ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপের হেভিওয়েট প্রার্থী যারা


প্রকাশ: 07/05/2024


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আর তৃতীয় দফায় ভারতজুড়ে ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

মঙ্গলবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রথম দফায় শতাধিক আসনে ভোটগ্রহণের পর দ্বিতীয় দফায় ভোট হয়েছিল ৮৮টি আসনে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, দ্বিতীয় দফার ভোটের পরে দশ দিনের বিরতির শেষে মঙ্গলবার ভারতজুড়ে ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩টি আসনে নির্বাচন হচ্ছে। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে চারটি আসনেও আজ ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

যেসব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট হবে সেগুলো হলো, আসাম, বিহার, ছত্তিশগড়, দাদরা ও নগর হাভেলি, দামান ও ডিউ, গোয়া, গুজরাট, জম্মু-কাশ্মীর, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ।

তৃতীয় ধাপের গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীরা

৯৩টি আসনে মোট ১ হাজার ৩৫১ জন প্রার্থী লড়াই করছেন। মোট ২ হাজার ৯৬৩ জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- 

অমিত শাহ (গান্ধীনগর, গুজরাট)

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গুজরাটের গান্ধীনগর থেকে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হতে লড়াই করছেন। এই আসনটি বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত। এই আসন থেকেই নির্বাচনে জিতেছেন দলের প্রবীণ নেতা ভারত রত্ন লাল কৃষ্ণ আদভানি। ১৯৮৯ সাল থেকে এই আসনে পরাজিত হননি কোনও বিজেপি প্রার্থী।

এবার কংগ্রেসেনের সোনাল প্যাটেলের বিরুদ্ধে লড়ছেন অমিত শাহ। ২০১৯ সালে সিজে চাভদাকে সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি ভোটের ব্যবধানে বড় জয় পেয়েছিলেন তিনি।

 জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (গুনা, মধ্যপ্রদেশ)

বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রী ও সাবেক কংগ্রেস নেতা মধ্যপ্রদেশের গুনা আসন থেকে লড়ছেন। বিজেপিতে যোগ দিয়ে ২০২০ সাল থেকে তিনি রাজ্যটির রাজনীতিতে উত্থান-পতনের জন্ম দিয়েছেন।

২০১৯ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে তিনি বিজেপির কৃষ্ণ পাল সিংয়ের কাছে হেরেছিলেন। এবার বিজেপির টিকিটে তিনি কংগ্রেসের যাদবেন্দ্র রাও দেশরাজ সিংয়ের বিরুদ্ধে লড়ছেন।

ডিম্পল যাদব (মাইনপুরি, উত্তরপ্রদেশ)

সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের স্ত্রী ডিম্পল যাদব। উত্তর প্রদেশের মাইনপুরি থেকে পুনরায় নির্বাচিত হতে ভোটে লড়ছেন তিনি। এই আসন থেকে অতীতে জিতেছেন তার শ্বশুর ও দলের প্রবীণ নেতা মুলায়লাম সিং যাদব। ২০২৩ সালে মুলায়লাম সিংয়ের মৃত্যু হতে আসনটি শূন্য হয়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে উপ-নির্বাচনে ডিম্পল জয়ী হন। বিজেপি প্রার্থী রাঘুরাথ সিংকে তিনি ২ লাখ ৮৮ হাজার ৪৬১ ভোটে হারিয়েছিলেন। এবার তার বিরুদ্ধে লড়ছেন বিজেপির প্রার্থী জয়বীর সিং ঠাকুর। 

সুপ্রিয়া সুলে (বারামাতি, মহারাষ্ট্র)

পাওয়ার পরিবারের ঘাঁটি বলে পরিচিত বারামাতি। এবার সেখানে লড়াই হবে শারদ পাওয়ারের মেয়ে ও তিনবারের এমপি সুপ্রিয়া সুলের সঙ্গে অজিত পাওয়ারের স্ত্রী সুনেত্রা পাওয়ারের। অজিত পাওয়ার বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে যোগ দিয়েছেন এবং মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।

শারদ পাওয়ার প্রথমবার বারামাতিতে জয়ী হয়েছিলেন ১৯৮৪ সালে। ১৯৯১ সালে তার ভাইপো অজিত পাওয়ার আসনটিতে জয়ী হন। ১৯৯৬ সাল থেকে এখানে জয়ী হয়েছেন শারদ পাওয়ার ও পরে সুপ্রিয়া সুলে। ২০১৯ সালে দেড় লাখ ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থী কাঞ্চন রাহুলকে পরাজিত করেছিলেন সুপ্রিয়া। 

দিগবিজয় সিং (রাজগড়, মধ্যপ্রদেশ)

মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা দিগবিজয় সিং রাজগড় আসনে ভোটের লড়াইয়ে ফিরেছেন। এটিকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আসন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। 

তিনি এই নির্বাচনকে শেষ নির্বাচন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী দুইবারের বিজেপি এমপি রদমাল নগর।

শিবরাজ সিং চৌহান (ভিড়িশা, মধ্যপ্রদেশ)

মধ্যপ্রদেশে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা এই নেতা ভিড়িশা থেকে নির্বাচনে লড়ছেন। তিনি কংগ্রেসের প্রতাপ ভানু শর্মার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন।

প্রহ্লাদ জোশি (ধারওয়াড়, কর্নাটক)

কর্নাটনের ধারওয়াড় আসন থেকে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার লড়াইয়ে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জোশি। এই আসনে ২০০৪ সাল থেকে জয়ী হয়ে আসছেন তিনি। এবার তিনি কংগ্রেসের বিনোদ আসুটির সঙ্গে লড়বেন।

অধীর রঞ্জন চৌধুরী (বহরমপুর, পশ্চিমবঙ্গ)

সিনিয়র কংগ্রেস নেতা ও বর্তমান এমপি অধীর রঞ্জন চৌধুরী ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালের নির্বাচনে বহরমপুরে জয়ী হয়েছেন। ২০১৯ সালে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের অপূর্ব সরকারকে ৮০ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন। এবার তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির নির্মল সাহা ও তৃণমূলের সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানের সঙ্গে।

বদরুদ্দিন আজমল (দুবড়ি, আসাম)

অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটি ফ্রন্ট সভাপতি বদরুদ্দিন আজমল ২০০৯ সাল থেকে দুবড়ি আসনের এমপি। ২০১৯ সালে তিনি তৃতীয়বার সাত লাখের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। এবার চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচিত হতে লড়ছেন তিনি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন কংগ্রেসের রাকিবুল হোসেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭