ইনসাইড পলিটিক্স

‘তারেকের কি ফাঁসি হবে?’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 02/05/2018


Thumbnail

বাংলাদেশস্থ ব্রিটিশ দূতাবাস জানতে চেয়েছে ’২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক জিয়ার কি ফাঁসি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে?’ গত ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশস্থ যুক্তরাজ্য দূতাবাসের দুজন কর্মকর্তা কথা বলেন দুজন মন্ত্রীসহ মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক আইনজীবীর সঙ্গে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, দুই মামলায় ১৭ বছরের জন্য দণ্ডিত তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, বাংলাদেশ ব্রিটিশ হাইকমিশন এই তথ্য সংগ্রহ করছে। যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী, কোনো রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্ত ব্যক্তির যদি তাঁর দেশে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তির শঙ্কা থাকে, তাহলে যুক্তরাজ্য সরকার তাঁকে প্রত্যার্পন করে না। বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিক ভাবে তারেক জিয়াকে বাংলাদেশে ফেরত চেয়েছে। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সরকার বাংলাদেশে তাঁর নিরাপত্তা, মামলা এবং মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানাচ্ছে, ব্রিটিশ হাইকমিশনের দুজন পদস্থ কর্মকর্তা সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, তাঁরা তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে চলমান বিভিন্ন মামলাগুলো সম্পর্কে খবর নেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁকে জানান, চলমান মামলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারাধীন বিষয় নয়। এটা বিচার বিভাগের বিষয়। এরপর ব্রিটিশ কর্মকর্তারা আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেও তারা চলমান মামলা নিয়ে কথা বলেন। এ প্রসঙ্গে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলা প্রসঙ্গ আসে। আইনমন্ত্রী তাদের জানান, বাংলাদেশে বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং তা সুপ্রিম কোর্টে কর্তৃক পরিচালিত। এসব মামলার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনজীবী হিসেবে আমি বলতে পারি, এই মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।তবে তাঁর কি সাজা হবে তা সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত নির্ধারণ করবে। ব্রিটিশ হাইকমিশনের ঐ প্রতিনিধিরা মামলায় সরকার পক্ষ ও তারেক জিয়ার কৌসুলিদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। সরকার পক্ষের কৌসুলি তাঁদের জানিয়েছেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা একটি ভয়াবহ, নৃশংসতম ঘটনা। ২৩ জন মানুষকে এর মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। এই মামলায় তারা তারেক জিয়ার সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছেন।’ অন্যদিকে তারেক জিয়ার কৌসুলি অভিযোগ করেছেন, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তারেক জিয়ার রাজনৈতিক জীবন শেষ করতেই এই মামলা সাজানো হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। 

ব্রিটিশ হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আরও বিস্তারিত তথা তারা সংগ্রহ করছে। এ ব্যাপারে তারা আরও কয়েকজন বিশিষ্ট আইনজীবীর সঙ্গেও কথা বলবেন। তাদের মতামতের ভিত্তিতে তারা যুক্তরাজ্যের হোম ডিপার্টমেন্টে রিপোর্ট দেবে। একাধিক সূত্র বলছে, এই মামলায় তারেক জিয়ার যদি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার নূন্যতম সম্ভাবনা থাকে, সেক্ষেত্রে অনিশ্চিত হয়ে পরতে পারে তারেককে বাংলাদেশে  ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া।


Read In English: https://bit.ly/2HNpOtY


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭