ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রাজিলীয় ‘সাম্বা’র আদ্যোপান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 22/06/2018


Thumbnail

ব্রাজিলের ফুটবল দলের ভক্ত অথচ ‘সাম্বা’র সঙ্গে পরিচিত নন, এমন লোক খুব কমই পাওয়া যাবে। দেশটির জাতীয় পরিচয়ে পরিণত হয়েছে গান ও নৃত্যের এই ধারাটি। প্রতিবছর দেশটির রিও ডি জেনিরো শহরে জাকজমকপূর্ণ সাম্বা উৎসবের আয়োজন করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ সময় জড়ো হন পর্যটকরা৷

মজার ব্যাপার হলো, একসময় এটি ক্রীতদাসদের গান হিসেবে পরিচিত ছিল। পশ্চিম আফ্রিকার ক্রীতদাসদের মাধ্যমে এই সাম্বা ব্রাজিলে বিকাশ লাভ করে বলে মনে করা হয়। ১৯২০ - ৩০-এর দশকে এটি জনপ্রিয়তা লাভ করতে শুরু করে। তবে ১৯৬৪ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত ব্রাজিলে সামরিক শাসনের সময় সাম্বার উপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছিল বলে জানা যায়।

অনেক বাধা-বিপত্তির মধ্য দিয়েও কীভাবে ব্রাজিলের অধিবাসীরা নিজেদের জীবনকে ভালোবাসতে পারে, সেই দর্শনই প্রতিফলিত হয় সাম্বায়৷

যুগের সাথে সাথে সাম্বার ধরণ পাল্টেছে৷ এখন পোশাকে এসেছে আধুনিকতা ও জমকালো ভাব। যোগ হয়েছে মুখোশের ব্যবহার।

২০০৫ সালে ইউনেস্কো সাম্বাকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দেয়৷ বর্তমানে বিশ্বের বেশ কিছু দেশে গড়ে উঠেছে সাম্বা স্কুল৷ নিউইয়র্ক, টোকিওসহ বিভিন্ন শহরের কার্নিভ্যালে জায়গা করে নিয়েছে ব্রাজিলীয় সাম্বা।

বাংলা ইনসাইডার/ এএইচসি



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭