ভাগ্য বদলাতে কাজের সন্ধানে কুমিল্লার পাঁচ তরণী গিয়েছিল মধ্য-প্রাচ্যের ভিন্ন ভিন্ন দেশে। ভাগ্য তাদের সহায় হয়নি। লম্বা সময় থাকার সুযোগ পাননি তারা। পাননি তারা কাঙ্খিত কাজ। ফলে তাদের ফেরত আসতে হয় দেশে। এই পাঁচ তরুণীরা হলেন কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ফারজানা, লিমা, ফেরদৌসি, তানিয়া, জোসনা।
বিদেশ ফেরত তরুণীদের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রত্যাশা-২ প্রজেক্ট। ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম প্রত্যাশা প্রজেক্টের অর্থায়ন করেছে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন। এই পাঁচ তরুণীকে ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকার পাঁচটি গাভী এবং দুটি ছোট খাসি কিনে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৯ মে) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিরশান্নী বাজার থেকে ব্র্যাক প্রত্যাশা প্রজেক্টের সহায়তায় পাঁচ তরণীকে গাভী গুলো কিনে দেওয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক মাইগ্রেশন অফিস কুমিল্লা জেলার ইকোনোমিক রিইন্টিগ্রেশানের সেক্টর স্পেশালিস্ট শেখ আব্দুল কাইয়ুম, ব্র্যাঞ্চ অ্যাকাউন্ট অফিসার আনোয়ারুল ইসলাম, বিদেশ ফিরত পাঁচ তরুণী এবং তাদের অভিভাবক।
গাভী পেয়ে আপ্লুত হয়ে ফেরদৌসি বলেন, গরুটি পেয়ে আমার অনেক উপকার হলো। এখন থেকে দুধ নিজেরাও খেতে পারবো আবার বাজারেও বিক্রি করতে পারবো। বছর শেষে একটা ষাঁড় বাছুর থাকবে। আমি চেষ্টা করবো এখান থেকে যেন একটি গরুর খামার গড়ে তুলতে পারি।
সৌদি আরব থেকে ফিরত তানিয়া বলেন নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরত আসতে বাধ্য হয়েছিলাম। দিনদিন হতাশায় চলে যাচ্ছিলাম। এই সাপোর্ট আমার এবং আমার পরিবারের জন্য অনেক উপকারে আসলো। চেষ্টা করবো ভাগ্যের যেন বদল হয়।
ব্র্যাক মাইগ্রেশনের প্রত্যাশা -২ প্রজেক্ট শুরু হয় ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে যা চলবে ২০২৭ সালের মে মাস পর্যন্ত।