কালার ইনসাইড

চার্লি চ্যাপলিনের জানা-অজানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 16/04/2018


Thumbnail

উনিশ শতকের শুরুতে গোলাকার টুপি, ঢোলা ট্রাউজার, টাইট জ্যাকেট আর বেঢপ জুতা নিয়ে বিশ্ব চলচ্চিত্রে আবির্ভাব ঘটে চার্লি চ্যাপলিন নামের এক বিস্ময়কর অভিনেতার। বিশ্বব্যাপি কমেডি কিং হিসেবে পরিচিত চ্যাপলিন অভিনয় ছাড়াও চলচ্চিত্র পরিচালনা, প্রযোজনা, সম্পাদনা, চিত্রনাট্য ও সংগীত আয়োজনে ছিলেন সিদ্ধহস্ত। সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই অভিনেতা ১৮৮৯ সালের ১৬ এপ্রিল এক ব্রিটিশ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। আজ তাঁর ১২৯ তম জন্মদিন। মহান এই অভিনেতার জন্মদিনে তাঁর জানা অজানা কিছু তথ্য তুলে ধরছে বাংলা ইনসাইডার-

-আলোচিত জার্মান শাসক এডলফ হিটলারের জন্মের ৪ দিন আগে জন্মেছিলেন চার্লি চ্যাপলিন।

-একবার চার্লি চ্যাপলিনের মতো দেখতে মানুষদের নিয়ে এক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে চ্যাপলিন নিজেও অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু বিচারকদের কেউ তাঁকে চিনতে না পারলে প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান নিয়ে বাড়ি ফেরেন চ্যাপলিন।

-১৯৪০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দ্য গ্রেট ডিটেক্টর’ ছবিতে এডলফ হিটলারের চরিত্রে অভিনয় করেন চ্যাপলিন

-চ্যাপলিন নিজেই তাঁর অভিনীত বেশীরভাগ ছবির সঙ্গিতায়োজনও সম্পাদনা করতেন

-জীবদ্দশায় বেশ কিছু গল্প, কবিতাও লিখেছেন চ্যাপলিন।

-অভিনয়শিল্পী হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও চ্যাপলিন ১৯৫২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘লাইমলাইট’ ছবির জন্য বেস্ট মিউজিক ক্যাটাগরিতে অস্কার পুরষ্কার জিতেন।

-১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘চ্যাপলিন’ ছবিতে চ্যাপলিনের মেয়ে জেরাল্ডাইন চ্যাপলিন চ্যাপলিনের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন।

-বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে ঠাঁই হওয়া বিশ্বের প্রথম অভিনেতা চ্যাপলিন।

-নীল চোখের অধিকারী ছিলেন চ্যাপলিন। কিন্তু সে সময় সাদাকালো ছবি হওয়ায় তা ধরা পড়ত না।

-অভিনেতা রোয়ান অ্যাটকিনসন, জনি ডেপ ও মিল্টন ব্রেল চ্যাপলিন দ্বারা সরাসরি অনুপ্রাণিত।

-‘কমিউনিজম’ মতাদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন বলে চ্যাপলিনের সব স্মৃতিচিহ্ন ‘হলিউড ওয়াক অব ফেম’ থেকে মুছে দেওয়া হয়।

-ব্যক্তিজীবনে তাঁর স্ত্রীর সংখ্যা ৪ এবং সন্তান ১১জন।

-বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন ছিলেন চ্যাপলিনের গুণমুগ্ধ।

-মহত্মা গান্ধীর সঙ্গেও দেখা করেছিলেন চ্যাপলিন।

-১৯৫৩ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন চ্যাপলিন। অনেকের ধারনা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাতেই নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এরপর তিনি সুইজারল্যান্ডে নির্বাসিত জীবন কাটান।

-প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এক হাসপাতালের কার্নিশে তাঁর ছবি দেখানো হয়েছিল।

-১৯৭৭ সালে ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্ট ধর্মের প্রধান উৎসব ‘বড় দিনে’ মৃত্যু হয় চ্যাপলিনের।

-১৯৭৮ সালের ১ মার্চ কবর থেকে চ্যাপলিনের মৃতদেহ চুরি হয়ে যায়। এরপর দুই মাস পর তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে ছয় ফুট নিচে কংক্রিটের প্রলেপ দিয়ে রাখা হয়।

বাংলা ইনসাইডার/ এইচপি

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭