ইনসাইড ইকোনমি

এক নজরে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 08/06/2018


Thumbnail

‘সমৃদ্ধ আগামীর পথ যাত্রায় বাংলাদেশ’ নামে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ব্যয় ধরা  হয়েছে  ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থ বছরের চেয়ে ৬৪ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা বেশি।  প্রস্তাবিত বাজেটি রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। এরপরও বাজেটে ঘাটতি থাকবে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। যা অভ্যন্তরীণ ঋণ, বিদেশি সহায়তা থেকে মেটানো হবে।

দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আকারের বাজেট পেশ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে সংসদে প্রবেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এর পরপরই স্পিকারের অনুমতি পেয়ে বর্তমান সরকারের টানা দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন। প্রথমে দাঁড়িয়ে বাজেট বক্তৃতা শুরু করলেও কিছুক্ষণ পর বসেই বক্তৃতা দেন তিনি। বক্তৃার মাঝে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে বারবার সংশোধন করে দেন নিকটেই বসে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বাজেট বক্তৃকতায় বলেন, এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য হলো দারিদ্র্য দূরীকরণ ও অসমতা হ্রাস। আগামী অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। নতুন অর্থবছরের এই বাজেট বাস্তবায়নে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত। কারণ ইতিমধ্যেই জাতীয় রাজস্ব খাতে জনবল ও কর্মপদ্ধতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবেনা।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা। মূল্যস্ফীতি ধরা হয় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। আর মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির আকার ২৫ লাখ ৩৭ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক উৎস থেকে ৫৪ হাজার ৬৭ কোটি এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে যোগান ধরা হয় ৭১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা।

এদিকে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটকে শিল্পবান্ধব ও সবার জন্য ভারসাম্যমূলক বলে অভিহিত করেছেন দেশের কয়েজন অর্থনীতিবিদ। তবে করপোরেট কর যে হারে কমার কথা ছিল, সেই হারে না কমায় কিছুটা অসন্তুষ্টি রয়েছে তাদের।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পল্লী কর্মসংস্থান ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ   জানান, ‘বড় বাজেটকে আমি সমর্থন করি, কারণ দেশের অর্থনীতি বড় হচ্ছে। তবে বড় বাজেট করে বসে থাকলেই চলবে না, বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ, কয়েক বছরে ধরেই বাজেট বাস্তবায়ন প্রশ্নবিদ্ধ থেকে যাচ্ছে।’

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় প্রস্তাবিত বাজেটকে সবার জন্য ভারসাম্যমূলক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ও অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) ভারপ্রাপ্ত গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবীর  ‘নতুন অর্থবছরের বাজেটটি মূলত ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা। তবে এই বাজেটে ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক ধরনের প্রণোদনা আছে।

এদিকে বাজেট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। তার মতে, আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের যে আকার নির্ধারণ করা হয়েছে তা কোনোভাবেই বাস্তবায়নযোগ্য নয়।

বাজেট প্রতিক্রিয়া ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেছেন, প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট শিল্প ও ব্যবসাবান্ধব নয়। প্রস্তাবিত বাজেট এ খাতকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।

বাজেটে নতুন কোনো চমক নেই বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)। বৃহস্পতিবার বাজেট পরবর্তী তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় সংস্থাটির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এ মন্তব্য করেন।


বাংলা ইনসাইডার/এসএ 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭