ইনসাইড আর্টিকেল

কেন খালেদার সাক্ষাৎ পাচ্ছেন না নেতারা?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 20/04/2018


Thumbnail

বৃহস্পতিবার নাজিম উদ্দিন রোডে কী হয়েছিল? বিএনপির তিন নেতা কারান্তরীন বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে কেন দেখা করতে পারলেন না? কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘তিন নেতার সাক্ষাতের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোন অনুমতি না থাকায় সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি।’ অন্যদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন,‘কারা কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিয়েছিল জন্যেই তো এসেছিলাম।’ এর আগেও গত মঙ্গলবার কারা কর্তৃপক্ষ এই তিন নেতাকে অনুমতি দিয়ে আবার বাতিল করে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি নেতারা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন,‘কারাগারে সাক্ষাতের কতগুলো সুনির্দিষ্ট নিয়ম কানুন আছে। নিয়ম মেনে যখনই কেউ দেখা করার অনুমতি চেয়েছে, তখনই সাক্ষাৎ পেয়েছে।’ 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিএনপিকে যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, সেই প্রস্তাব অনুযায়ী সুস্পষ্ট ঘোষণা না দেয়ায়, তিন নেতাকে সাক্ষাতের অনুমতি দেয়া হয়নি। অন্যদিকে বিএনপি বলছে, সরকার যে প্রস্তাব দিয়েছে, সেই প্রস্তাব নিয়ে যেকোন আলোচনার আগে, বেগম জিয়ার সঙ্গে কথা বলা দরকার। বেগম জিয়ার সঙ্গে কথা বলেই এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সূত্র মতে, বেগম জিয়া ও তারেক জিয়া বিএনপির কোন পদে থাকবেন না এবং বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা প্রতিস্থাপিত হবে, এই শর্তে সরকার বেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিতে রাজী। কিন্তু সবার আগে, বিএনপিকে স্থায়ী কমিটির বৈঠক করে গঠনতন্ত্রের বাতিল করা ৭ ধারা পুন: স্থাপনের জন্য বলা হয়েছিল। বিএনপির গঠনতন্ত্রের ৭ ধারায় বলা ছিলো যে, ‘স্বীকৃত দূর্নীতিবাজরা বিএনপির কমিটিতে থাকতে পারবে না।’ বেগম জিয়া কারান্তরীন হবার আগে স্থায়ী কমিটির সভা করে ঐ ৭ ধারা বিলুপ্ত করেন। ফলে এখনো বেগম জিয়া ও তারেক জিয়া দলের শীর্ষ দুই পদে আছেন। গত সোমবার বিএনপির সিনিয়র নেতারা বসে, ৭ ধারা বাতিলের ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে কথা বলেন। কিন্তু তারা কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নি। ঐ বৈঠকে মির্জা আব্বাস বলেছিলেন, যেহেতু চেয়ারপার্সনের নেতৃত্বে বৈঠকে ঐ ৭ ধারা বিলুপ্ত হয়েছিল, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে বেগম জিয়ার অনুমতি প্রয়োজন।’ এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় মঙ্গলবার সিনিয়র নেতারা বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারেন নি। এরপর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তারা জানিয়ে দেন, হয় বেগম জিয়া ও তারেক জিয়াকে নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে হবে অথবা মির্জা ফখরুলকে বিএনপির নেতা হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে, তারপর বেগম জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশ যাওয়া বিবেচনায় করা হবে। 

এই প্রেক্ষাপটেই বুধবার রাতে বিএনপির নেতারা আবার গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বসেন। কিন্তু  এখানেও  বেগম জিয়ার পদ ছাড়ার ব্যাপারে বিএনপি কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে নি। তাই গতকালের বৈঠকও হয়নি। সরকারি একটি সূত্র বলছে, সরকার স্পষ্টত:ই বিএনপির নেতৃত্বের আইনানুগ পরিববর্তন চায়। আর এই পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিএনপিকেই। তবে, নেতৃত্ব পরিবর্তনে বিএনপির মহাসচিবের আপত্তি নেই। তবে তিনি  চান, নেতৃত্বের পরিবর্তন হোক বেগম জিয়ার সম্মতিতে,তা না হলে দলে ভাঙ্গন অনিবার্য হয়ে উঠবে।



Read in English- https://bit.ly/2qMpJ3k

বাংলা ইনসাইডার



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭