লিভিং ইনসাইড

আপনার হাত-পা কি বেশি ঘামে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 12/07/2018


Thumbnail

গরম বা তাপের মধ্যে থাকলে আমাদের পুরো শরীরে সঙ্গে হাত-পা ঘামবে সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু যেকোনো আবহাওয়ায় বিনা কারণে হাত-পা যদি বেশি পরিমাণে ঘামে তাহলে সেটা আর স্বাভাবিকের পর্যায়ে পড়ে না। চিকিৎসাবিজ্ঞাসের ভাষায় এই সমস্যাকে বলে হাইপার হাইড্রোসিস।

হাত-পা কেন ঘামে?

এর আসল কোনো কারণ জানা যায়নি। তবে অতিরিক্ত স্নায়ুবিক উত্তেজনা, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, জেনেটিক কারণে হাত-পা ঘামে।

এছাড়াও কিছু শারীরিক সমস্যাকেও চিহ্নিত করা যায়। সেগুলো হলো- পারকিনসন্স ডিজিজ, থাইরয়েডের সমস্যা, ডায়াবেটিস, জ্বর, শরীরে গ্লুকোজের স্বল্পতা, মেনোপোজের পরবর্তী সময়। শরীরে এই সমস্যাগুলো থাকলে হাত-পা ঘামতে পারে। আর সঠিক কারণ না জেনে কোনো চিকিৎসায় নামা ঠিক না। সঠিক চিকিৎসকের শরনাপন্ন হন।

চিকিৎসা কী?

হাত-পা ঘামার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা নেই। তবে অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করলে হাত পায়ের ঘামা কমে। এছাড়া আয়োনোফোরেসিস নামক বিশেষ থেরাপি রয়েছে, যাতে করে হাত-পা ঘামা কমে যায়। এছাড়াও রয়েছে বিশেষ ধরনের নার্ভের অস্ত্রোপচার। এটা খুব একটা প্রচলিত না হলেও এই উপায়ে হাত-পা ঘামা কমানো যায়। এছাড়া রয়েছে বটক্স ইনজেকশন।

মুক্তি পেতে করণীয় কী?

১. আপনার হাত-পা ঘামলে অবশ্যই আপনাকে সাবধানে থাকতে হবে। এজন্য সারাদিন যথেষ্ট পরিমাণ পানি খেতে হবে। যাতে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখা যায়।

২. ধূমপান, অ্যালকোহল ও ক্যাফেইন যতটা সম্ভব পরিহার করতে হবে। এগুলো শরীরে পানির তারতম্য ঘটায়।

৩. শরীরের ওজন অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আর মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।

৪. পানিসমৃদ্ধ তাজা ফল ও শাক সবজি প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।

৫. টমেটোর রস ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। টমেটো ঘাম নিয়ন্ত্রণ করে এবং ত্বক পরিষ্কার রাখে। তাই প্রতিদিন টমেটোর রস পান করুন। এক সপ্তাহ পরে এই সমস্যা কমে যাবে।

কী ব্যবহার করবেন?

বেকিং সোডা ও বেবি পাউডার

হাতের তালুতে ঘাম কমাতে বেকিং সোডা ও বেবি পাউডার বেশ কার্যকর। এক্ষেত্রে কুসুম গরম পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে ১০ মিনিট হাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। বেকিং সোডার ক্ষারীয় উপাদান তালুর ঘাম নিয়ন্ত্রণ করে হাত শুষ্ক রাখতে সাহায্য করে।

জিঙ্ক

জিঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ যা স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়া ঘাম এবং দুর্গন্ধ রোধ করতে জিঙ্ক বেশ কার্যকার। এক্ষেত্রে সহায়ক খাবার হিসেবে ডাক্তারের পরামর্শে দিনে ৩০ থেকে ৫০ মিলিগ্রাম জিঙ্ক ট্যাবলেট খেতে পারেন।

রোজমেরি

রোজমেরি একটি ভেষজ উপাদান। যা স্নায়ুতন্ত্রের উপর কার্যকর‌ভাবে প্রভাব ফেলে। আর স্নায়ুতন্ত্র নিয়ন্ত্রণে থাকলে ঘামের পরিমাণও কম হয়। তাছাড়া রোজমেরি হালকা সেডাটিভ হিসেবেও পরিচিত। সাধারণত উত্তেজিত হলেই ঘাম বেশি হয়। তাই ঘামের সমস্যা কমাতে শান্ত থাকার চেষ্টা করুন।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭