ইনসাইড ইকোনমি

বাজারে রমজানের হাওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 27/04/2018


Thumbnail

রমজানের এখনো কয়েক সপ্তাহ বাকি। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে রমজানের প্রস্তুতি। রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাজারমুখী হচ্ছে নগরবাসী। যার ফলেবাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাংস, ডিম ও মাছসহ কিছু পণ্য। তবে রমজানকে ঘিরে প্রতিবছর ছোলা, বুট, ডাল, রসুন, সয়াবিন, চিনি ও খেজুরের দাম বাজারে উত্তাপ ছড়ালেও  এবার এখনো দাম বাড়েনি। বরং কোনো কোনোটিতে দাম কমছে।

বাজার সংশিষ্টরা বলছেন, এবছর বাজারে সিন্ডিকেট ও কারসাজি চক্র এখনো নিস্ক্রিয় আছে। গত বছর গুলোতে রমজান আসলেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে খুচরাব্যবসায়ীরা পাইকারদের দোষারোপ করতেন। আর পাইকার আর পাইকাররা দুষেছেন সরবরাহ ঘাটতিকে। এবার এখনো এ দোষাদোষির চিত্র এখনো দেখা যাচ্ছে না। বাজারে রমজান পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। সহনীয় দামে পণ্য ক্রয় করতে পারছেন ক্রেতারা। তবে আগামী দিনগুলিতে এই স্থিতিশীল অবস্থা ধরে রাখারজন্য সরকারের অব্যাহত নজরদারি বলবৎ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

রমজানকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার ২৬ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার ও আশেপাশের কয়েকটি বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ছোলা (কালো দেশী) বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, সাদা ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা। চিনি ৫৫ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ৪০টাকা ও ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্য তেলের মধ্যে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮৮ থেকে ৯০ টাকা। পামওয়েল ৭০ থেকে ৭২ টাকা। বোতলজাত সয়াবিন প্রতি লিটার ১০৮ টাকা থেকে ১১০টাকা এবং ৫ লিটারের বোতলজাত তেল ব্র্যান্ডভেদে ৫০০ থেকে ৫১৫ টাকা।

মসুর ডাল ইন্ডিয়ান ৫৬ টাকা, দেশী ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা ইন্ডিয়ান প্রতিকেজি ৯০ টাকা। খেঁজুর প্যাকেটজাত লাল বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা,শুকনা খেঁজুর বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

রমজান আসন্ন হলেও পণ্যের দাম তুলনামূলক কম থাকার কারণ জানতে চাইলে টাউন হল বাজার মুদি ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন বলেন, অন্যান্য বার এতদিন দাম বেড়ে যায়। এবার এখনো দাম বাড়েনি। আমরা ইচ্ছা করলেই দাম বাড়াতে পারি না। পাইকাররা আমাদের কম দামে দিচ্ছে তাই আমরাও দিতে পারছি। এ ধারা সরকার ধরে রাখতে পারলে এবার রমজানে ভোক্তারা পণ্য ক্রয়ে স্বস্তি পাবেন।

একই বাজারে আরেক ব্যবসায়ী বলেন রাজীব সিকার বলেন, এবার রমজান উপলক্ষ্যে পণ্যের দামে কোনো প্রভাব পড়েনি। উল্টো দেখছি চিনির দাম কিছুটাকমেছে। চিনির দাম ক্ষেত্র বিশেষে ২শ’ টাকা পর্যন্ত কমেছে। আমরা এক মাস আগেও ৫০ কেজি ওজনের যে চিনির বস্তা ক্রয় করতাম ২৭শ’ টাকায় এখন সেইএকই চিনি বস্তাপ্রতি ২৫শ’ টাকা কিনতে পারছি। তবে  রমজানের আগ মুহুর্তে আবার এসব পণ্যের দাম বাড়তেও পারে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, চিনিসহ রমজানে অধিক চাহিদাপূর্ণ পণ্যগুলোর দামবিশ্ববাজারে স্থিতিশীল আছে। যার কারণে আমাদের দেশীয় বাজারও স্থিতিশীল আছে।

এদিকে বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজিতে ভরপুর ।বেশির ভাগ সবজিই পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি টমেটো ৩৫-৪০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, মূলা ২০ টাকা, পটল ৪০টাকা, ঝিঙ্গা ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা,লাউ প্রতি পিস ৪০ টাকা, মূলা ১৫ টাকা, আলু ১৬ টাকা টাকা। কাঁচা মরিচের কেজিতে ১০ টাকা কমে ৪০থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৫০-৪৭০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি মুরগি প্রতি পিস সাইজঅনুযায়ী ২০০-২২০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে।


বাংলা ইনসাইডার/এসএ/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭