নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 21/04/2018
তারেক জিয়ার পত্নী জোবায়দা রহমান বাংলাদেশের পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন। ২০১৩ সালে জোবায়দার পাসপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। এরপর তিনি ওই পাসপোর্ট নবায়ন করেননি। স্বামীর সঙ্গে লন্ডনে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়ে’ অবস্থান করছেন। গত ১৮ এপ্রিল ডা. জোবায়দার পক্ষে তাঁর আইনজীবী যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসে ডা. জোবায়দা রহমানের পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করেছেন। একই সঙ্গে সরকারি পাসপোর্টে বদলে তিনি বেসরকারি পাসপোর্ট চেয়েছেন। আবেদনে বলা হয়েছে, ‘ডা. জেবায়দার শাশুড়ি বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে গুরুতর অসুস্থ। তাঁর চিকিৎসা এবং তাঁকে দেখার জন্য তাঁর অবিলম্বে বাংলাদেশে যাওয়া প্রয়োজন।’ যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস তাঁর পাসপোর্টের আবেদনের ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বিষয়টি স্পর্শকাতর। তাঁর পাসপোর্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয়েছে ঢাকায়।’
বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, হতাশ বিএনপির হাল ধরতে এবং বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার তদারকি করতে খুব শিগগিরই বাংলাদেশে আসতে চান জোবায়দা। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ‘এর আগে ২৯ মার্চ প্রয়াত কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান ঢাকায় এসেছিলেন। ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকায় থেকে তিনি তিন দফা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দলীয় নেতাদের সঙ্গেও কয়েক দফা বৈঠক করেন। কিন্তু শর্মিলা ঢাকায় এসে সেরকম কিছু করতে পারেননি। বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, ‘আরাফাত রহমান কোকো বেগম জিয়ার পুত্র হলেও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি তাঁর সম্পৃক্ততা ছিল না। তাছাড়া দলে শর্মিলার পরিচিতি এবং গ্রহণযোগ্যতাও তুলনামূলক ভাবে কম ছিল। এ কারণেই দু সপ্তাহের সফরে শর্মিলা রহমান সিঁথি কিছু করতে পারেননি।’
বিএনপির একাধিক নেতা মনে করেন, ডা. জোবায়দা বিএনপিতে অনেক বেশি পরিচিত এবং গ্রহণযোগ্য। তারেক জিয়ার চেয়েও দলে তাঁর জনপ্রিয়তা বেশি বলে অনেকে মনে করেন। দীর্ঘদিন ধরেই তারেকের বদলে জোবায়দাকে দলের নেতৃত্বে আনার প্রস্তাব ছিলে। বিশেষ করে দাতা দেশগুলোর এ ব্যাপারে আগ্রহ ছিল। কিন্তু পেশায় চিকিৎসক ডা. জোবায়দা সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে অনাগ্রহী ছিলেন। এজন্যই বিএনপির কোনো কমিটিতে তাঁকে রাখা হয়নি।
বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। রাজনৈতিক কারণে নয় বরং বেগম জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনে জোবায়দা ঢাকায় আসতে চান বলে জানা গেছে। ২০০০ সাল থেকেই ডা. জোবায়দাই বেগম জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখভাল করছেন। কখন কোন ডাক্তার দেখাতে হবে সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নিতেন ডা. জোবায়দা। সম্প্রতি ডা. মালিহা ও ডা. মামুন কারাগারে বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ডা. জোবায়দাকে অবহিত করেছেন। এরপরই জোবায়দা ঢাকায় আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে। বিএনপির একটি সূত্র বলছে, ঢাকায় আসার ক্ষেত্রে অনেক ঝুঁকি আছে জেনেও জোবায়দা ঢাকায় আসতে চান। ওই সূত্র দাবি করেছে, সরকারের সঙ্গে আলাপ করেই জোবায়দা ঢাকায় আসছেন। অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, ড. জোবায়দার সঙ্গে খালেদা জিয়ার আইন উপদেষ্টা লর্ড কারলাইল ঢাকায় আসতে পারেন। আগামী ৭ মে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বেগম জিয়ার জামিনের শুনানি হবে। তাঁর আগে ব্রিটিশ এই আইনজীবীর ঢাকায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ডা. জোবায়দা তাঁর স্বামী তারেক জিয়ার সঙ্গে লন্ডনে চলে যান। ২০১২ সালে সরকারি চাকরি হারান ডা. জোবায়দা।
Read in English- https://bit.ly/2HildUe
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭