান্ধ উগ্র মৌলবাদীরা যাতে ক্ষমতাবান না হয়ে উঠে সে ব্যাপারে সতর্ক দেয়া হয়েছে।

একই রকম অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে বিজেপির নির্বাচনী অঙ্গিকারে। বিজেপি সবসময় মনে করে যে, বাংলাদেশের ভূখন্ড যেন ভারতের বিছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় কেন্দ্রে পরিণত না হয়। বাংলাদেশে যেন ধর্মান্ধ, মৌলবাদি, সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা চাড়া না দিয়ে ওঠে এবং বাংলাদেশে যাতে সংখ্যালঘু নিপিড়ন না হয়।

ভারতের বিজেপি সমর্থিত থিংক ট্যাংক গুলো সুস্পষ্টভাবে বলেছে যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপিড়ন বন্ধ করার জন্য এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে রাখার জন্য আওয়ামী লীগের কোন বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় না থাকে তাহলে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে বলে মনে করে বিজেপি এবং কংগ্রেস দু’টি রাজনৈতিক দল। এ দুটির বাইরেও যে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো ভারতের কূটনীতি এবং পররাষ্ট্র নীতিতে ভূমিকা রাখতে পারে সে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থানও কংগ্রেস এবং বিজেপির মতোই। কংগ্রেসের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের লড়াই করা তৃণমূল বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বিশেষ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। আর একারণেই ভারতের নির্বাচনে ফলাফল যাই হোক না কেন, এটি বিএনপির জন্য কোন আশার বাণী আনবে না।

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা এ বক্তব্যটি স্বীকার করেন। তবে নাম প্রকাশ করে বিএনপির কোন নেতাই ভারতের নির্বাচন নিয়ে এখন কোন মন্তব্য করতে রাজি নন। তবে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলছেন, ‘ভারতের মনোভাব যাই হোক না কেন, আমাদেরকে ক্ষমতায় আসতে হবে জনগণের সমর্থন নিয়েই। আমরা যদি জনগণের তাহলে ভারত কি ভাবলো না ভাবলো, ভারত কাকে চাই বা না চাই সেটি কোন বিষয় নয়’।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭