নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 20/04/2018
তেতো খাবার মুখে রোচানো একটু কঠিনই। আমরা কেউই তেতো খেতে পছন্দ করিনা, এড়িয়ে চলি। তেতো সবজি হিসেবে করলা সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। তবে আমরা অন্য সবজির তুলনায় করলা কম খাই। কিন্তু করলার জাদুকরি সব গুণের কথা জানলে করলাকে কেউ আর এড়িয়ে চলবে না। কি কি সেই গুণ দেখুন একবার-
শ্বাসজনিত রোগ কমায়
করলার রসে আছে অনেক গুণ। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের দূষণ দূর করে। হজমপ্রক্রিয়ায় গতি বাড়ায়। পানির সঙ্গে মধু ও করলার রস মিশিয়ে খেলে অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস ও গলার প্রদাহে উপকার পাওয়া যায়।
শরীরের খুটিনাটি রক্ষণাবেক্ষণ
করলা উচ্চ রক্তচাপ ও চর্বি কমায়। এর তেতো রস কৃমিনাশ করে, এটি দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। এছাড়া ভাইরাসও নষ্ট করে। যার রক্তশূন্যতায় ভুগছেন তাদের জন্য করলা দারুণ এক পথ্য। হিমোগ্লোবিন তৈরি করে শরীরে রক্তের উপাদান বাড়ায় এটি।। করলার ভিটামিন সি ত্বক ও চুল ভালো রাখে এবং ম্যালেরিয়া জ্বরের জন্য ভালো পথ্য হিসেবে কাজ করে। ক্রনিক মাথাব্যথারও উপশম করে। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং রক্ত পরিষ্কার করে। স্ক্যাভিজের মতো রক্তরোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
হজমক্ষমতা স্বাভাবিক রাখে
করলা হজমের জন্য ভীষণ উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও এর ভূমিকা আছে। পরিপাকতন্ত্রের জটিলতা দূর করতে নিয়মিত করলা খেতে পারেন। এতে করে গ্যাসট্রিকের সমস্যাও কমবে।
শরীরে শক্তি আনে
করলার রস শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে। এটি স্ট্যামিনা বাড়ানোর পাশাপাশি ভালো ঘুমে সহায়তা করে। ফলে শরীরে ক্লান্তিবোধ হয়না, উদ্যম নিয়ে কাজকর্ম করা যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
করলায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও রক্তের চিনি কমানোর উপাদান থাকে। ডায়াবেটিসের রোগীরা রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত করলা খেতে পারেন। এতে করে চিনির ক্যালরি শরীরে প্রভাব ফেলতে পারেনা।
সুগার নিয়ন্ত্রণ করে
করলা অ্যাডিনোসিন মনোফসফেট অ্যাকটিভেটেড প্রোটিন কাইনেজ নামক এনজাইমের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এর ফলে রক্ত থেকে শরীরের কোষগুলোতে সুগার গ্রহণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এতে কোষের গ্লুকোজের বিপাক ক্রিয়া বাড়ে বলে রক্তে সুগারের মাত্রা কমে।
ক্যানসার প্রতিরোধ করে
করলায় আছে আয়রন, ভিটামিন এ, সি এবং আঁশ। এন্টি অক্সিডেন্ট-ভিটামিন এ এবং সি বার্ধক্য আসতে দেরি করায়। এছাড়া করলায় রয়েছে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সৃষ্টিকারী লুটিন এবং ক্যানসার প্রতিরোধকারী লাইকোপিন।
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ
করলা রক্তের চর্বি ট্রাইগ্লিসারাইড কমায়, আর কোলেস্টেরল এইচডিএল বাড়ায় যা হার্টের জন্য ভালো। কারণ এগুলো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হয়। নিয়মিত করলা খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, রক্তনালিতে চর্বি জমে কারণে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা কমে।
খাবারে অরুচিভাব কমায়
খাবারে অরুচি হলে অপুষ্টিজনিত সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে এক চা চামচ করলার রস সকাল ও বিকালে খেলে খাবারে রুচি বাড়বে। খেতে তেতো লাগলেও খেলে উপকার মিলবে।
ম্যালেরিয়ার পথ্য
ম্যালেরিয়ায় করলা পাতার রস খেলে উপকার মেলে। ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীকে দিনে তিনটে করলার পাতা ও তিনটি আস্ত গোলমরিচ একসঙ্গে পিষে নিয়মিত ৭ দিন খাওয়ালে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। করলার পাতার রস খেলে জ্বর কমে যায়।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭