ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে যে বিষয়গুলোর ওপর নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশ: 07/05/2024


Thumbnail

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ না থাকলেও স্থানীয় পর্যায়ে এই নির্বাচন নিয়ে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিএনপিকে ছাড়াও বাংলাদেশের গণতন্ত্র যে অব্যাহত থাকতে পারে এবং নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ থাকতে পারে- সেটি প্রমাণের নির্বাচন উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হারানোর কিছু নেই। অর্জন করবার আছে অনেক কিছুই। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনের জন্য তিনটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। 

প্রথমত, ভোটাররা যেন ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয় সেজন্য তিনি নেতাকর্মীদেরকে প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন। উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আওয়ামী লীগের প্রধান চাওয়া। 

দ্বিতীয়ত, উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। যে কোন মূল্যে যেন উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ সেটি তিনি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে দেখাতে চান। 

তৃতীয়ত, নির্বাচন কমিশন যে স্বাধীন এবং সার্বভৌম একটি প্রতিষ্ঠান, সেটি প্রমাণের জন্য উপজেলা নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন, উপজেলা নির্বাচনে যদি শেষ পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি বাড়ে এবং উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় তাহলে সেক্ষেত্রে বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব আবার প্রমাণিত হবে। বিএনপি ছাড়াও যে বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থা সুষ্ঠু হতে পারে সেটি প্রমাণিত হবে। এ কারণে উপজেলা নির্বাচনে বেশ কিছু বিষয় সরাসরি নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি দলের নেতাকর্মীদের জন্য একটি পরীক্ষা। কারা আওয়ামী লীগের আদর্শ নীতি অনুসরণ করে এবং কারা আদর্শ নীতির বিপক্ষে কাজ করে সেটি প্রমাণের জন্য এই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনে পাঁচটি বিষয়ে নজর রাখছেন। প্রথমত, এই নির্বাচনে মন্ত্রী এবং এমপিদের আত্মীয় স্বজনদেরকে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। কিন্তু তারা নজরদারির মধ্যে আছেন এবং ভবিষ্যতে এই সমস্ত মন্ত্রী-এমপি যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলায় আত্মীয়স্বজনকে প্রার্থী করেছেন তারা ফল ভোগ করবেন। কাজেই মন্ত্রী-এমপিরা উপজেলা নির্বাচনে কে কী ভূমিকা রাখছেন- এর ওপর নজরদারি রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রী বারবার দলের নেতাকর্মীদেরকে বলেছেন যে, উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারকে বরদাস্ত করা হবে না। উপজেলা নির্বাচনে যেন কোনরকম প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা না হয় সেজন্য তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন। এই বিষয়টি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নজরদারির মধ্যে রেখেছেন, যে উপজেলা নির্বাচনে কোন প্রার্থী যেন প্রভাব বিস্তার করে ভোটের পরিবেশ নষ্ট না করে সেটি খেয়াল রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। যারা প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। 

তৃতীয়ত, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী বা প্রার্থীর সমর্থক কেউ যেন দলের স্বার্থ বিরোধী কোন তৎপরতায় যুক্ত না হয় সে বিষয়টিও নজর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চতুর্থত, উপজেলা নির্বাচনে প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকতে বলা হয়েছে। প্রশাসন যদি কোথাও পক্ষপাত করে, কোন বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে দায়িত্ব পালন করে সেক্ষেত্রে তাদেরও ভবিষ্যতে হিসেব করা হবে বলেই সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

পঞ্চমত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও উপজেলা নির্বাচনে নিরপেক্ষ থাকতে বলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যদি এই নির্বাচনে পক্ষপাত করে বা কাউকে সমর্থনের চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে সেটি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসবে এবং ভবিষ্যতে সেটি তাদের জন্য নেতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭