ইনসাইড ইকোনমি

ক্রেতা কম বাজারে!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 18/05/2018


Thumbnail

আজ শুক্রবার রমজানের প্রথম দিন। রমজানকে ঘিরে গত সপ্তাহেজুড়ে বাজারে প্রচন্ড ভিড় লক্ষ করা গেলেও, প্রথম দিনেই পাল্টে গেছে নগরীর বাজারগুলোর চিত্র। এদিন নগরীর বেশিরভাগ বাজারের চিত্রই দেখা গেছে ক্রেতা কম। বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানকে ঘিরে অনেকেই আগেভাগেই বাজার করে রেখেছেন। যার ফলে আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও বাজারে তেমন লোক সমাগম নেই। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বৈরী আবহাওয়া। যার কারণে ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও অনেকেই বাজার মুখী হতে পারে নাই। অনেকে রমাজানের প্রথম প্রহর ঘুমিয়েই কাটাচ্ছেন। 

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, টাউনহল বাজার ও আশেপাশের কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

অন্যান্য বছর গুলোর মতোই এবারও ইফতারির কিছু পণ্যের দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে। এর মধ্যে শীর্ষ স্খান দখল করে নিয়েছে বেগুন আর শসা। এগুলোর দাম বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। তবে রমজানের অন্যান্য পণ্য ছোলা, ডালের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া ছোলা এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। তবে চিনির দাম কেজিতে ২ টাকা বেড়েছে।

এদিকে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় বেশির ভাগ পণ্যের দাম কোনো হেরফের নেই বলে দাবি বিক্রেতাদের। তবে ক্রেতারা কম-বেশি সব পণ্যেই ঊর্ধ্বমুখী দামের কথাই বলছেন।

কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে। আর বেগুন প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে জ্বাল কমেছে কাঁচা মরিচের। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়।

মগবাজার থেকে কারওয়ান বাজারে এসেছিলেন আমিনুল ইসলাম পলাশ। তিনি বলেন, রোজা এলে যেন দাম বাড়ার হিড়িক পড়ে। টাউন হলে বাজার করছিলেন তারিবুর রহমান। তাবিবুর বলেন, গত এক বছরেও শসার দাম এমন বাড়েনি।

প্রতিকেজি গোল বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও লম্বা বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে বাজারগুলোতে। বেগুনের বাড়তি দাম নিয়ে কথা বলতেই এক বিক্রেতা বলে উঠলেন, ‘বেগুনের দাম কই আর বেশি। ৮০ থেকে টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। সামনে আরও বাড়তে পারে। প্রতিবছরই রোজাতেই তো এমন হয়!’

বেগুনে এমন উত্তাপ ছড়ালেও তার কোনো প্রভাবই নেই রোজার মাসে চাহিদা বৃদ্ধিতে এগিয়ে থাকা পণ্যগুলোর মধ্যে কাঁচামরিচ ও ধনেপাতায়।

বাজার ভেদে আড়াইশ গ্রাম কাঁচামরিচ ১০-২০ টাকায় ও ধনেপাতা ২৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কারওয়ানবাজারে পাইকারিতে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি ৩০-৩৫ টাকা ও ধনেপাতা ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারের ব্যবসায়ী আলী হোসেন। তিনি বলেন, রোজা উপলক্ষে এবার কাঁচামরিচ ও ধনেপাতার দাম বাড়েনি। প্রায় দুই মাস ধরে আড়াইশ গ্রাম কাঁচামরিচ ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আড়াইশগ্রাম ধনেপাতা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। অথচ অন্য বছরগুলোয় রোজা শুরু হওয়ার আগেই এ দুটি পণ্যের দাম বেড়ে যেত।

পাইকারি বাজারে কিছুটা ঝাঁজ কমেছে পেঁয়াজের। কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে ২ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪২ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজিতে বেচাকেনা হচ্ছে। তবে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ৪০ টাকা। চীনা রসুন ১২০ টাকা, দেশি ৮০ টাকা ও আদা ১২০ টাকা কেজিতে বেচাকেনা হচ্ছে।

তবে, কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজারে মধ্যম মানের পেঁয়াজের দাম উঠেছিল সর্বোচ্চ ৪৪ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকায়। পাইকারি বিক্রেতা শহীদুল ইসলাম বলেন, সর্বোচ্চ ৪৪ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকায়।

এদিকে, মাংসের বাজারে দেখা গেছে গরু ৪৮০, খাসি ৭৮০ ও পোল্ট্রি মুরগি ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য কাঁচা সবজির দাম কেজিতে ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে।


বাংলা ইনসাইডার/এসএ/এমআরএইচ 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭