ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বদলে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়ার বিনোদন জগৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 24/04/2018


Thumbnail

উত্তর কোরিয়ায় জনগণের বিনোদনের জন্য তৈরি হচ্ছে শপিং মল, খেলাধুলা ও নানা বিনোদন কেন্দ্র। পিয়ংইয়ং এর অধিবাসীরা এখন বিনোদনের জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে পারছেন। সেখানে নতুন ওয়াটার পার্ক এমনকি ডলফিন একুরিয়ামও তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু মাত্র এক দশক আগেও উত্তর কোরিয়াতে এমনটা চিন্তাও করা যেতো না।

উত্তর কোরিয়ায় অধিবাসী জেডেন প্রথম ইন্টারনেট ব্যবহার করে উদ্বেলিত হয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার তথ্য গ্রহণের অধিকার পেয়েছিলাম। এটি আমাকে আলোকিত করেছে। প্রতিটি দিনই ভিন্ন ছিল। এমন ভিন্ন সব দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানতে পারতাম যা হয়তো আমি চিন্তা করতে পারতাম না।’

জেডেন পাঁচ বছর আগে উত্তর কোরিয়া থকে পালিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া চলে যান। উত্তর কোরিয়ায় তাঁর জীবন সম্পর্কে জেডেন বলেন, ‘সেখানে আমি ফুটবল, কম্পিউটার গেম খেলে কিংবা সিনেমা দেখে অবসর সময় কাটাতাম। সেখানে আমাদের সব কাজের মধ্যেই বিধি নিষেধ ছিল। অনেক সিনেমা আর কম্পিউটার গেমস নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু আমি লুকিয়ে লুকিয়ে ওই সব সিনেমা দেখেছি।’

উত্তর কোরিয়ার জনগণের অতি গোপন আনন্দের বিনোদন সম্পর্কে সবাই জানে। আর তা হলো সেখানে মানুষ লুকিয়ে লুকিয়ে পশ্চিমা ও দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম দেখে। কিন্তু সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার বিনোদন জগৎ বদলে যাচ্ছে। সেখানে বিনোদনের জন্য তৈরি হচ্ছে বড় বড় ভবন ও বিনোদন পার্ক।

গবেষক কার্টিস মেল্ভিন স্যাটেলাইট ইমেজে দীর্ঘ দিন ধরেই উত্তর কোরিয়া পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি বলেন, ‘স্যাটেলাইট ইমেজেই সম্ভবত সব থেকে বিস্তৃত ভাবে কোনো অঞ্চলের পরিবর্তন বোঝা যায়। উত্তর কোরিয়ার যে সকল অংশ বিদেশীদের প্রবেশাধিকার নেই সেই সকল স্থানও পর্যবেক্ষণ করা যায়।’

কার্টিস জানান, ‘২০১১ সালে কিম জং উন ক্ষমতায় এসে নির্মাণ ও সৌন্দর্য বর্ধনের অনেক প্রোজেক্ট চালু করেছেন। আর তাঁর এই পদক্ষেপ পিয়ংইয়ং এর  বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন এনেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ কিম মানুষের জীবন মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্প চালু করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন গৃহ নির্মাণ প্রকল্প, ডলফিন একুরিয়াম, বিনোদন পার্ক, ওয়াটার পার্ক, থ্রি ডি সিনেমা আর স্কি রিসোর্ট। এই ধরনের প্রকল্পগুলো প্রাদেশিক রাজধানী ও গুরুত্বপূর্ণ শহরে নির্মাণ করা হচ্ছে।’

কিম জং উন মূলত উত্তর কোরিয়াকে আধুনিকায়ন করতে এই ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। আর সেখানে শ্রম সুলভ। সেনাবাহিনী নির্মাণ কাজে নিয়োজিত। আর সকল নির্মাণ কাজের জন্য সকল কাঁচামালই দেশটি উৎপাদন করে। এতে নির্মাণ খরচও কম।

উত্তর কোরিয়া আয় বৈষম্য তীব্র। দেশটির অর্থনীতির প্রধান উদ্দেশ্য সেনাবাহিনীকে কার্যকর রাখা। আর তাই এতো এতো প্রকল্প শুধু শহরের সম্পদশালীদের উপভোগের জন্য তৈরি করা হচ্ছে।


বাংলা ইনসাইডার/ডিজি/জেডএ 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭