স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা, পরিবার পরিকল্পনা এবং পুষ্টি সেবা নিশ্চিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চিকিৎসা সেবা জনগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার। সে অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার কর্তৃক গৃহীত বহুমুখী পদক্ষেপের অন্যতম এই কমিউনিটি ক্লিনিক। কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রান্তিক জনগণ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করছেন। স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশ সরকারের এ সাফল্য আজ বিশ্ববিদিত এবং এই সাফল্যের পিছনে কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রদত্ত সেবার একটি বিশাল ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বলেন, কমিউনিটি গ্রুপ ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ এবং স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের অর্থবহ করে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালিত হচ্ছে যার ফলে কমিউনিটি ক্লিনিকের সাথে স্থানীয় জনগণের নিবিড় সম্পর্ক ও সমৃক্তকরণে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে।
‘শেখ হাসিনার অবদান কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচায় প্রাণ’-শ্লোগানটি ব্রান্ডিং হয়েছে উল্লেখ্য করে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালকরণের ফলে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পদ্ধতির আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে এবং তাদের স্বাস্থ্য তথ্য জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য বাতায়নে সংযুক্ত হচ্ছে। কেবল জাতীয় পর্যায়ে নয়, আন্তর্জাতিক পরিসরেও কমিউনিটি ক্লিনিকের ভূমিকা ও কার্যকারিতা স্বীকৃতি পেয়েছে ও পাচ্ছে। জাতিসংঘ ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ মহতী উদ্যোগের স্বীকৃতিস্বরূপ কমিউনিটি ক্লিনিককে ‘দি শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য বিরাট গৌরবের।