ইনসাইড থট

যাদুর বাক্স ও শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 20/04/2018


Thumbnail

যতদূর জানি বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সাহিত্যের ছাত্রী ছিলেন। স্নাতক শ্রেণিতে যে তিনি ইতিহাস পড়েছেন গভীর ভাবে, তা উনার কথা শুনেই অনুমান করা যায়। তা না হলে এত বড় কথা বলার সাহসতাঁর কী করে হয়েছে! অনলাইন পোর্টালের খবরে দেখলাম, “লন্ডনে বসেই যুক্তরাজ্যের কঠোর সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘তারেকের মত একজন দণ্ডিত ব্যক্তিকে কীভাবে যুক্তরাজ্য সরকার আশ্রয় দেয়?’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তারেককে অবশ্যই দেশে ফিরিয়ে নেবো। আদালত যে সাজা দিয়েছে, তা তাঁকে ভোগ করতেই হবে’। ১৭ এপ্রিল ২০১৮ মঙ্গলবার লন্ডনে একঅনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি একথা বলেন।       

এবার আসি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ইতিহাস পড়া প্রসঙ্গে। ইউরোপ দেশের মানুষের একটা বিরাট অংশ যে শুধু টাকার জন্য সব করতে পারে বা করেছে তার কিছু দালিলিক প্রমাণ হাজিরের চেষ্টা করি। বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ তীর্থংকর রায়ের লেখা ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও ভারতের অর্থনৈতিক ইতিহাস’ বই থেকে জানা যায় যে, প্রাচীন কালে ভারতের সঙ্গে ইউরোপের বানিজ্য হতো স্থল পথে। ১৪৯৮ সালেভাস্ক-দা-গামার নেতৃত্বে পর্তুগীজরা ইউরোপ থেকে ভারতে আসার সোজা পথ আবিস্কার করে। তার পর থেকে তারা সমুদ্র পথে ভারতে, চীন তথা এশিয়ার অন্যসব দেশের সাথে ব্যবসা শুরু করে। বাংলাদেশতখন ভারতের অংশ ছিল। এসময় ভারতে এসে তারা দেখে যে, একই ধরণের পন্য তারা ভারত থেকে ইউরপে নিয়ে যেতে পারলে লাভ ১০০০% (এক হাজার) এরও বেশী। লোভের জিহ্বা লম্বা হয়ে গেলো। তাই উন্নত ভারতীয় পণ্যের লোভে ১৬০০ সালে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৬০২ সালে ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি গঠিত হয়। ষোড়শ শতকে ভারত মহাসাগরে পর্তুগীজদের একচ্ছত্র আধিপত্য দেখে ব্রিটিশ ও ডাচরা মিলে পর্তুগীজদের হটিয়ে দিয়ে ভারতে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে নেয়। এতে মনে করারা যথেষ্ট কারণ আছে যে, এই বাণিজ্যের নেতৃত্বের সবাই টাকার লালসার আগুনে ঝলসানো মানসিকতায় জারিত মানুষ।

ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানিতে যারা চাকরী করতো তারা কোম্পানির বাইরেও নিজের ব্যবসা করতে গিয়ে রক্ত চোষা হয়ে ওঠে। ইতিহাস বলে, মোগল আমলে ভারত বিশ্বের তাবৎ শিল্প উৎপাদনের ২৫% একাই উৎপাদন করে বনে যায় বিশ্ব অর্থনীতির নেতা। এটা বহাল থাকে অষ্টাদশ শতাব্দির মাঝামাঝি পর্যন্ত যতদিন পর্যন্ত ব্রিটিশরা পুরো ভারতকে তারা তাদের কব্জায় নিতে না পারে। এর পরেই শুরু হয় সম্পদপাচারের কাহিনী, যা অন্য ফর্মে আজো অব্যহত আছে। সে কথায় পরে আসবো। তার আগে বলে নিই সে সময় অবিভক্ত ভারত থেকে ব্রিটিশরা নিজ দেশের জন্য সস্তায় পণ্য কিনতে আসতো। তারা কাঁচা রেশম, রেশমজাত পণ্য, মসলিন, ইত্যাদি খুব বেশি নিতো। কারণ এতে তাঁদের লাভ হতো শতকরা ১০০০ ভাগেরও বেশি। ১৬১২ সালে মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর পশ্চিম উপকূলের সুরাট বন্দরে কোম্পানিকে বাণিজ্যকুঠি স্থাপনের অনুমতি প্রদান করেন। ১৬৪০ সালে বিজয়নগর সম্রাটের কাছ থেকে অনুরূপ একটি অনুমতি আদায় করে দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে মাদ্রাজে কোম্পানি দ্বিতীয় বাণিজ্য কুঠিটি স্থাপন করে। সুরাটের অদূরে বোম্বাই দ্বীপটি পূর্বে পর্তুগিজ উপনিবেশ ছিল। দ্বিতীয় চার্লসের সঙ্গে ক্যাথারিন অফ ব্র্যাগাঞ্জার বিবাহের যৌতুক স্বরূপ দ্বীপটি ইংল্যান্ডের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ১৬৬৮ সালে কোম্পানি দ্বীপটি ইজারা নেয়। দুই দশক পরে কোম্পানি পূর্ব উপকূলেও আধিপত্য বিস্তারে প্রয়াসী হয়। গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলে কলকাতায় তারা একটি বাণিজ্যকুঠি স্থাপন করে। এই সময় পর্তুগিজ, ডাচ, ফরাসি ও ড্যানিশ বণিকেরা নিজ নিজ কোম্পানি স্থাপন করে এই অঞ্চলে ব্যবসাবাণিজ্য চালাচ্ছিল। বাণিজ্যকুঠি স্থাপনের পরে ১৭১০ সালে কলকাতা, গোবিন্দপুর ও সুতানুটি যে তিনটি গণ্ডগ্রাম নিয়ে কলকাতা নগরীরপত্তন করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।        

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ১০০ বছরের লাভ দেখে লোভ সামলাতে না পেরে ১৮৫৮ সালে কোম্পানি বিলুপ্ত ঘোষণা করে ব্রিটিশ সরকার ভারত শাসনের দায়িত্ব সরাসরি গ্রহণ করে। এর আগের সময় পর্যন্ত ব্রিটিশ বেনিয়ারা ভারতের বাংলা আর বেনারস থেকে ভারতীয় পণ্য সস্তায় নিতো বিপুল পরিমাণে। ব্রিটিশ সরকার ভারত শাসনের দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমাদের কৃষকদের রেশম, তুলা আর নীল চাষে বাধ্য করতেশুরু করে। একই সাথে ব্রিটেনে ভারতীয় তৈরী পন্যের উপর অস্বাভাবিক করারোপ আর বিনা শুল্কে মেশিনে বোনা সস্তা কাপড় ভারতে এনে ভারতের বাজার সয়লাব করে দেয়। তাঁতিদের উৎপাদিত পণ্যেরমূল্য অস্বাভাবিকভাবে পড়ে যায়। ভারতে তখনো মানুষ হাতে তাঁত বুনতো, গরুর লাঙ্গল দিয়েই জমি চাষ করতো। একদিকে ব্রিটিশ বেনিয়াদের ফরমায়েশি চাষ আর অন্যদিকে পণ্যের বাজার হারাতে বাধ্যকরার ফলে ভারতের অর্থনীতিতে ভাটা পড়ে যা ১৯৪৭ সালের কাছাকাছি সময়ে ভারত বিশ্বের মোট শিল্প উৎপাদনের মাত্র ৪.২ ভাগ উৎপাদন করে অন্যতম দুর্বল অর্থনীতির তকমা পায়। এর পিছনে আরএকটা কারণ ছিল এই যে, ব্রিটিশরা তাদের স্বার্থে এখানে তাদের তাবেদার দালাল শ্রেণি তৈরী করে অপকর্মের সহযোগিতার জন্য। দালালদের আর্থিক সুবিধার পাশাপাশি, আমোদ ফুর্তি, ছেলে মেয়েকে বিলেতেপড়া-লেখার ও চাকরির সুযোগ করে দেয়। ফলে দালালী করে সুবিধা নেওয়াটা একটা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত পায় তদানীন্তন ভারতের এক শ্রেণীর দালালদের হৃদয়ে, যা আজও জাগরুক আছে বলে অবস্থা দৃষ্টেমনে হয়।

একটা উদাহরণ দিই। ইংরেজদের শোষণ এবং লুণ্ঠনের সহযোগী এবং গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস এর প্রিয়পাত্র দেবী সিংহের ভয়াবহ অত্যাচার এবং নির্যাতনে রংপুর এবং দিনাজপুর অঞ্চল ছিল মৃতপ্রায়। দেবী সিংহ ছিলেন ইংরেজ মনোনীত এই অঞ্চলের ইজারাদার। কিন্তু, তার সীমাহীন লোভ লণ্ড-ভণ্ড করে দিয়েছিলো এই জনপদকে। তার পটভূমিতেই তৈরী সৈয়দ শামসুল হকএর “নূরলদীনেরসারাজীবন” নাটক।    

এছাড়া শোষণের আরেকটি হাতিয়ারের কথা বলে রাখি। রাজা দ্বিতীয় জর্জ ১৭৫৩ সালে নতুন সনদ ইস্যু করে। পরে রেগুলেশন এ্যাক্ট, ১৭৭৩ পাশ হয় ব্রিটেনে। যার অধীন রাজা কলকাতায় বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীমকোর্ট প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৭৭৪ সালে একটি পৃথক সনদ ইস্যু করে। পরবর্তী সময়ে ১৮০১ সালে মাদ্রাজে এবং ১৮২৪ সালে বোম্বেতে সুপ্রীমকোর্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই আদালতের ১০০ভাগ বিচারক ছিল কোম্পানির নিজের লোক ছিল। তাদের আসল কাজ হলো নানা ওজুহাতে ভারতের মানুষকে দমন করে শোষণ করা আর ভারতীয় সম্পদ বিলেতে পাচার করা। খাজনা আদায়ে প্রজাদেরশারীরিক নির্যাতন, এমনকি প্রয়োজনে হত্যাকেও বৈধ করে দেওয়া হয় কোম্পানির লোকদের জন্য। এটাই ছিল ব্রিটিশ আইন।

প্রভাবশালীদের দমনের কৌশল ছিল ভিন্ন। ১৭৭৫ খ্রিস্টাব্দের ৫ আগস্ট মিথ্যা মামালায় দেশপ্রেমিক রাজা নন্দ কুমারকে বিচারিক হত্যা করা হয়, নাম দেওয়া হয় ফাঁসি। এটা নিয়ে সারা দুনিয়ার ব্রিটিশ সম্রাজ্যের সচেতন মানুষদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিলে বিচারে নিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া হয়। সেটাকে অনেকেই লোক দেখানো বলে মনে করেন।

ব্রিটিশরা এখানে এসেছিলো ব্যাবসা করতে, শুরুতে তারা ভারতে প্রায় শতভাগ আসতো একাকী। ফলে ১৭৯৫এর অনেক আগে থেকেই শুধু কলকাতা নয়, বাংলার সমৃদ্ধ শহরগুলি, যেখানে ইংরাজরা কোর্ট-কাছারি, দপ্তর খুলেছিলো, সেখানেই সন্নিহিত অঞ্চলে বারাঙ্গনা পল্লী গড়ে উঠেছিলো। পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী তাঁর ‘রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ’ গ্রন্থে কৃষ্ণনগরের মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের দেওয়ান কার্তিকেয়চন্দ্র রায়ের আত্মচরিত থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে কৃষ্ণনগরের সমকালীন সামাজিক অবস্থার বর্ণনা করেছেন। দেওয়ান কার্তিকেয়চন্দ্র লিখেছেন, “...... পূর্বে কৃষ্ণনগরের কেবল আমিন বাজারে পতিতালয়ছিলো, গোয়াড়ীতে গোপ, মালো প্রভৃতি জাতির বাস ছিলো। পরে ইংরেজরা যখন এখানে বিচারালয় ইত্যাদি স্থাপন করেন, তখন গোয়াড়ীর পরিবর্তন হইতে থাকে।’’ কার্তিকেয়চন্দ্র আরো লিখেছেন, “...... বিদেশে পরিবার লইয়া যাইবার প্রথা অপ্রচলিত থাকাতে প্রায় সকল আমলা, উকিল বা মোক্তারের এক একটি উপপত্নী আবশ্যক হইত। সুতরাং তাহাদের বাসস্থানের সন্নিহিত স্থানে স্থানে গণিকালয় সংস্থাপিতহইতে লাগিল।” এই কারণেই আমরা দেখি উত্তর কলকাতায় প্রাচীন ও সম্ভ্রান্ত লোকবসতি কেন্দ্রের আশেপাশেই প্রাচীন গণিকাপল্লীগুলির অবস্থান।

লন্ডন থেকে কিছুদিন আগে প্রকাশিত ইসহাক কাজল এর এক লেখায় জানা যায় যে, ২০০৮ সালে লন্ডনে আসার পর পর তারেক রহমান ছিলেন তৎকালীন যুক্তরাজ্য বিএনপির একচ্ছত্র নেতা কমর উদ্দিনের ছত্রছায়ায়। কমর উদ্দিনের আকস্মিক মৃত্যুর পর স্বাভাবিকভাবেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। বর্তমানে তারেক রহমান থাকেন সারের কিংসটনে। বিশেষত এই এলাকায় আরও রাঘব বোয়ালরা থাকেন। এইএলাকাতেই থেকে গেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো। এখনো পাকিস্তানের সাবেক সেনা শাসক পারভেজ মোশাররফ বসবাস করছেন কিংসটনে।

গত প্রায় ১০ বছর ধরে লন্ডন থাকলেও তারেক রহমান নেই কোনো বৈধ আয়ের উৎস, কোনো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন তিনি। পাকিস্তানের সাবেক সেনা শাসক পারভেজ মোশাররফের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। এছাড়াও বাংলাদেশ পাকিস্তান ও ভারতে দুর্নীতিবাজ আখ্যা পাওয়া অনেকেই এখানে থাকে, যাদের বৈধ আয়ের কোন উৎস নেই। নিজের দেশে খুন করে অনেকেই এখানে রাজনৈতিকআশ্রয় নেয়, বলে দেশে গেলে ফাঁসি হবে।

ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তার ইউকেএইড এর মাধ্যমে আর্থিক ও কারিগরী সহায়তা করে থাকে। মানবাধিকার, নারী অধিকার নিশ্চিত করাও ব্রিটিশাদের একটা বড় কাজ ইদানিং। আসুন ১৯৫৮ সালের ভারতের ব্রিটিশ সরকার আর বর্তমান ব্রিটিশ সরকারের মধ্যে পার্থক্য কতটুকু হয়েছে একটু পরখ করে দেখা যাক।

ব্রিটিশরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে কিন্তু পাকিস্তানের পারভেজ মোশাররফের বা আমাদের তারেক জিয়ার মতো শত শত দুর্নীতিবাজকে আশ্রয় দেয় তাদের দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা খাওয়ার জন্য, যা আগেও ছিল। তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে, কিন্তু সারা দুনিয়ার খুনি, এমন কি বঙ্গবন্ধুর খুনিকেও তারা আগলে রাখে টাকার লোভে। মানে শেখ রেহানা বা শেখ হাসিনার কোনো মানবাধিকার নেই, আছে১৯৭১ সালে মানবতা বিরোধী অপরাধীদের। তাদের টাকা আছে তাই তাদের পক্ষে সাফাই গাওয়া হয়, মুক্তির জন্য, ফাঁসি না দেওয়ার জন্য। নারী অধিকার নিয়ে কি আর বলার আছে। সারা দুনিয়ায় যত সুন্দরীমেয়ে অপহৃত হয় তাঁদের অধিকাংশই পরে ব্রটিশ পতিতালয়ে পতিতাবৃত্তির জন্য বেচা হয়ে থাকে বলে সাম্প্রতিক কালের পত্রিকায়ও খবর আছে। যেমনটি তারা করেছিল ভারতে।    

নৈতিকতার চারটি ধাপের কথা জানি। এক-ব্যক্তিগত, দুই- পারিবারিক, তিন- সামাজিক, চার-রাষ্ট্রীয়। ব্রিটিশদের অধিকাংশের ব্যক্তিগত নৈতিকতা কী আছে জানি না, তবে এটা জানি যে, ব্যক্তিগত নৈতিকতারপ্রতিফলন হয়, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে। কিছু ভালো মানুষ ব্রিটেনে নেই তা জোর দিয়ে বলি না। তবে তাদের অধিকাংশই নৈতিকতা বিবর্জিত। তাই তারা টাকার জন্য মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে সাদ্দাম হোসেন,গাদ্দাফীর দেশকে ধ্বংস করেছে। যারা টাকার লোভে নারীদেহ মুনাফা অর্জনের করার কাজে লাগায়, দুর্নীতিবাজ ও খুনীদের আগলে রাখে তারা কী আসলে তারেক রহমানকে ফেরত দেবে? নাকি নানাঅজুহাতে রেখে দেবেন তারেক রহমানকে। কারণ তার অনেক টাকা, ভাঙ্গা বাক্সর যাদুতে! যাদুর বাক্সের কাছে কি আমাদের প্রধানমন্ত্রী হেরে যাবেন!    


লেখক: সায়েদুল আরেফিন

উন্নয়ন কর্মী ও কলামিস্ট 
তথ্যঋণঃ উল্লেখিত বিভিন্ন বই, উইকিপিডিয়া, ইন্টারনেট, অনলাইন পোর্টাল, ইত্যাদি।  


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭