ইনসাইড গ্রাউন্ড

বিশ্বকাপে দ্যুতি ছড়াবেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 13/06/2018


Thumbnail

ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বিশ্বকাপ এবার বসবে রাশিয়ার মাটিতে। ১৪ জুন থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ফুটবলের মহোৎসবে মাঠ মাতাবেন বিশ্বসেরা তারকারা। প্রিয় দেশের পাশাপাশি প্রিয় খেলোয়াড়কে সমর্থন জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ভক্তকূল। এবারের বিশ্বকাপে স্টেডিয়াম এবং টেলিভিশনের পর্দায় যে সকল খেলোয়াড়ের প্রতি বাড়তি আগ্রহ থাকবে সেই বিশ্ব তারকাদের দিকে চোখ রাখা যাক।

লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা)
ইকুয়েডরের বিপক্ষে বাঁচামরার ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে দলের রাশিয়ার টিকেট এনে দেন মেসি একাই। অমরত্বের পথে মেসির একমাত্র আক্ষেপ এখন বিশ্বকাপের নাগাল না পাওয়া। তাই এবার সেই আক্ষেপ ঘুচোতে আরও অপ্রতিরোধ্য মেসিকে দেখা যাবে বলে বিশ্বাস ভক্তদের।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল)
৩২ বছর বয়সী রিয়াল মাদ্রিদের সুপারস্টারের জন্য রাশিয়ার বিশ্বকাপটাই হয়তো শেষ বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে। ৫ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই উইঙ্গারেরও মেসির মতো বিশ্বকাপের নাগাল না পাওয়ার আক্ষেপ রয়েছে।

নেইমার (ব্রাজিল)
মেসির ছায়া থেকে বের হয়ে যেন আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছেন ২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। ব্রাজিলের বস তিতের আশা, বিশ্বকাপেও নেইমার নিজের ফর্ম ধরে রাখবেন।

মোহাম্মেদ সালাহ (মিসর)
মোহাম্মদ সালাহ মিশরের ত্রাণকর্তা বলা যেতে পারে। তাঁর হাত ধরেই বিশ্বকাপে খেলার জায়গা করে নেয় মিসর। লিভারপুলের এই ফরওয়ার্ড রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে।

লুইস সুয়ারেজ (উরুগুয়ে)
উরুগুয়ের অন্যতম ভরসা লুইস সুয়ারেজ। বার্সেলনার জার্সিতে লিওনেল মেসির সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রতিপক্ষকে নিয়মিত নাকানি চুবানি খাওয়াচ্ছেন সুয়ারেজ। ২০১৮ বিশ্বকাপে সন্দেহাতীত ভাবেই সুয়ারেজ বড় ফ্যাক্টর হিসাবে আবির্ভূত হবেন।

হ্যারি কেন (ইংল্যান্ড)
বিশ্বকাপে ইংলিশদের নেতৃত্ব তাঁর কাঁধেই। ২০১৬-১৭ মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আরেক ইংলিশ কিংবদন্তি অ্যালেন শিয়ারারের এক বর্ষ পঞ্জিকায় গড়া ২২ বছর পুরোনো সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ভেঙে ফেলেন। বিশ্বকাপেও নজর থাকবে তাঁর ওপর।

আতোঁয়ান গ্রিজমান (ফ্রান্স)
আপাতত নিজের ঠিকানা অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদে ভালোই আছেন তিনি। তাঁর হাত ধরে রোজি ব্লাঙ্কোসরা দারুণ সময় পার করছে। মেসি, রোনালদোর সঙ্গে ২০১৬ সালের ফিফার বর্ষসেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় এসেছিলেন একবার।

কিলিয়ান এমবাপ্পে (ফ্রান্স)
এর মধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে উদীয়মান খেলোয়াড় হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন। হাতে নিয়েছেন ফ্রান্সের বর্ষসেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার।

ইডেন হ্যাজার্ড (বেলজিয়াম) 
বেলজিয়ামের ২৬ বছর বয়সী উইঙ্গার ইডেন হ্যাজার্ড ঠিকই দর্শকদের আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবেন। বিশ্বকাপের মঞ্চে বেলজিয়ামের আশার প্রদীপ হ্যাজার্ড যে আলো ছড়াবেন তাতে গোটা বিশ্বের ফুটবল প্রেমীরা আলোকিত হবেন।

গ্যাব্রিয়েল জেসুস (ব্রাজিল)
চারবছর আগে জেসুস বিশ্বকাপ দলে থাকলে ব্রাজিলের ইতিহাসটা হয়তো অন্যভাবে লেখা হত। বর্তমানে ২০ বছর বয়সী এই তারকা তখন কিশোর। ২০১৬ অলিম্পিকে ব্রাজিলের প্রথম অলিম্পিক সোনা জেতাতে দারুণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

সাদিও মানে (সেনেগাল)
২০০২ বিশ্বকাপের পর আবারো বিশ্বকাপে ফিরেছে সেনেগাল। সেবার চমক দেখিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা সেনেগাল এবারো আলো ছড়াতে চায়। আর সেই লক্ষ্যে তাদের অন্যতম ভরসা সাদিও মানে।

ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন (ডেনমার্ক)
বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে দুর্দান্ত পারফম্যান্স করে দলকে বিশ্বকাপ মঞ্চে এনেছেন তিনি। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে মধ্য মাঠের হয়ে খেলা এরিকসন ১২ ম্যাচে ১১ টি গোল করেছেন। বলতে গেলে তাঁর একক নৈপুণ্যে ডেনমার্ক বিশ্বকাপে খেলার টিকেট অর্জন করে।

ফিলিপে কৌটিনহো (ব্রাজিল)
ব্রাজিলের মধ্যমাঠের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়। তাঁর পায়ে এক ধরনের জাদু আছে। একই সাথে ২-৩ জনকে কাটিয়ে একাই বল সামনের দিকে নিয়ে যাওয়ার মতন ক্ষমতা রাখেন তিনি। ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়ের পথে মধ্যমাঠে তাঁর মত একজন খেলোয়াড় থাকলে আর চিন্তা থাকার কথা না।

টিমো ওয়ার্নার (জার্মানি)
গত বছরের জুনে জার্মানিকে কনফেডারেশন্স কাপ জয়ে পথ দেখিয়ে নিজেকে এর মধ্যে প্রমাণ করেছেন ২১ বছর বয়সী নবীন তারকা টিমো ওয়ার্নার। কনফেডারেশন্স কাপে গোল্ডেন বুট জেতা এ তরুণ স্ট্রাইকার নিশ্চয়ই বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের আবার সাফল্য এনে দিতে চাইবেন।

বাংলা ইনসাইডার/এসএকে/জেডএ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭