নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 11/05/2018
ব্যাংকিং খাত নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁর দলের ঋণ খেলাপী এবং ব্যাংক লুটেরাদের তথ্য আড়াল করলেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, বেগম খালেদা জিয়া, প্রয়াত কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, তারেক জিয়া, খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দারের স্ত্রী সহ বেশ ক’জন নেতা ঋণ খেলাপী। এদের বিরুদ্ধে অর্থ ঋণ আদালতে মামলাও আছে।
বিএনপি প্রথমবার ক্ষমতায় এসে ১৯৯১ সালে প্রভাবখাটিয়ে রাষ্ট্রীয় সোনালী ব্যাংক থেকে তারেক জিয়ার প্রতিষ্ঠান ডান্ডি ডায়িং এর নামে ঋণ নিয়েছিলেন। ডান্ডি ডায়িং এর ঋণ এখনও পরিশোধ করা হয়নি। এটা বাজে ঋণ হিসেবে তালিকাভুক্ত। সোনালী ব্যাংক টাকা উদ্বারের অর্থঋণ আদালতে মামলাও করেছে।
আরাফাত রহমান কোকোর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও রাষ্ট্রীয় ব্যাংক জনতা ও অগ্রনী থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছিল ২০১২ সালে। ঐ ঋণও পরিশোধ করা হয়নি। অর্থঋণ আদালতে টাকা উদ্ধারে মামলাও করা হয়েছে ব্যাংকের পক্ষ থেকে। কোকোর মৃত্যুর পর ঐ অর্থের দায় দায়িত্ব এখন বেগম খালেদা জিয়া ও কোকোর স্ত্রীর নামে। সাইদ ইস্কান্দারও ঋণ খেলাপী অবস্থায় মারা গেছেন।
এছাড়াও বিএনপির অনেক নেতাই ব্যাংক ঋণ নিয়ে আর পরিশোধ করেননি। একজন অর্থনীতিবীদ বলেছেন, ‘ব্যাংক লুটপাট তো শুরু হয়েছিল বিএনপির আমলেই। ২০০১ - ২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় আল – বারাকা ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল বেগম জিয়ার রাজনৈতিক সচিব মোসাদ্দেক আলী ফালুর কারণে।’ তিনি বলেন, ‘খুশী হতাম যদি মির্জা ফখরুল তাঁর দলের ব্যাংক লুটেরাদেরও নাম বলতেন।’
এই অর্থনীতিবীদ বলেন, ‘গোটা জিয়া পরিবারই তো ব্যংককের টাকা নিয়ে দেয়নি। তাঁরা রাষ্ট্রীয় পদে থেকে ব্যাংক লুট করেছে। তাঁরা হলেন ভিআইপি ব্যাংক লুটেরা।’
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭