নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 03/06/2018
আওয়ামী লীগকে বলা হতো তারুণ্যদ্বীপ্ত দল। ১৯৪৭ এর দেশ বিভাগের পর জাতির পিতার নেতৃত্বে তারুণ্যের দ্রোহই বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল। তারুণ্যের উদ্দীপনাই মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সৃষ্টিতে প্রেরণা যুগিয়েছিল। তরুণ মুজিব স্বাধীনতার বীজ বুনেছিলেন ৬ দফায়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ছিল তরুণদের বিজয় গাঁথা। আওয়ামী লীগ মানেই তরুণ প্রাণের স্পন্দন। আওয়ামী লীগ এখন ৭০ ছুঁই ছুঁই। দলের নেতৃত্বে প্রবীণ এবং বয়োজ্যেষ্ঠরা। তারুণ্যের প্রতীক দলটিতে এখন তরুণদের অবস্থান কেমন?
রাজনৈতিক গবেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন এক যুগ-সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। ২০১৮’র জাতীয় নির্বাচন হয়তো অনেক প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাদের শেষ নির্বাচন হবে। আমীর হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদের মতো প্রবীণরা হয়তো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আর প্রার্থী হবেন না। ইমাজউদ্দিন প্রমাণিকের মতো নেতারা, যাঁরা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে রাজনীতি করেছেন, তাঁদের রাজনৈতিক অধ্যায় শেষ হবে এই নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে। এরপর আছেন ওবায়দুল কাদের, মোহাম্মদ নাসিম, শেখ সেলিম। এরাও ৬৫ থেকে ৭০ এর ঘরে। এখনই দলে এরা প্রবীণ। এদের পরের কাতারে আছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমানরা। এরাও আর তরুণ নন। যদিও আওয়ামী লীগে এখনো এদের তরুণ ভাবা হয়। তারপর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের অবস্থান কি? আওয়ামী লীগে তরুণদের ভবিষ্যৎ কি?
আওয়ামী লীগে তারুণের কথা আসলেই প্রথমেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি। তিনি এখন শুধু আওয়ামী লীগের নন, সারা বাংলাদেশে তারুণ্যের আইডল। তাঁর হাতের হয়তো উঠবে আওয়ামী লীগের নতুন অভিযাত্রার পতাকা। তিনি তো নেতা। কিন্তু তাঁর চারপাশে কে দাঁড়াবে? আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কি তরুণরা উঠে আসছেন?
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকরা তরুণই। এদের মধ্যে এনামুল হক শামীম জাকসুর ভিপি ছিলেন। বাহাউদ্দিন নাসিম রাজনীতিতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন নিষ্ঠাবান কর্মী হিসেবে, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে, তিনিও প্রতিশ্রুতিশীল। কিন্তু এই সাংগঠনিক সম্পাদকরা ছাড়া তরুণদের জায়গা কেন্দ্রীয় কমিটিতে নেই। কেন্দ্রীয় কমিটিতে মির্জা আজম একমাত্র তারুণ্যের প্রতীক, যিনি মন্ত্রিসভাতেও আছেন। তবে, কেন্দ্রীয় কমিটিতে না থাকলেও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে প্রতিশ্রুতির স্বাক্ষর রেখেছেন জুনায়েদ আহমেদ পলক। নসরুল হামিদ বিপুও প্রথম প্রতিমন্ত্রী হয়ে প্রতিশ্রুতির স্বাক্ষর রেখেছেন। সংসদে ইকবালুর রহিম হুইপ হয়ে ধীরে ধীরে আলো ছড়াচ্ছেন। তবে, পাদপ্রদীপে না এলেও আওয়ামী লীগে এখনো তরুণরাই প্রাণ। যেকোনো সংকটে তারাই সামনে আসে। নেতৃত্বে প্রতিটি বাঁক পরিবর্তনেই আওয়ামী লীগের হাল ধরেছেন তরুণরা। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কাছ থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিয়েছিলেন তরুণ শেখ মুজিব। জাতির পিতাকে নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন ৩৪ বছর বয়সী তরুণ কাণ্ডারী শেখ হাসিনা। আবার হয়তো নেতৃত্ব যাবে তারুণ্যের হাতেই। যার সঙ্গে যুক্ত হবেন অনেক মেধাবী তরুণ, যাঁরা এখন অন্তরালে।
Read in English- https://bit.ly/2Ll3n0L
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭