লিভিং ইনসাইড

সামুদ্রিক মাছের যত গুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 20/04/2018


Thumbnail

নিয়মিত মাছ খেলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। এমনটিই বলছে জার্নাল মলিক্যুলার নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড রিসার্চের এক প্রতিবেদন। মাছ খেলে আমাদের দেহে উপকারি কোলেস্টেরল এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। এই কারণে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। সেই সঙ্গে মাছের পুষ্টি উপাদান সার্বিকভাবে শরীরের গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, মাছ খেলে আরও অনেক উপকার পাবেন।

১। মন চাঙ্গা করে

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে প্রবেশ করার পর "ফিল গুড" হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে মানাসিক চাপ কমে যায়। সেই সঙ্গে মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

২। স্মৃতিশক্তির উন্নত হয়

প্রতিদিন সামুদ্রিক মাছ খেলে শরীকে ডিএইচ এ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এটি স্মৃতিশক্তির উন্নতিতে দারুন কাজে দেয়। এই কারণেই যে পরিবারে অ্যালঝাইমার বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের বেশি করে সামদ্রিক মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

৩। দৃষ্টিশক্তির উন্নত করে

মাছখেলে দৃষ্টিশক্তি ভাল হয়। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে মাছের শরীরে উপস্থিত ওমাগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বাস্তবিকই দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা সারাদিন কম্পিউটার বা কোনও ধরনের ডিজিটাস স্ক্রিনের সামনে বসে কাজ করেন, তাদের রোজের ডায়েটে মাছ থাকা আবশ্যক।

৪। ব্রেন পাওয়ার বাড়ায়

২০০৭ সালের স্টাডিতে একথা প্রমাণিত হয়েছে যে ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শুধু তাই নয়, এই উপাদানটি মনোযোগ এবং বুদ্ধি বাড়াতেও বিশেষভাবে সাহায্য় করে থাকে।

৫। প্রস্টেট ক্যানসার দূরে থাকে

লো ফ্যাট ডায়েট অনুসরণ করার পাশাপাশি প্রতিদিন যদি সামদ্রিক মাছ খাওয়া যায়, তাহলে প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুলাংশে হ্রাস পায়।

৬। হার্ট সুস্থ থাকে

যুক্তরাষ্ট্রেরে জার্নাল অব সাইকোলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে টানা ১ মাস সামদ্রিক মাছ খেলে হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে স্ট্রেস বা মানসিক চাপের কারণে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়।

৭। প্রেগন্যান্সির সময়কার মানসিক অবসাদের কমে

গর্ভাবস্থায় বেশি করে সামদ্রিক মাছ খেলে মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে একেবারে কমে যায়। ইউনিভার্সিটি অব কানেকটিকাট স্কুল অব নার্সিং এর চিকিৎসক মিচেল প্রাইস একবার বলেছিলেন, ‘ভাবী মায়েদের শরীরে ডি এইচ এ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা যত বৃদ্ধি পাবে, তত মানিসক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমবে।‘


বাংলা ইনসাইডার/ডিজি/জেডএ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭