ইনসাইড বাংলাদেশ

সড়কে নতুন গতিসীমা ধীরে ধীরে কার্যকর করা হবে: বিআরটিএ


প্রকাশ: 10/05/2024


Thumbnail

সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে সড়কভেদে মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও বাসের সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য মোটরযানের গতিসীমা সংক্রান্ত নির্দেশিকা, ২০২৪ জারি করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

দেশের সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বুধবার (০৮ মে) বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার স্বাক্ষরিত ‘মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা, ২০২৪’ জারি করা হয়। এতে এক্সপ্রেসওয়ে এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে থ্রি-হুইলার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বিআরটিএর মুখপাত্র মাহবুব-ই-রব্বানী জানিয়েছেন, এটি ব্যাপকভাবে বাস্তবায়নে সময় লাগবে। নতুন নির্দেশিকা সম্পর্কে জনগণকে জানানোর জন্য প্রচারণা কর্মসূচি চালানো হবে। এই অন্তর্বর্তী সময়কালে গতিসীমা লঙ্ঘন প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ব্যবহার করা হবে। এর উদ্দেশ্য চালকদেরকে নতুন গতিসীমা সম্পর্কে জানানো।

নির্দেশিকায় ১০ ধরনের যানবাহনের জন্য সড়কের ৬টি ক্যাটাগরিতে গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। সড়কভেদে ব্যক্তিগত গাড়ি ও বাসের সর্বোচ্চ গতি নির্ধারণ করা হয়েছে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। আর মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি হবে ৬০ কিলোমিটার। তবে শহরের রাস্তায় ৩০ কিলোমিটার গতিতে চলবে মোটরসাইকেল ও থ্রি-হুইলার।

তবে সড়ক-মহাসড়কে লেন ঠিক না করে যানবাহনের গতিসীমা বেঁধে দেওয়াকে অপরিকল্পিত উদ্যোগ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তা ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশের সড়কে ৩৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। বিআরটিএ যে গতিসীমা বেঁধে দিয়েছে, তা ওই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাদের মতে, সর্বোচ্চ মানের সড়ক এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করে যানবাহন চলাচলের কম গতিসীমা বেঁধে দেওয়া এ ধরনের স্থাপনার মানের সঙ্গে বেমানান। সাধারণত এক্সপ্রেসওয়েতে ১২০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার গতিতে যানবাহন চলে। এক্সপ্রেসওয়েতে সাধারণ হাইওয়ের মতো গতিতে যানবাহন চালাতে হলে এ ধরনের অবকাঠামো নির্মাণে বিপুল বিনিয়োগের কোনো প্রয়োজন ছিল না।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. হাদীউজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, এক মন্ত্রণালয় মোটরসাইকেলের সিসি বাড়াচ্ছে। অন্য মন্ত্রণালয় ৩০ কিলোমিটার গতিতে চালাতে বলছে। এতে বোঝা যায়, নিজেদের মধ্যে সমন্বয় নেই। তিনি বলেন, ‘একই লেনে যদি সব ধরনের যানবাহন চলে, তা হলে কোনোভাবেই যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। গতিসীমা ঠিক করার উদ্দেশ্য হলো সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো। কিন্তু যেভাবে গতি নির্ধারণ হয়েছে, তা মোটেই বিজ্ঞানসম্মত নয়, তেমনি অবকাঠামোর সঙ্গে সামাঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এটা মানানো যাবে না। এতে সড়কে আরও বেশি বিশৃঙ্খলা বাড়বে। মামলা বাড়বে। কারণ একই লেনে সব ধরনের যানবাহন চললে দুর্ঘটনাও বাড়বে।’

বিআরটিএ বলছে, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা অর্ধেকে কমিয়ে আনতে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বেঁধে দেওয়া গতিসীমা অমান্য করা হলে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিসের মতো জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত মোটরযানের ক্ষেত্রে এই গতিসীমা শিথিলযোগ্য হবে।

 

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭