ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশে সাপের উপদ্রব, করণীয় কি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 17/05/2018


Thumbnail

দেশে সাপের উপদ্রব বেড়ে গেছে বেশ হঠাৎ করেই। এই অবস্থাটিতে বিচলিত হওয়া খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। বর্ষার মৌসুম শুরুর আগেই এই প্রকোপে আতঙ্ক দেশবাসী।

সম্প্রতি বগুড়ার একটি অফিস কক্ষ থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক সাপের বাচ্চা উদ্ধার হয়। ভোলার একটি কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিকের মেঝে থেকে শত শত বিষধর সাপ বের হওয়ায় ক্লিনিকটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। নওগাঁর রাণীনগরে আড়াইশ এবং কুমিল্লার দেবীদ্বারে উপজেলার ছোট আলমপুরে এক বাসা থেকে অন্তত এক ডজন বিষধর গোখরা সাপের বাচ্চা উদ্ধার হয়েছে। এগুলো পরে মেরে ফেলা হয়েছে।

কেন এত উপদ্রব

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খান বিবিসিকে বলেন, বৃষ্টির মৌসুমে সাপের উপদ্রব বেড়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়। এসময় সাপের আবাসস্থল ডুবে যায় বলে তারা ডিম পাড়তে শুকনো ও উঁচু স্থানে আসে। এছাড়া বিষধর গোখরা এবং কেউটে সাপের মূল খাবার ইঁদুর, তাই তারা লোকালয়ের আশেপাশে বাসা বাঁধে। গ্রামে রান্নাঘর এবং গোলাঘরে ইঁদুরের উপদ্রব বলে সাপ বিচরণও সেখানে বেশি থাকে। তবে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে বলে নির্বিচারে সাপ মেরে ফেলায় পক্ষপাতী নন তিনি।  

এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের করণীয় কী এ প্রসঙ্গে বন সংরক্ষক জাহিদুল কবির বলেন, কোনো বাড়িতে সাপ পাওয়া গেলে সেটিকে না মেরে বন বিভাগকে খবর দিতে হবে। এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে প্রতিটি উপজেলায় লিফলেট বিতরণ ও মসজিদে মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচারণা চালানোর উদ্যোগ গ্রহণের কথাও জানান তিনি। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকেও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে তিনি আহ্বান জানান।

তবে বন অধিদফতরের ওয়েবসাইটে একটি হটলাইন নম্বর থাকলেও জনবল সংকটের কারণে দেশের প্রতিটি স্থানে এর সেবা পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব বলে জানান জাহিদুল কবির। এজন্য তিনি প্রতিটি গ্রামে সাপ ধরা ও সংরক্ষণে অন্তত একজনকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা জানান। যারা সাপগুলো উদ্ধার করে তাদের আবাসস্থলে ছেড়ে দিতে পারবে। তবে এই সংকট নিরসনে দ্রুত বন বিভাগে কর্মী নিয়োগ করা হবে বলেও জানান তিনি।

সাপ থেকে বাঁচতে

বাড়িঘর এবং আঙ্গিনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও শুষ্ক রাখতে হবে। পাশাপাশি রাতে অন্ধকারে চলাচল না করাই ভালো। আর দেশে মোট সাপের ৫ শতাংশ মাত্র বিষাক্ত আর শান্ত স্বভাবের। এরা সহজে আক্রমণ করেনা। তাই এদের দেখে আতঙ্কিত না হয়ে পাশ কাটিয়ে বা পিছনে চলে যেতে হবে। সাপ যেহেতু একেবেঁকে চলে, তাই তাদের দেখেও একেবেঁকে সরে পড়ার কথা বলা হয়।

জানা গেছে, দেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে সাপের উপদ্রব বেশি। মে, জুন ও জুলাই এই তিন মাসে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সকাল ও সন্ধ্যায় সাপে বেশি কামড়ানোর ভয় বেশি।

সূত্র: বিবিসি

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭