কালার ইনসাইড

গানের রাজা মাইকেল জ্যাকসনের প্রয়াণ দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 25/06/2018


Thumbnail

সংগীতের নতুন ধারা, গানের কথা, গানের সঙ্গে নাচ, পোশাক-পরিচ্ছেদ, মঞ্চ পরিবেশনা, অ্যালবাম বিক্রির রেকর্ড- মাইকেল জ্যাকসনের সব কিছুই ছিল চমক জাগানিয়া। তিনি শুধু গান আর নাচই করতেন না। গানের সুর থেকে শুরু করে সব ধরনের যন্ত্রের ব্যবহার এমনকি মিউজিক ভিডিও নির্মাণের দিক নির্দেশনাও দিতেন। তাঁর প্রতিটা মিউজিক ভিডিও যেন এক একটি চলচ্চিত্র। ব্যাখ্যাতীত এই শিল্পীর আজ নবম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৯ সালের ২৫ জুন এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন ‘কিং অব পপ’ খ্যাত এই সংগীতশিল্পী।

পুরো নাম মাইকেল জোসেফ জ্যাকসন। ১৯৫৮ সালের ২৯ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের গ্যারি ইন্ডিয়ানা অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন মাইকেল জ্যাকসন। বাবা-মা যথাক্রমে জোসেফ ওয়াল্টার জ্যাকসন ও ক্যাথরিন জ্যাকসন। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের সবাই কোনো না কোনো সময় পেশাগতভাবে সংগীতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৬৩ সালে পাঁচ ভাই-বোন মিলে ‘জ্যাকসন ফাইভ’ নামে একটি ব্যান্ড গঠন করেন। সেই সময় মাইকেলের বয়স ছিল মাত্র ৫ বছর। অর্থাৎ শিশু বয়স থেকেই সংগীতের সঙ্গে তাঁর সখ্যতা। এরপর ১৯৭১ সাল থেকে একক শিল্পী হিসেবে গান গাইতে শুরু করেন মাইকেল।

বিশ্বের সর্বাধিক বিক্রিত অ্যালবামের মধ্যে মাইকেলের পাঁচটি অ্যালবাম রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- অফ দ্য ওয়াল (১৯৭৯), থ্রিলার (১৯৮২), ব্যাড (১৯৮৭), ডেঞ্জারাস (১৯৯১) এবং হিস্টরি (১৯৯৫)। ১৯৮০র দশকে মাইকেল সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছান। তিনি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী যিনি এমটিভিতে এতো জনপ্রিয়তা পান।

২০০৯ সালে যখন তাঁর মৃত্যু হয়, তখন সংগীত বিশ্বের সব হিসেব বদলে যায়। সংগীতের বেশীরভাগ রেকর্ডই তাঁর দখলে চলে আসে। সে বছরই সর্বাধিক বিক্রীত অ্যালবামের শিল্পী হিসেবে গোটা বিশ্বের সঙ্গে পরিচিত হন জ্যাকসন। মৃত্যুর এক বছরের মাথায় শুধুমাত্র আমেরিকাতেই তাঁর অ্যালবাম বিক্রি হয় ৮ দশমিক ২ মিলিয়ন কপি; আর বিশ্বজুড়ে বিক্রি হয় ৩৫ মিলিয়ন। মৃত্যুর পর গান ডাউনলোডের ইতিহাসেও রেকর্ড গড়েন তিনি। মাত্র এক সপ্তাহে টাকা খরচ করে জ্যাকসনের ১০ লাখ গান ডাউনলোড করে তাঁর ভক্তরা। এর আগে এত কম সময়ে আর কোনো শিল্পীর এত বেশিসংখ্যক গান ডাউনলোড হয়নি।

গানের তালে তালে মাইকেলের নাচের কৌশলগুলোও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। তাঁর জনপ্রিয় নাচের মধ্যে রবোট,ও মুনওয়াক (চাঁদে হাঁটা) অন্যতম। ‘মুনওয়াক’ মূলত সামনের দিকে পা ফেলে পেছনে হেঁটে যাওয়ার একটি কৌশল, যা দর্শকদের চোখে ভ্রান্তি সৃষ্টি করে। 

চাঁদেও জমি কিনেছিলেন মাইকেল। ২০০৫ সালে চাঁদে ১২০০ একরের প্লট কিনেছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর চাঁদের একটি আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের নাম পরিবর্তন করে `মাইকেল জোসেফ জ্যাকসন` রাখা হয়। জ্যাকসনকে সম্মান জানাতেই এমনটা করেছিল ‘দ্য লুনার রিপাবলিক সোসাইটি’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান।

বাংলা ইনসাইডার/এইচপি/জেডএ

  



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭