ইনসাইড বাংলাদেশ

আবার সর্বহারা বিরোধী অভিযান শুরু করবে সরকার


প্রকাশ: 27/05/2024


Thumbnail

বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী জেলাগুলো স্বাধীনতার পর পর সর্বহারার দখলে চলে যায়। পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি সহ বিভিন্ন ধরনের উগ্র বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে আস্তানা গাড়ে। তাদের সন্ত্রাস এবং সহিংসতায় জনজীবন অস্থির হয়ে ওঠে।

পূর্বাঞ্চলের চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, যশোর, সাতক্ষীরা এলাকায় পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টির ব্যাপক বিস্তৃত ছিল আলোচিত। এসময় সিরাজ সিকদার সহ বিভিন্ন বিপদগামী সর্বহারারা একটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করেছিল। এই ধারা অব্যাহত থাকে পঁচাত্তরের পরবর্তীতে। সেই সময় সর্বহারাদেরকে বিএনপির মূলধারার রাজনীতিতে নিয়ে এসেছিলো জিয়াউর রহমান। 

তরিকুল ইসলাম, মসিউর রহমানের মতো সন্ত্রাসী সর্বহারা রাতারাতি বিএনপির রাজনীতিতে দীক্ষিত হন। আর এরপর থেকেই এই অঞ্চলগুলোতে বিএনপির শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে। দিনের বেলা বিএনপির রাজনীতি, রাতের বেলা সর্বহারার নামে চাঁদাবাজি, লুটতরাজ, মানুষ হত্যাই ছিল তৎকালীন সময়ে এই অঞ্চলের চিত্র। এই অবস্থার পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি পূর্ব বাংলার এই তথাকথিত বাম বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ঘোষণা করেন। সর্বহারাদের বিরুদ্ধে শুরু হয় সাঁড়াশি অভিযান। সেই সাঁড়াশি অভিযানে সর্বহারা সন্ত্রাসীদের সমস্ত নেটওয়ার্ক ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। অনেকেই আত্মসমর্পণ করেন। অনেকে জেলে যান। অনেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন। এরপর আস্তে আস্তে সর্বহারা দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু সেই সময় সর্বহারাদের দাপট কমে গেলেও সর্বহারাদের একটি বড় অংশ বিএনপিতে যোগ দেয়। তরিকুল ইসলাম সহ বিভিন্ন সর্বহারারা প্রাক্তন সর্বহারা নেতারা বিএনপির হর্তা কর্তা বলে যান। এখন সেই অবস্থা পাল্টে যাচ্ছে। 

আনার হত্যার পর উন্মোচিত হয়েছে যে পূর্ববাংলায় সর্বহারা পার্টি নামে এই সমস্ত সন্ত্রাসীরা এখন বিএনপিতে নয়, বরং আওয়ামী লীগে ভিড় করেছে। এই সমস্ত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা যাদের চাঁদাবাজি, মাদক, চোরাচালান এবং অন্যান্য অপকর্মের নেটওয়ার্ক হিসেবে এই অঞ্চলগুলোকে ব্যবহার করে এবং এটি বাংলাদেশে মাদক চোরাচালানের একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়াও এই অঞ্চলগুলোতে অস্ত্র চোরাচালান, স্বর্ণ চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করে রাজনীতিবিদরা।দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে এই সমস্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী বিএনপির প্রতি আর আগ্রহী হয়ে উঠছেন না। বিশেষ করে তরিকুল ইসলামের মৃত্যুর পরে এই অঞ্চলে সর্বহারাদের নিয়ে বিএনপির নেটওয়ার্কও দুর্বল হয়ে পড়ে। এখন এখানে গডফাদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার এবং তার সাথে আরও কিছু ব্যক্তি। এখন আনার হত্যাকাণ্ডের পর এই সর্বহারা নেটওয়ার্কের অনেক তথ্যই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আসছে। তারা কীভাবে সন্ত্রাস এবং চোরাচালান কর্মকাণ্ডে নিজেদেরকে জড়াচ্ছেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সরকারের দায়িত্ব সূত্রগুলো বলছে, আনারের হত্যাকাণ্ডের পর আবার নতুন করে সর্বহারা বিরোধী অভিযান শুরু করবে সরকার।




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭