নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 11/07/2018
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে স্থানীয় সময় বুধবার শুরু হয়েছে নর্থ আটলান্টিকস ট্রিটি অর্গানাইজেশনের (ন্যাটো) সম্মেলন। দু’দিনের এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ ন্যাটোভুক্ত ২৯ দেশের নেতা।
সম্মেলন শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টা পূর্বে এক টুইটবার্তায় ট্রাম্প বলেন, ন্যাটোভুক্ত অন্য দেশগুলোর সংস্থাটিতে চাঁদার পরিমাণ আরও বাড়ানো উচিৎ। এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠতেই পারে, ন্যাটোতে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান কতটুকু?
২০১৪ সালে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো ২০২৪ সাল নাগাদ নিজেদের জিডিপির (মোট আভ্যন্তরীণ উৎপাদন) কমপক্ষে ২ শতাংশ সামরিক বাজেট হিসেবে ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে তাদের জিডিপির ৩.৫ শতাংশের বেশি সামরিক খাতে ব্যয় করে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে শুধু গ্রিস, যুক্তরাজ্য এবং এস্তোনিয়াই তাদের জিডিপির ২ শতাংশের বেশি সামরিক খাতে ব্যয় করছে।
ন্যাটো আশা করছে, এই বছরের মধ্যেই সদস্যভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অন্তত আটটি দেশ তাদের জিডিপির ২ শতাংশ সামরিক খাতে ব্যয় করবে।
রাশিয়ার সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধের সময় ইউরোপে ৪ লাখের বেশি মার্কিন সেনা মোতায়েন করা ছিল। কিন্তু বর্তমানে এই সংখ্যা ৬০ হাজারে নেমে এসেছে। যার মধ্যে শুধুমাত্র জার্মানিতেই রয়েছে ৩৫ হাজারের কাছাকাছি।
ন্যাটোতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নসক্রান্ত অঙ্গীকারের ব্যাপারে ইউরোপের দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু সংস্থাটিতে চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট আরও ৪০ শতাংশ বৃদ্ধির পরিকল্পনাই করছেন তিনি।
অবশ্য এটাও মনে রাখতে হবে গোটা বিশ্বে প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোকেও ব্যবহার করে থাকে। তাই ইউরোপের দেশগুলোকে ন্যাটোতে অর্থায়নের ব্যাপারে হুমকি দিলেও ট্রাম্প সংস্থাটিতে বাজেটের পরিমাণ বাড়াবেন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭