ইনসাইড বাংলাদেশ

সর্ষেতেই ভূত!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 21/04/2018


Thumbnail

কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে ঘোষণা করলেন সরকারি চাকরিতে কোনো কোটাই থাকবে না। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা নিজেদের দাবি চেয়ে বেশিই পেল ওই ঘোষণায়। আন্দোলন কিন্তু এখানেই শেষ। পরদিন কোটা আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ মিছিল করল ঢাবি ক্যাম্পাসে। কিন্তু ওই আন্দোলনকে বারবার উস্কে দেওয়ার পাঁয়তারা কিন্তু বন্ধ হয়নি।

সপ্তাহ না পেরোতেই নানা ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল ক্যাম্পাস। প্রথমে ছাত্রী হলে নির্যাতন নিয়ে একের পর এক ছাত্রলীগের বহিষ্কার নাটক। বহিষ্কার করা হলো ২৪ ছাত্রীকে। সেটা না কাটতেই সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের তিন নেতাকে ক্যাম্পাস এলাকা থেকে নাটকীয় কায়দায় মোটরসাইকেল দিয়ে রিক্সা থামিয়ে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হলো। তাঁদের চোখ বেঁধে কার্যালয়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠল। এভাবে চোখ বেঁধে রাস্তা থেকে তুলে নেওয়ার কোনো প্রয়োজন ছিল কি? আবার ছেড়েও দেওয়া হলো। ঘটনার দেখলেই বোঝা যায় ঘটনাটি যতটা না তদন্তের স্বার্থে তারচেয়ে বেশি উসকানিমূলক।

অতিসম্প্রতি সুফিয়া কামাল হলের ঘটনা। ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে রাতের আঁধারে তিন ছাত্রীকে বের করে দেওয়া হলো হল থেকে। কেউ ফেসবুকে কিছু লিখে থাকলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনেক কিছুই আছে। ফেসবুক বন্ধও করে দেওয়া যায়। গুজব ছড়ানোর অভিযোগে আইসিটি আইনে মামলা করা যায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী করল? মাঝরাতে তিন ছাত্রীকে বের করে দিল। কেন ভোর পর্যন্ত কি অপেক্ষা করা যেত না। একদিন না পেরোতেই আবার তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানা যায়। তাহলে কী ছাত্রী বের করে দেওয়ার ঘটনা শুধুই উসকানির?

গত দুই সপ্তাহ ধরেই এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় শান্ত হতে না হতেই আবার অশান্ত করে তোলা হচ্ছে। থেমে যাওয়া ছাত্র অন্দোলনকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা চলছে অবিরত। বিশ্ববিদ্যালয় অশান্ত করে কার লাভ? ছাত্রদের আন্দোলন দিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পারলে কারা বর্তে যায়?

এটা দিনের মতোই পরিষ্কার এসব ইন্দনের পেছনে কোনো অপশক্তি কাজ করছে। পর্দার আড়াল থেকে উসকানির মদদদাতারা কাজ করছে। একটা ইস্যু না থামতেই তারা আরেকটি ইস্যু মাঠে নামাচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারকে পদক্ষেপ নিতে অতি দ্রুত। ইস্যু সৃষ্টিকারী ইন্দনদাতাদের খুঁজে বের করতে হবে। তাড়াতে হবে সর্ষের মধ্যে থাকা সব ভূত। নতুবা ইস্যু সৃষ্টি কারী ইন্দনদাতাদের মাধ্যমে বিপাকে পড়তে হবে সরকারেই।


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭