ইনসাইড আর্টিকেল

ঢাকায় জেড ফোর্স

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 17/04/2018


Thumbnail

পায়ে কেডস, পরনে জিনস প্যান্ট এবং টি শার্ট। টি শার্টের কোনো এক কোনায় ইংরেজিতে ‘জেড’ লেখা। চোখে সানগ্লাস। সাদা চোখে দেখলে এদের মনে হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ। কিন্তু আসলে এরা ‘সশস্ত্র ক্যাডার’। এরা প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসী গ্রুপ। এদের প্রধান মিশন হলো ঢাকায় বড় ধরনের কোনো সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটানো। এদের একটি বড় অংশ মালয়েশিয়া থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। না, এরা জেএমবি বা আনসারউল্লার মতো কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত না। এরা ছাত্রদল বা ছাত্র শিবিরও করেনা। এদের যে কয়েকজন ধরা পড়েছে, তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয়ও পাওয়া যায়নি। এরা বাংলাদেশকে কোনো ‘ইসলামী রাষ্ট্র’ বানাতে চায় না। বাংলাদেশকে ‘আফগানিস্তান ‘ বানানোর কোনো খায়েশও এদের নেই। এদের লক্ষ্য একটাই বাংলাদেশে একটা অশান্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, যাতে বর্তমান সরকার ক্ষমতা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। এদের একটা নামও আছে। এরা ‘জেড ফোর্স’ হিসেবে পরিচিত। এই সশস্ত্র ক্যাডার পরিচালিত হয় লন্ডন থেকে। আর এই বাহিনীর প্রধান পৃষ্ঠপোষক পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর সেক্টরের নাম দিয়েছিলেন ‘জেড ফোর্স’। সেই নামই ধারণ করে এরা সহিংসতার মাধ্যমে সরকার হটাতে চায়। এই ফোর্সের সমূলে উৎপাটন কঠিন। কারণ, এই জেড ফোর্সের ১০০ জন সদস্য করে মাত্র এটা গ্রুপ। আর এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে চেনে না। আর সবগুলো গ্রুপই চালায় লন্ডন থেকে তারেক জিয়া। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বাসভবনে হামলায় এই জেড ফোর্সের সক্রিয় উপস্থিতির সন্ধান পায় গোয়েন্দারা। তারপর এদের নিয়ে তদন্ত করছে তারা। কিন্তু এই সন্ত্রাসী বাহিনীর উৎস সন্ধানে হিমশিম খাচ্ছে গোয়েন্দারা। কারণ, এরা নিজেরা স্ব-উদ্যোগে কোনো ঘটনা ঘটায় না। বরং, কোনো ঘটনার মধ্যে এরা ঢুকে পরে এবং সেখানে নিয়ন্ত্রণ নেয়। যেমন উপাচার্যের বাসভবনের ঘটনা। এই ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের নাম হয়েছে, কিন্তু ঘটনা ঘটিয়েছে জেড ফোর্সের কয়েকজন। এমনকি এরা যদি ধরাও পরে, তবুও এদের কোনো সাংগঠনিক পরিচয় পাওয়া যাবে না। গোয়েন্দা অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিএনপির দু-একজন নেতা ছাড়া এদের কেউ চেনে না। তারা এই সন্ত্রাসী গ্রুপ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। বিএনপি শীর্ষস্থানীয় দু-একজন নেতা জানেন যে, ঢাকায় তারেক জিয়ার নিজস্ব বাহিনী আছে। সামনের দিনগুলোতে এরা ভয়ংকর সব কাণ্ড ঘটাবে। গোয়েন্দারা এই বাহিনীর সদস্যদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

২০০৪-২০০৫ সালে ভারতে দাউদ ইব্রাহিম ‘ডি ফোর্স’ নামে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ করেছিল। যাদের কাজ ছিল দাউদের পক্ষ থেকে বড় বড় ব্যবসায়ী সিনেমার তারকা, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের থেকে অর্থ আদায়, ব্লাকমেইল ইত্যাদি।

গোয়েন্দা সূত্র গুলো বলছে, দাউদের আদলেই তারেক জিয়ার ‘জেড ফোর্স’। তবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় এদের উপস্থিতি টের পেয়েছে গোয়েন্দারা। তারা মনে করছেন, এখন কষ্ট হলেও তাদের খুঁজে বের করা সম্ভব।


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ  



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭