নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 11/05/2018
রমজানের আগেই ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজের। সপ্তাহ ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। একই সঙ্গে বেড়েছে প্রায় সব ধরণের সবজির দাম। এপ্রিলের শেষের দিকে বেশকিছু সবজির কেজি ৪০ টাকায় নেমে আসলেও এখন বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে রমজান পণ্যের মধ্যে ছোলার দাম কেজিতে দশ টাকা কমেছে। চিনির দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা।
শুক্রবার কারওয়ানবাজার বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি মূল্য বেশি, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম এরকম নানান অজুহাতে আড়ৎ ও পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। যার কারণে খুচরাও দাম বেড়েছে। পেঁয়াজের ঝাঁজ বাড়লেও কমেছে কাঁচামরিচের দাম। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৩০ টাকায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজের বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা ও আমদানি পেঁয়াজের দাম ৩০-৩৮ টাকা। গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ৩২ থেকে ৩৫ টাকা আর আমদানি পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা।
এদিকে গত সপ্তাহে অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়া কাচা পেঁপেরর দাম এখনও অস্বাভাবিকই রয়েছে। আগের সপ্তাহের মতো এখনো এই সবজিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শুধু বেগুন, কাকরল ও পেঁপে নয় বাজারে এখন সব সবজির দামই চড়া। সিংহভাগ সবজির কেজি ৫০ টাকার ওপরে। তবে মরিচ, আলু, ডিম, রসুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহের মতো ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে টমেটো, লাউ, উসু, করলা, পটল, ঢেঁড়স, বরবটির সরবরাহ পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। তবে রোজার আগে হওয়ায় এখন সব সবজির দামই চড়া। সবজির এ চড়া দামের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে বেগুন ও পেঁপে।
বেগুনের দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কিছুদিন পরেই রোজা শুরু। আর রোজার ইফতারিতে বেগুনের চপ বাংলাদেশিদের অনেক প্রিয়। যে কারণে রোজা আসর আগেই বেগুনের চাহিদা ও দাম বেড়ে যায়। এবারও সেটাই হয়েছে। তবে বাজারে সাদা ও লাল গোল এবং লম্বা সব ধরণের বেগুনের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।
গত সপ্তাহে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পাকা টমেটোর দাম বেড়ে ৪০-৫০ টাকা হয়েছে। ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া করলার দাম বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা হয়েছে। উস্তে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা কেজি।
দাম বাড়ার এ তালিকায় রয়েছে গাজর ও শসাও। গত সপ্তাহে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া গাজরের দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা। আর ৩০ টাকার শসার দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
তবে লাল শাক, সবুজ ডাটা শাক, পাট শাক, কলমি শাক আগের সপ্তাহের মতো ৫-১০ টাকা আটি বিক্রি হচ্ছে। পুইশাক বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে লাউ শাক।
এছাড়া, চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মিনিকেটের দাম কেজিতে দুই টাকা কমেছে। মানভেদে মিনিকেট ৫২ থেকে ৬০ টাকা, নাজির ৬৪ থেকে ৭২ টাকা ও কাটারিভোগ ৭২ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৫০-৪৭০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজার ভেদে সাদা বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ১৩০-১৪০ টাকা। আর গত সপ্তাহে ১৫০-১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া লাল কক মুরগির দাম বেড়ে হয়েছে ১৮০-১৮৫ টাকা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএ/ এমআর এইচ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭