প্রকাশ: 10/05/2024
রাজধানী
উত্তরার একটি বেসরকারি কলেজ
পড়ুয়া শিক্ষার্থী মোছা.
সামিয়া। তিনি ডেটিং অ্যাপস ট্যানট্যানে তারই কাছের এক বান্ধবীকে বিক্রি করে ফায়দা তুলেছেন।
সেখানে
মাহি নামের একটি অ্যাকাউন্টে ব্যবহার
করেছেন তার বান্ধবীর ছবি। আর সেই ডেটিং অ্যাপসের অ্যাকাউন্ট থেকে রুম ডেট
করার নামে বহু মানুষের
কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন
লাখ লাখ টাকা।
ভুক্তভোগী
ওই শিক্ষার্থী জানান, সামিয়া এসব অ্যাপসে নিজের
ছবি ব্যবহার করে বহু মানুষের
কাছ থেকে টাকা নিয়েছে।
রুম ডেটের কথা বলে ২০০
টাকা থেকে শুরু করে
৫০ হাজার; এমনকি সুযোগ বুঝে লাখ টাকাও
নিয়েছে কারও কারও কাছ
থেকে। ভুয়া জন্মদিনের কথা
বলে নিয়েছে দামি উপহার। এমনকি
বাসার জন্য মাছ, মাংসসহ
বাজারও নিয়েছে।
নিজের
ছবিতে যখন আর কাজ
হচ্ছিল না, তখন বান্ধবীর
ছবি ব্যবহার করে প্রতারণা শুরু
করে সামিয়া। রুম ডেটের জন্য
বিকাশে টাকা নেওয়ার পর
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ব্লক করে দেন।
অভিযুক্ত সামিয়ার এসব অপকর্মের এবং
বিভিন্ন পুরুষের কাছ থেকে টাকা
লেনদেনের অডিও ও মেসেজের
তথ্য গণমাধ্যমে উঠে আসছে।
বান্ধবীর
দ্বারা এমন হেনস্তার শিকার
হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন সেই শিক্ষার্থী। বান্ধবীর
নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। কাছের বান্ধবীর এমন আচরণে মানসিকভাবে
ভেঙে পড়েছেন। তিনি বলেন, আমি
রাস্তাঘাটে বের হতে পারছি
না। সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হচ্ছি। তার দ্বারা যেন
অন্য কেউ আর প্রতারিত
না হয়। আমি এই ঘটনার বিচার
চাই। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী থানায়
অভিযোগ করার পরই নিজের
ফেসবুক আইডি, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাকটিভ করে দিয়েছে সামিয়া।
এ
বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ
ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক
বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক শ্রেণির নারী
প্রতারক চক্র পুরুষদের নানাভাবে
প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়।
এসব ক্ষেত্রে পুরুষদের সচেতন হতে হবে। এ
বিষয়ে ঢাকা মহানগর
পুলিশের উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী গণমাধ্যমকে জানান,
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী একটি
জিডি করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭