লিভিং ইনসাইড

এই খাদ্যাভাসে কমিয়ে ফেলুন কোলেস্টেরল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 12/07/2018


Thumbnail

বাড়তি কোলেস্টেরল নিয়ে আমাদের তো চিন্তারই কোনো শেষ নেই। কখন কি খাবো, কোনটা খাবো না, ব্যায়াম কীভাবে করবো সেটা ভেবে আমরা চিন্তিত। কিন্তু আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে এমন কিছু খাবার যেগুলো খেলে নিজে থেকেই কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। কি সেই খাবার জেনে নিই এবার-

ওটমিল বা ভুট্টার দিয়ে তৈরি খাবার

শরীরের কোলেস্টেরল কমানো খুব একটা সহজ কাজ নয়। খাবারদাবারের ব্যাপারে বেশ সচেতনতা দরকার। এজন্য সকালের নাশতায় ভুট্টা বা যবের তৈরি ওটমিল বা কর্নফ্লেক্স খেতে পারেন আপনি। দিনের শুরুতে ১ থেকে ২ গ্রাম ফাইবারও খাওয়া হবে, অন্ত্রে কোলেস্টেরল শোষণ কমে যাবে।

বাদাম

প্রতিদিন এক মুঠো করে বাদাম খান।এতে করে রক্তে ক্ষতিকর চর্বির মাত্রা ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। তাছাড়া বাদামে আছে ক্যালসিয়াম আর ম্যাগনেসিয়াম। এগুলো কোলেস্টেরল কমিয়ে শরীরকে বেশ ফিট রাখতে পারে।

সামুদ্রিক মাছ

সমুদ্রের টাটকা মাছ অন্য মাছের তুলায় বেশি স্বাস্থ্যকর। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন অন্তত তৈলাক্ত সামুদ্রিক মাছ খান। এতে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা রক্তে ক্ষতিকর ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ কমিয়ে দেয়, চর্বি জমতে দেয়না।

সবুজ শাকসবজি

টাটকা সবুজ শাক এবং সবজি, ফলমূলে খেলেই অন্ত্রের চর্বি শোষণ হবে অনেকখানিই। তাই তৈলাক্ত বা বাসি খাবার না খেয়ে সব ধরনের সবুজ ও রঙিন সবজির প্রতি আগ্রহী হন। এতে করে শরীরে কোনো মেদচর্বি জমতে পারে না। আর ফল মানেই যে তা দামী, এমনটা নয়। দেশি অল্পদামী ফলে পুষ্টির ঘাটতি নেই।

রসুন

রসুনের বিভিন্ন গুণের কথা আমরা জানি। রসুন খেলে রক্তনালীতে কোলেস্টেরল জমা হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। আর তাই রক্ত জমাট বেঁধে রক্তনালী বন্ধ হওয়ার ভয়ও থাকে না।

অ্যাভোকাডো

এই ফলটি আমাদের কাছে একটু কম পরিচিত হলেও কোলেস্টেরল কমাতে এই ফলের বিশেষ গুণ রয়েছে। এই ফলে থাকা ‘বেটা-সিস্টোসেরল’  উপাদান খাবার থেকে শরীরে কোলেস্টেরল শোষণের পরিমাণ কমায়। এছাড়াও শরীরে এইচডিএল বা উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

চা

প্রতিদিন এক-দু কাপ চা না হলে আমাদের চলে না। এটি আমাদের মনকে চনমনে তো করেই, শরীরে কোলেস্টেরলও কমায়। চায়ে থাকা ‘ফ্লাভানয়েডস’ একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ‘এলডিএল’ বা ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।

ডার্ক চকলেট

অনেকেরই ধারণা ডার্ক চকলেট আমাদের শরীরের জন্য ভালোনা। কিন্তু এতে রয়েছে ফ্লাভানয়েডস নামক উপাদান। যেটি খারাপ কোলেস্টেরলের বিরুদ্ধে লড়তে পারে।

সয়া

আমরা চর্বি ও মাংসের স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে সয়া খাই। উদ্ভিজ্জ আমিষের চমৎকার উৎস হিসেবে সয়া দারুণ উপযুক্ত। এতে কোনো স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। ফলে এতে কোনো কোলেস্টেরল হওয়ার আশঙ্কা কমে।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭