প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ছাড়া দেশের মানুষের কল্যাণ হবে না। স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে আরও সুসংগঠিত হতে হবে। মানুষের কাছে যেতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় সাড়ে চার মাস পর প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসেন ১৪ দলের নেতারা। এতে সভাপতিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে চলে এ সভা। বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৭৫-এর পর বারবার চক্রান্তের শিকার হয়ে বাংলাদেশের মানুষ বঞ্চিত ছিল। সরকার দেশের মানুষের সেবক- এটা জনগণ বুঝেছে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর।
সরকারপ্রধান বলেন, বর্তমানে সবচেয়ে বড় সংকট মূল্যস্ফীতি; এটা শুধু বাংলাদেশে নয়, অন্যান্য দেশেও আছে। শেখ হাসিনা বলেন, রিজার্ভ কমলেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই; আপদকালীন খাদ্য মজুদ আছে। প্রয়োজনে আমদানিও করা যাবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, গ্রেনেড হামলাকারী, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি; ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে রোজই আন্দোলন ও সরকার উৎখাতসহ নানা রকম হুমকি-ধমকি দেয়। যতক্ষণ জনগণ সঙ্গে আছে ওটা আমি কেয়ার করি না।
‘তারপরও এরা যেন দেশে জ্বালাও-পোড়াও, অগ্নিসংযোগ এগুলো করতে না পারে। এগুলো যারা করবে, তাদের কোনো ছাড় নাই। যতই মুরুব্বি ধরুক, আর যা-ই ধরুক, এদের আমরা ছাড়বো না। মানুষের ক্ষতি যারা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে’- এ প্রসঙ্গে যোগ করেন তিনি।