ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হ্যারি-মেগানের বিয়ে কেন অনন্য?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 23/04/2018


Thumbnail

ব্রিটিশ প্রিন্স হ্যারি ও অভিনেত্রী মেগান মার্কেল আগামী ১৯ মে বিয়ে করতে চলেছেন। গত বছরও হ্যারি ও মেগানের বিয়ে একরকম দুঃসাধ্য ব্যাপার ছিল। মেগান মার্কেলের একে তো ডিভোর্সি, উত্তরাধিকার সূত্রে জাতিতে মিশ্র, তার উপর যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে ওঠা ক্যাথলিক খ্রিষ্টান। আর এই সব কিছুই যুক্তরাজ্যের রাজপুত্রদের বিয়ের প্রোটোকলের পরিপন্থী।

বোঝাই যাচ্ছে সময় বদলে গেছে। আফ্রো-আমেরিকান মা ও শ্বেতাঙ্গ বাবার কন্যা, সফল অভিনেত্রী মেগান মার্কেল প্রিন্স হ্যারির হৃদয় জয় করেছেন।

মিশ্র বর্ণের নারী মেগান মার্কেল
রাজ পরিবার বিশেষজ্ঞ ও লন্ডন সেন্টার ফর পাবলিক হিস্টোরি অ্যান্ড হেরিটেজের পরিচালক অ্যানা হোয়াইটলক বলেছেন, হ্যারি ও মেগানের বিয়ের ঘোষণা রাজপরিবারের ভেতরের পরিবর্তনের প্রতিফলন। হ্যারি সিংহাসনে বসার জন্য পঞ্চম স্থানে আছেন। তাঁকে অবশ্যই রানি এলিজাবেথের অনুমতি নিতে হয়েছে। তিনি বলেন, ’আমার মনে হয় রানি খুশি মনেই মেনে নিয়েছেন। মেগান জাতিতে মিশ্র হওয়ার বিষয়টি রানির কাছে কোনো গুরুত্ব পায়নি।‘
তবে যুক্তরাজ্যের ডানপন্থী সংবাদ মাধ্যমগুলো মেগানকে নিয়ে বর্ণবাদি মন্তব্য করেছে। ডেইলি মেইলের ২০১৬ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মেগানের মায়ের বাড়ির আশেপাশে অনেক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়েছে। এমনকি অনেক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বর্ণনাও তাঁরা দিয়েছে। তবে প্রিন্স হ্যারি মেগানের উদ্দেশ্য করা বর্ণবাদী মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছেন।

তিনি ক্যাথলিক হিসেবে বড় হয়েছেন
প্রিন্স হ্যারির দাদি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যুক্তরাজ্যের প্রোটেস্টান চার্চের প্রধান। ২০১৫ সাল পর্যন্ত রাজকীয় পরম্পরায় ক্যাথলিক কাউকে বিয়ে করা ব্রিটিশ রাজপুত্রের জন্য এক রকম নিষিদ্ধ ছিল। রাজকীয় এক আদেশ বৃহৎ পরিবর্তন ও পুরুষতান্ত্রিকতা হ্রাস করতে এই নিয়মকে শিথিল করা হয়েছে।

মেগান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক
৩৬ বছর বয়সী মেগান মার্কেল যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতে বড় হয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নাগরিক হিসেবে ব্রিটিশ রাজপরিবারের রাজপুত্রের সঙ্গে তাঁর আনুষ্ঠানিক বাগদান সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে রাজা অষ্টম এডওয়ার্ড ও ওয়ালিস সিম্পসনের বিয়ের প্রস্তাবে যুক্তরাজ্যে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়েছিল। পরে ১৯৩৯ সালে অষ্টম এডওয়ার্ডকে সিংহাসন ছাড়তে হয়।

মেগান একজন ডিভোর্সি
মেগান মার্কেল ডিভোর্সি। ২০১৪ সালে সঙ্গীত প্রযোজক ট্রেভর এঙ্গেলসনের সঙ্গে তাঁর আইনগত ভাবে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। প্রিন্স হ্যারির বাবা প্রিন্স চার্লসও ও প্রিন্সেস ডায়ানারও তালাক হয়েছিল। তারপর ২০০৫ সালে চার্লস ক্যামিলা পার্কার বাওয়েলকে বিয়ে করেন। এতে মেগানের হ্যারিকে বিয়ে করার পথ সুগম হয়েছে।

তিনি একজন সুপরিচিত অভিনেত্রী
মেগান মার্কেল অভিনেত্রী হওয়ায় তাঁর ওপর বিশ্ব গণমাধ্যমের স্পটলাইট সবসময়য়ই ছিল। এর সঙ্গে তাঁর নামের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ব্রিটিশ রাজকীয় পরিচিতি। তবে এখনো স্পষ্ট নত মারকেল বিয়ের পর তাঁর অভিনয় চালিয়ে যেতে পারবেন কি না।

হ্যারি-মেগানের বিয়ে মাত্র একটি প্রজন্মের ব্যবধানে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের পরিবর্তনকে সাক্ষ্য দেবে। মেগানের বাগদত্তা প্রিন্স হ্যারির মা প্রিন্সেস ডায়ানাকে রাজপরিবারের গম্ভীর চরিত্রের নারী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছিল। আর মাত্র এক প্রজন্ম পরে প্রিন্স হ্যারির মেগানকে বিয়া করা প্রমাণ করবে ব্রিটিশ পরিবার সময়য়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে।

বাংলা ইনসাইডার/ডিজি/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭