কালার ইনসাইড

দলীয় সংগীত নিয়ে বিএনপির জোচ্চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 23/06/2018


Thumbnail

‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’গানটি বিএনপির দলীয় সংগীত হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্ত ‍কার অনুমতি নিয়ে বিএনপি গানটি ব্যবহার করছে?

গানটির শিল্পী ও সুরকার অভিযোগ করেছেন, কারও অনুমতি না নিয়ে গানটি নিজেদের দলীয় সংগীত হিসেবে ব্যবহার করছে বিএনপি।  

সুরকার আলাউদ্দিন আলীর অভিযোগ, বিএনপি তাঁদের সঙ্গে কথা না বলেই গত প্রায় চল্লিশ বছর ধরে গানটি ব্যবহার করছে দলীয় সংগীত হিসেবে।

শাহনাজ রহমতউল্লাহ বলেন, ‘এটা কোনো দলের গান নয়। আমি গানটা কোনো দলের জন্য গাইনি। বিএনপি গানটি কেন ব্যবহার করছে। তাও আমার জানা নেই। সত্তর দশকের শেষভাগে বাংলাদেশ টেলিভিশনে নওয়াজিশ আলী খান প্রযোজিত ‘বর্ণালী’ অনুষ্ঠানে মনিরুজ্জামান মনিরের লেখা গানটি প্রথম পরিবেশন করি। এরপর দেশজুড়ে গানটি ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মুখে মুখে। সেই গানটি কীভাবে বিএনপির দলীয় সংগীত হল এ প্রশ্ন আমারও।

বহু জনপ্রিয় দেশাত্মবোধক গানের শিল্পী শাহানাজ রহমতউল্লাহ। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। আর তিনিই করছেন এ অভিযোগ।  

তিনি বলেন,‘এটা একটা দেশের গান। ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ’। এখানে বাংলাদেশের কথা বলা হয়েছে। বিএনপির কোন কথা বলা হয়নি। ’

প্রায় একই ধরনের কথা বলেছেন গানটির সুরকার আলাউদ্দিন আলী। তিনি বলেন,‘কীভাবে কীভাবে কখন এটা যে দলীয় সংগীত হয়ে উঠেছে এটা আমি নিজেও জানি না। পরে জানতে পারি বিষয়টা।”

গানটির গীতিকার মনিরুজ্জামান মনির বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা। তিনি যতই নেতা হোক, বিএনপি যদি গানটি ব্যবহার করে। আইনানুযায়ী তো গানটির সুরকার ও গায়িকারও বিষয়টি জানতে হবে।

জানা যায়, জিয়াউর রহমান গীতিকার মনিরুজ্জামান মনিরকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অফিসার পদে চাকরি দেন। জিয়াই ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’ গানটিকে বিএনপির দলীয় সংগীত ঘোষণা করেন জিয়া।

বিএনপির ওয়েবসাইটে এখন গানটি রাখা হয়েছে ‘দলীয় সংগীত’ হিসেবে।  শিল্পী, গীতিকার ও সুরকারের নামও সেখানে দেওয়া হয়েছে।

শাহনাজ রহমতউল্লাহ বলেন, আশির দশক থেকে মনিরুজ্জামান মনিরের সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই তাঁর। গানটি কেন ব্যবহার করা হয়েছে এ ব্যাপারে কোন কথা বলেনি জাসাস নেতারা। কথা বলেননি বিএনপির নেতারাও।

উল্লেখ্য, গানটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুরকার, গীতিকার ও শিল্পী-তিনজনেরই লিখিত অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি না নিলে উনারা ফৌজদারি মামলাও করতে পারেন।


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭