নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 09/07/2018
আবেগ-অনুভূতির বাইরে কোনো মানুষই থাকতে পারে না। সেই আবেগেরও সীমা থাকে। কিন্তু আবেগ যদি কোনো পরিস্থিতিতে সামলে ওঠা না যায়, তবে মুশকিল। কেননা অতি আবেগী হয়ে গেলে আমাদের নিজের ওপর আর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। তখন ভুল হয় বেশি। হতাশা, দুঃখ থেকে যে আবেগের সৃষ্টি, একে নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি আমাদের হাতেই আছে।
দুঃখের সময় আবেগ নিয়ন্ত্রণ
সবসময় মনে রাখবেন, জীবনে উত্থান-পতন আসবেই। সুখ-দুঃখ কোনোটাই চিরস্থায়ী না। এগুলো আসবে আবার চলেও যাবে। দুঃখের সময়টাতে কষ্ট হবে, কান্না আসবে, মেনে নিতে মন চাইবে না। কিন্তু এই এসময়ের আবেগটাকে যদি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাহলে অনেকখানি শক্ত হয়ে যাবেন। অভিজ্ঞতা ভালো হবে, পরিস্থিতি বুঝতে পারবেন। তাই অবশ্যই শক্ত হন।
খারাপ সময়ে কোনো নেতিবাচক চিন্তা নয়
মনের মধ্যে ভালো বা খারাপ বিভিন্ন চিন্তা ঘুরেফিরে বেড়ায়। কিন্তু জোর করে অপ্রয়োজনীয় চিন্তা মাথার মধ্যে আনবেন না। যেটুকু চিন্তা নিতান্তই প্রয়োজন সেটুকুই ভাববেন। মনের ভিতর নেতিবাচক আবেগগুলো প্রয়োজনের গুরুত্বে কমিয়ে ফেলুন। কষ্ট হলে চর্চা করুন।
অতি আবেগের সময়ে আমরা ছোট বড় সবাই নিজের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেলি, এলোমেলো আচরণ করি। সবকিছুতেই অস্থির লাগে, কোনো কিছু মেনে নেওয়া যায়না। এরকম হলে গতানুগতিক জীবন থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করুন। পছন্দের কাজ করুন। সমস্যাগুলো নিয়ে ভাবার কম চেষ্টা করুন।
সবার আগে নিজেকে ভালোবাসুন
এই অতি আবেগের সময় একটু স্বার্থপর হতে চেষ্টা করুন। এই সময়টাতে নিজেকে ভালোবাসুন, নিজেকে সময় দিন। নিজের সম্পর্কে কখনো খারাপ কথা বলবেন না। আমি ভালো, আমি এই কাজ চেষ্টা করলেই পারবো, খারাপ অবস্থা বেশিদিন থাকবে না- এগুলো ভাবতে থাকুন।
জীবনের প্রাপ্তি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুন
খারাপ পরিস্থিতিতে আবেগের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমরা ভাবতে থাকি যে জীবনে বোধহয় কিছুই পাইনি। এই ভাবনা দূরে রাখুন। আপনি খাচ্ছেন, শক্তসমর্থ হাত পা দিয়ে কাজ করছেন, দিন শেষে আরামের একটা বিছানায় ঘুমাতে যাচ্ছেন, আশেপাশে কিছু প্রিয়জন আপনার খবর নিচ্ছে- এটাই তো অনেক লোকের ভাগ্যে থাকে না। তাই যা আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকুন। যা নেই তা অর্জনের চেষ্টা করতে পারেন, তবে মনে রাখবেন তা না পেলেও ক্ষতি নেই।
সমস্যার সমাধান না হলে
ধরুন সমস্যার সমাধান করতে পারছেন না কিছুতেই। এ অবস্থায় ঘাবড়ে যাবেন না। সমস্যা আর যেন বাড়তে না পারে সেই চেষ্টা করুন, হাল ছাড়বেন না। কারণ মনে রাখবেন এই সময়গুলোতেই মানুষ বেশি ভুল করে বসে। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য একটু সময় নিন।
কাজের চাপে মেজাজ খারাপ হলে
আমাদের কাজের চাপ এবং ক্লান্তির কারণে মেজাজ খিটখিটে হয়, অল্পতেই রাগ লাগে। এগুলো কমাতে স্ট্রেস মনিটরিং এবং স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। এগুলো চর্চা করে দেখতে পারেন।
কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার নয়
মন মেজাজ খারাপ বলে সেই প্রভাব ফেলেছেন অন্যদের ওপরে, সবার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন। এটা কখনো করবেন না। কারণ আপনার সঙ্গে কেউ এমনটা করলে সেটা মানতে পারতেন না। অন্যদের কষ্ট দেবেন না। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে সামলান। প্রয়োজনে কিছুক্ষণ সবার কাছ থেকে ধুরে থাকুন। মন ঠিক হলে তখন যোগাযোগ করুন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭